মনে আছে কি রাবি শিবির নেতা কুরআনে হাফেজ হাফিজুরের কথা?
মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাবির প্রফেসর ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হ’ত্যার ঘটনায় কুরআনে হাফেজ এই শিবির নেতাকে সন্দেহ করে আটক করেছিলো হাসিনার পুলিশ! রিমান্ডে পুলিশের অমানুষিক নির্যাতন ও জেল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এই ছেলেটি মা’রা যায়।
হাফিজুর রহমানের বড় ভাই হাবিবুর রহমান জানিয়েছিলেন, হাফিজুর রহমান থ্যালাসেমিয়ার রোগী ছিলেন। ডা. মাইনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে প্রতি তিন মাস পর পর তাঁকে র’ক্ত দিতে হতো। মারা যাওয়ার চার দিন আগে তাঁকে রক্ত দেওয়ার কথা ছিল। জেল কর্তৃপক্ষকে যথাসময়ে বিষয়টি জানিয়ে হাফিজুর রহমানকে ডা. মাইনুল ইসলামকে দেখিয়ে র’ক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ তাতে গুরুত্ব দেয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে কোনপ্রকার চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে এই নিরীহ শিবির নেতাকে মৃ’ত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১৯ মে মেধাবী ছাত্রনেতা হাফিজুর মা’রা যান!
মেধাবী ছাত্রনেতা হাফিজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাজশাহী মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।