Home Blog Page 38

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

তাবলিগ জামাতের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে দুই বার নয়, ইজতেমা একবারই হবে। তাছাড়া গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদপন্থিদের আর ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার দুপুরে এক মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন তাবলিগ জামাতের কওমিপন্থি শীর্ষ নেতারা।

ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ তাবলিগ কওমি মাদরাসা ও দ্বীন রক্ষার্থে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। মহাসম্মেলনে বক্তব্য দেন তাবলিগ ও কওমিপন্থি শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা।

এদিকে ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা বিপুল সংখ্যক আলেম–ওলামা জড়ো হওয়ায় পূর্ণ হয়ে যায়।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হয় এবং বেলা সোয়া ১টার দিকে তা শেষ হয়।

সম্মেলনে আলেমরা বলেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলনে মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, ওবায়দুল্লাহ ফারুক, রশিদুর রহমান, শায়খ জিয়াউদ্দিন, শায়খ সাজিদুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাহফুজুল হক, আবু তাহের নদভী, আরশাদ রহমানি, সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ারুল করীম, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি মনসুরুল হক, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আলেমরা।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজতে কমিটি গঠনে রুল

ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে বিডিআর হত্যাকাণ্ড দিবসকে ‘শহিদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন তদন্ত কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন চেয়ে গত ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আবেদন আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।

বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছেন ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।

হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে।

বিশ্বের চতুর্থ দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা

বিশ্বের চতুর্থ দূষিত বাতাসের শহর হিসেবে অবস্থান হয়েছে রাজধানী ঢাকার। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় আইকিউএয়ারের প্রকাশি তালিকায় ঢাকার এই অবস্থান দেখা গেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার বাতাস এখন ‘অস্বাস্থ্যকর’।

বাতাসের মানের তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৮। অন্যদিকে পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ৪৪৭, ৪১৪ ও ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়।একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।

ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কোলকাতা যথাক্রমে ৪৪৭, ৪১৪ ও ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।

অভিনয় থেকে অবসর নিচ্ছেন সব্যসাচী

0

চলতি বছরের শুরুতে আয়োজিত ২১তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ওপার বাংলার বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। তখন এক সাক্ষাৎকারে নাকি অভিনেতা জানিয়েছিলেন, সব্যসাচী চক্রবর্তী তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনের ইতি টানছেন। অবশ্য তিনি নাকি তখন বলেছিলেন, শুধু ফেলুদা থেকেই বিদায় নিয়েছেন তিনি; পুরো অভিনয় থেকে না। কিন্তু একই বছরেই এসে জানিয়ে দিলেন, সত্যিই আর পর্দায় দেখা যাবে না এই অভিনেতাকে।

মোদ্দাকথা, অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দিলেন সব্যসাচী। তবে এ জন্য শারীরিক অবস্থা বা বার্ধক্যকে দুষছেন না এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তার কথায়, কোনো চরিত্র না থাকায় নাকি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানালেন তিনি। সব্যসাচীর কথায়, ‘হ্যাঁ, এখন আমি অবসর গ্রহণ করতে চাইছি। কারণ আমার এখন আর করার মতো কোনো চরিত্র নেই।’

ফেলুদার বাইরেও তো চরিত্র রয়েছে, নিশ্চয়ই প্রস্তাব পান? এমন প্রশ্নের জবাবে সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাকে বলা হয়, “আপনি না থাকলে সিনেমাটা হবে না।” কী চরিত্র জিজ্ঞাসা করার পর বলে, “হিরোর বাবা।” দেখা যাবে, হয়ত তার আগের সিনেমাগুলোতেও একই চরিত্র এবং একই সংলাপ। আমার যুক্তি, নতুন কিছু না হলে আমি অভিনয় করব না।’

১৯৯২ সালে অভিনয়ে নাম লেখান সব্যসাচী। ‘তেরো পার্বণ’ টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ‘রুদ্রসেনের ডায়েরি’ টিভি সিরিয়ালে প্রথম গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের।

‘বাঁচতে চাইলে ক্ষমা চান, না হলে ৫ কোটি টাকা দিন’; ফের সালমানকে হুমকি

0

এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার খুনের হুমকি পেলেন অভিনেতা বলিউড ভাইজান সালমান খান। সোমবার রাতে মুম্বাই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোলের নাম করে হোয়াটস্অ্যাপে এই হুমকি বার্তা এসেছে বলে সূত্রের খবর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার মুম্বাই পুলিশের বরাদ দিয়ে জানিয়েছে, ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে যে বার্তাটি পাঠানো হয়, সেখানে দাবি করা হয়েছে, ‘লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই বলছি। সালমান খান যদি বাঁচতে চান তাহলে আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। আর যদি তা না করেন, তা হলে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। দু’টির কোনোটাই যদি না করেন, তবে সালমানকে খুন করা হবে। আমাদের গ্যাং এখনও নজর রাখছে।

