মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান।
জয়পুরহাটে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে লন্ডনে একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এনিয়ে একই বছরে ১৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা জয়পুরহাট সদর থানায় ২০১৫ সালের ২৮ মে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং মামলা খারিজ করে দেন।
জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শাহানুর রহমান শাহিন বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে যে মামলা করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা, তার কোনো ভিত্তি ছিল না। আদালতের উপর বিগত স্বৈরাচার সরকার হস্তক্ষেপের কারণে এ মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আমাদের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আজ আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে এবং যার উপর ভিত্তি করে মামলাটি করা হয়েছিল, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। এজন্য বিজ্ঞ আদালত মিথ্যা মামলা থেকে তাকে খালাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন বলেন, দেশনেতা তারেক রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই জয়পুরহাটে করা মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। আজ সত্যের বিজয় হয়েছে, আজ জয়পুরহাট কলঙ্কমুক্ত হলো।
রায় শেষে কোর্ট চত্বরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন।