সাংবাদিকতায় হতাশা ও মুল্যবোধ অবক্ষয়সহ নানাবিধ সমস্যা চরমে।
আওরঙ্গজেব কামাল : সমাজিক অবক্ষয় রোধে, আমাদের এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অতি জরুরী। উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদকিরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করে আসছে । দেশ ও জাতির উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা অতি গুরুত্বর্পূণ একটি বিষয়। সাংবাদিক জাতির দর্পন,দেশ ও জাতির কল্যানে তারা জীবন বাজি রেখে সংবাদ সংগ্রহ জাতির নিকট তুলে ধরে। সংবাদপত্র সমাজের আয়না। সাংবাদিকতা একটি মহান ও পবিত্র পেশা। আয়নায় যেমন নিজের চেহারা প্রতিবিম্বিত হয়, তেমনি দেশ, জাতি, সমাজ এমনকি সমকালীন বিশ্বের চলমান ঘটনা, জীবনযাত্রা, চিন্তাচেতনা, জাতীয় স্বার্থ ও দিকনির্দেশনা জাতির জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। আর পেশার মানদণ্ডে সাংবাদিকতা একটি মহৎ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সম্মানজনক পেশা। সাংবাদিকতার প্রথম দায়বদ্ধতা সত্যের কাছে। সাংবাদিকতার প্রথম আনুগত্য নাগরিকজনের প্রতি। সাংবাদিকতার সার কথা হচ্ছে সুশৃঙ্খল যাছাই। যেমন যৌনতা, সন্ত্রাস, সহিংসতা ও বীভৎসতার উৎকট বা নগ্ন প্রকাশ নয়, মৃতের প্রতি সম্মান, লাশের ছবি না ছাপা, খারাপ ভাষা পরিহার, নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখা, ঘটনা বলবেন না-দেখাবেন, এটাই প্রকৃত সাংবাদিকতা। আজকে দেশ উন্নয়নে পেছনে সাংবাদিকদের অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে। সাংবাদিকরা মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে। শাসকচক্র যখন ন্যায়বিচারে একচক্ষু হন- তখন সাংবাদিকরা অন্য চোখ খুলে দেয়। চলছে অনেক সাংবাদিকের জন্য বিপজ্জনক বাস্তবতা । বর্তমানে সাংবাদিকরা হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। নেই সুযোগে অপেশাদারা এই পেশায় ঢুকে সাংবাদিক পেশাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে। এছাড়া নিন্মমানের সাংবাদিকতাসহ নানাবিধ সমাস্যার মধ্যে সাংবাদিকরা দিনযাপন করছে এমন গুঞ্জন চলছে। আর এর কারন শেখ হাসিনা সরকারের মূল্যবোধের অবক্ষয়, পরবর্তী সময়ের প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও রাজস্বের এক বহুমাত্রিক অথচ প্রয়োজনীয় সমীকরণ এসবের জন্য গণমাধ্যমের নীতিবোধ আজ বিপন্ন।আজকের বিশ্বে, সত্য নিউজ বের করে আনতে গিয়ে বিভিন্ন নির্যাতন ভোগ এমনকি খুন পর্যন্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। আওয়ামীলীগ সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতা বিরোধী মনোভাবের কারনে সাংবাদিক হত্যা,নির্যাতন,গুমসহ মামলার শিকার হয়েছেন। অনলাইনে নারী সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি অব্যহত রয়েছে। আর এই সুযোগে কিছু সুবিধাবাদীর সাংবাদিক পেশায় ঢুকে এই মহান পেশাকে বিতর্কের মুখে ফেলে দিচ্ছেন। কথায় বলে অসির চেয়ে মসির শক্তি বেশি। হলুদ সাংবাদিকতা তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ। মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের অবস্থান পোক্ত করা, অতিরঞ্জিত তথ্য দ্বারা পাঠক সমাজে চাঞ্চল্য তৈরি, গুজোব ছড়ানো ও অবৈধ্য পথে অর্থ উপজনের উদ্দেশ্যে হাসিল করা তাদের লক্ষ। বর্তমানে এই সব ভুয়া সাংবাদিকরা দলে ভারী হয়ে মাঠে চষে বেড়াচ্ছে। নানাবিধ পন্থার মাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতার চর্চা বেপরোয়া ভাবে চালাচ্ছেন। তারা সাধারন মানুষকে টার্গেট করে মানুষকে হয়রানি করছে। শুধু কলম চালিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার করার সবচেয়ে সহজ উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে মিডিয়ার আইডি কার্ড। সাদামাটা