এই বার্তা পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে এই বার্তা এসেছে, আদৌ বার্তা প্রেরক কি আনমোল বিষ্ণোই, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত ৩০ অক্টোবর ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে সালমানকে খুন করার হুমকিবার্তা এসেছিল। সেই সময়ে দুই কোটি টাকা দাবি করা হয়েছিল।

গত ১৮ অক্টোবর মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম করে একটি হুমকিবার্তা আসে। বলা হয়, সালমান খানকে অবিলম্বে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। না হলে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির থেকেও করুণ পরিণতি হবে তার। এর পরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। ওই উড়ো মেসেজের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে নেমে জামশেদপুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, বিষ্ণোইয়ের নাম করে তিনিই সালমানকে হুমকি দিয়েছিলেন!

গত এক মাসের মধ্যে বেশ কয়েক বার খুনের হুমকি পেয়েছেন ‘ভাইজান’। বান্দায় তার বাসভবনের সামনে গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় বিষ্ণোই গ্যাং জড়িত বলে দাবি করেছে পুলিশ। কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে সেই সময়।

তারপর পরই গত ১৯ অক্টোবর এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে দুষ্কৃতীরা খুন করে। ঘটনাচক্রে, বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে অনেকেই জানেন। সেই ঘটনার পর ওপর ‘চাপ’ বেড়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।

যদিও মুম্বাই পুলিশ বাবা সিদ্দিকির খুনের পর থেকেই ‘ভাইজান’-এর নিরাপত্তা আরও বাড়িয়েছে। কিন্তু তাকে খুনের লাগাতার হুমকি উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের।

তাপসের গ্রেফতার প্রসঙ্গে যা বললেন ঐশী

0

রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেফতার হন গান বাংলা চ্যানেলের চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস। সোমবার উত্তরা পূর্ব থানার পক্ষ থেকে তাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

কৌশিক হোসেন তাপসকে গ্রেফতারের সংবাদ প্রকাশের পর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সংগীত শিল্পী ফাতিমা তুয যাহরা ঐশী। সেখানে তিনি তাপসকে অরাজনৈতিক হিসেবে দাবি করেছেন।

ঐশী পোস্টে বলেন, ‘তিনি (কৌশিক হোসেন তাপস) তো রাজনৈতিক কেউ ছিলেন না। সাংস্কৃতিক লোককে রাজনৈতিক বানায় দিলেন প্রতিহিংসার জেরে। মিউজিক নিয়ে এত অ্যাগ্রেসিভ কাউকে আমি দেখিনি। বরং মিউজিকের নামে…করতে অনেককেই দেখলাম। সেই মানুষগুলাকে আবার বড় গলায় কথাও বলতে দেখি। সত্যকে জেতাতে চাইলে সঠিক তথ্য বের করে উপস্থাপন করেন মানুষের সামনে, যদি সাহস থাকে। সব রহস্য উন্মোচন করে দেন। সবাই জানুক সত্যটা কী! ভিত্তিহীন মজা তো বহুত নিলেন। আল্লাহর ওয়াস্তে এবার সত্যকে জেতার সুযোগ করে দেন! নাহলে বৈষম্যই তো হইলো। লাভটা কি হইলো তাহলে?’

গায়িকা ঐশী তার সংগীত জীবনে তাপসের অবদানের কথা বিভিন্ন সময় স্বীকার করেছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ছোট জীবনে কত কিছু দেখলাম। অন্যায় করে দিনের পর দিন রাজার হালে পার করতে দেখলাম, আবার নিরপরাধকে কারাগারে যেতেও দেখলাম। আমি তাপস ভাইয়াকে চিনি ঠিক দশ বছর। এই দশ বছরে আমি তাকে শুধু গান নিয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখতে দেখেছি। একা না দেখে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন তিনি। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে সংগীতাঙ্গন বদলানোর ইচ্ছা পোষণ করার মতো পাগলামি কেউ করে? এটাই ওনার ভুল ছিল।’

প্রসঙ্গত, ‘নিজাম উদ্দিন আউলিয়া’, ‘রঙে রঙে দুনিয়া’, ‘দুষ্টু পোলাপাইন’, ‘দুই কূলে সুলতান’-এর মতো গানগুলো দিয়ে শ্রোতামহলে পরিচিতি পেয়েছেন ঐশী। ২০০০ সালে রংপুর শিশু একাডেমিতে গান শেখা শুরু করেন তিনি। ২০০৩ সালে নোয়াখালীতে মুহাম্মদ শরীফ ও পরে হাফিজ উদ্দীন বাহারের কাছে উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সংগীতে তালিম নেন। ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমার ‘মায়া’ গানটির জন্য ২০২০ সালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঐশী।

Hello world!

Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing!