“শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ” অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারঃ
মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ ২০ ডিসেম্বর সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে “শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রোগ্রামে ২০২৪ এর জুলাই -আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারবর্গকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার অশ্রুসিক্ত নয়নে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, যারা আহত ও শহিদ হয়েছেন তাদেরকে আমরা যেন ভুলে না যাই। জুলাই বিপ্লবে তাদের অবদান এমন একটি ইতিহাস যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের প্রতি ভালোবাসার অনুপ্রেরণা যোগাবে। গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি নিয়ে বিভিন্ন দেয়ালে অঙ্কিত গ্রাফিতি যেন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিবাদের অমর উপাখ্যান। এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন হয়েছি। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি তরুণ ছাত্রদেরকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চাকুরীতে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানান। পুলিশকে যেন আর রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা হয় সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্বাত্ত আহবান জানান। পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে জনপ্রত্যশা পূরণ করার বাহিনীতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর প্রধান মীর স্নিগ্ধ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জনাব ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, পিপিএম-খুলনা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, খুলনা জেলার পুলিশ সুপার টি এম মোশারফ হোসেন-সহ ছাত্র সমন্বয়ক, খুলনাস্থ বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।