খবরে মিথ্যার রঙ মিশিয়ে পরিবেশন করে মানুষকে করছে হয়রানি যেটা সাংবাদিকতার মূলনীতি বিরোধী। এরা সাধারণত প্রকৃত ঘটনা লোকচক্ষুর আড়ালে থাকে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কৌশলে পাঠকের কাছে বানোয়াট তথ্যকে সত্য বলে প্রচার করে থাকে। এ সব সাংবাদিক নিজেরাই বিপদে পড়ে আবার অন্যকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পতন এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকির মুল কারন এই সব ভুয়া সাংবাদিকরা। অনেক সময় গুজব উসকে দিতে দেখা যায় সাংবাদিকদের। কেউ কেউ হয়তো না বুঝেই গুজবের ফাঁদে পা দেন। ঢাকার জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে কর্মরত কিছু সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার যখন এই অবসস্থা, ঠিক সেই সময় গ্রামের পাড়ায় হঠাৎ আবির্ভাব হয়েছে একদল সাংবাদিক ৷ যারা নামি দামী সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গীয়ে চলছে। অথচ যার নাম ভাঙ্গাচ্ছে সে এ সবের কিছুই জানেন না । এদের দ্রুত রুখে দিতে হবে। এরা হয়তো অনেকে নিজের নামও লিখতে পারে না বা ক্লাস সিক্স/সেভেন পাস। তারা নিজেদের বড় মাপের সাংবাদিক হিসাবে দাবি করেন । কখনো কখনো সম্পাদক হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মোটরবাইকে পাড়া,মহাল্লা থেকে শুরু করে শহরতলীর অলিগতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ঢাকা সহ সারা দেশে এদের মাধ্যমে ভুয়া সাংবাদিকতার বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে ৷ চাঁদাবাজি, নারী কেলেঙ্কারি, জমি দখল থেকে শুরু করে হেন অপরাধ নেই যা তাদের দ্বারা সংঘটিতত করছেন না ৷ আসল সাংবাদিকের জীবন যেখানে শঙ্কিত সেখানে এই ভুয়া সাংবাদিকরা এত ক্ষমতা পায় কোথায়? হু, তাদের এই অপকর্মের সাথে জড়িত আছে পুলিশ প্রশাসনও, যে কারণে তাদের অনেক চাঁদাবাজির অভিযানে পুলিশকেও সঙ্গে যেতে দেখা গেছে । অনেকে নিজেকে বাঁচাতে রাজনৈতিক দল থেকে টাকার বিনিময়ে মিডিয়া কার্ড ম্যানেজ করে রাতারাতি হয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক । এছাড়া অধিকাংশ পুলিশের সোর্স এখন সাংবাদিক হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। আজকের তথ্য-প্রযুক্তির যুগে ভুয়া খবর বা প্রোপাগান্ডা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। সেই সুযোগে অনেক ভুয়া সাংবাদিকতা বেছে নিয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্পোর্টস রিপোর্টগুলো একটু লক্ষ করে দেখলেই বোঝা যাবে তাদের রিপোর্টের মান এবং বাচনভঙ্গি কতটা অদক্ষ। এর মুল কারন অশিক্ষিতরা সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকে পড়া। বর্তমানে অপসাংবাদিকদের প্রভাবে প্রকৃত সাংবাদিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।এছাড়া স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আরেকটি অন্তরায় হচ্ছে দলবাজি করা। অনেক আগে থেকে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এই বিভক্তির কারণে সাংবাদিকদের মাঝে ঐক্যও গড়ে ওঠেনি। এক গ্রুপ বিপদে পড়লে অন্য গ্রুপ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া তো দূরে থাক বরং অনেক ক্ষেত্রে তারা আত্মতৃপ্তিতে ভোগে থাকে। এ কারণে বাংলাদেশের সকল সাংবাদিকের জন্য একটি অভিন্ন একক প্ল্যাটফর্ম থাকা দরকার। আজকের বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদেরও অনেক ভূমিকা ছিল। ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেছেন কিন্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপবাদ কিন্তু কোন ক্রমে কমেনি। তার এক মাত্র কারন কিছু অপসাংবাদিক ও দলবাজী সাংবাদিকতা। এসব দলবাজ সাংবাদিক মোড়লরা আওয়ামীলীগ নেতাদের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ, বা বিভিন্ন দলে যোগদিয়ে যে যার মতো ব্যবহার করে আখের গোছাতে ব্যস্ত। দুঃখজনক হলেও সত্য দেশে সবগুলো পেশাই আজ দলবাজীতে আক্রান্ত,
তাই আমি বলবো,বাংলাদেশের মিডিয়াঙ্গন কলুষিত করেছে কিছু দলদাস চাটুকার সাংবাদিক।গত ১৫ বছরে তারা পেশাদারিত্ব ছেড়ে নেমে পড়েছিল চাটুকারীতায়। ঢাকা থেকে শুরু হয়ে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে মফস্বলেও। এখন সময় এসেছে মিডিয়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর। তাই সকল গণমাধ্যমকে দলবাজ-চাটুকারদের বাদ দিয়ে প্রকৃত পেশাদার সুদক্ষ সংবাদকর্মীদের নিয়োগ দেওয়া উচিৎ। যেসব সাংবাদিকরা এতোদিন দলবাজী ও চাটুকারীতা করেছে তাদের বর্তমান পরিনতি দেখে আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে।গণমাধ্যমের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ফ্যাক্ট বলা। কিন্তু পরিবহন খাতে যখন নৈরাজ্য তৈরি হয়, অন্য যেকোনো খাতের শ্রমিকরা যখন রাস্তায় নামেন, তখনও সাংবাদিকরা তাদের টার্গেটে পরিণত হন। আবার রাজনৈকি দলগুলি যখন রাস্তায় নামে তখনও একই অবস্থা। সব মিলিয়ে সাংবাদিকতা মানেই শত্রুতায় পরিনত। গণতান্ত্রিক দেশে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা- রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পরিবর্তন করে, মিডিয়া মানুষের জন্য তথ্য প্রকাশ করে এবং এর মাধ্যমে মানুষের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এ আলোকে মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় অধিকঅংশ গণমাধ্যম তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্র তথা প্রজাতন্ত্রের সুশাসন নিশ্চিত করতে সংবাদমাধ্যম পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে। ফলে অধিকাংশ সময় শাসক দলের চক্ষুশুলে পরিনত হয় সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা নিরপ্রেক্ষ থাকলে, সৎ থাকলে সত্য ও ভাল কিছু প্রত্যাশা করা যায়। কিন্তু অপ-সাংবাদিকতার কারনে, দলদাস সাংবাদিকদের ভীড়ে এ সত্য ও ভাল কাজ বিলুপ্তির পথে। কতিপয় সাংবাদিক আজ রাজনৈতিক দলের ব্যানারে সাংবাদিকতা করছেন। দলের হয়ে দলের অন্যায় ও স্বৈরতান্ত্রিক আচরনের পক্ষে কথা বলছেন, আন্দোলন করছেন- আর বিনিময়ে পদ-পদবী ও সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। এ দলে আবার যোগ দিয়েছেন কতিপয় সুশীলসমাজ ও বুদ্ধিজীবীরা। সিনিয়র সাংবাদিকদের ভাষায় “বর্তমানে সংবাদপত্রের বিকাশের পাশাপাশি সংবাদপত্রে এক ধরনের অপসংবাদ ও সাংবাদিকতা দেশের সংবাদপত্র জগতকে বিতর্কিত করছে। সংবাদপত্র জগতে এক ‘অপসংস্কৃতি’র জন্ম দিচ্ছে। কতিপয় সাংবাদিক, সাংবাদিকতার সত্য পেশাকে কলুষিত করে একে অন্যায় ও অবৈধ আয়ের উৎস হিসেবে গ্রহণ করছে, মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করছে”অসত্য ও ব্লাকমেইলিং রিপোর্টের প্রভাব সমাজ, দেশ ও ব্যক্তির জন্য কতটুকু ক্ষতিকর ও এর প্রভাব কতটুকু বিস্তৃত- তা বাংলাদেশের মানুষ এবং রাজনীতিবিদরা ১/১১-এর সময় হাঁড়ে হাঁড়ে উপলব্ধি করেছে। যার ক্ষতি এখনও বাংলাদেশ বয়ে বেড়াচ্ছে। অপ-সাংবদিকতা ও ‘দলদাস’ সাংবাদিকদের কারনে জাতি আজ বিভাজিত হয়ে পড়েছে। কতিপয় দলদাস সাংবাদিকের কারনে সাংবাদিক সমাজ জাতির শত্রু হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করছেন। এটা কোন সত্যিকার সাংবাদিক ও জনগণের কাছে কাম্য নয়। সাংবাদিকদের এ ‘দলদাস’ হওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। জাতির স্বার্থে দলদাস বা দলবাজীর রাজনীতি বন্ধ করে দেশের উন্নয়নে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকল জনসাধারনের প্রশ্ন কবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হবে! সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকার প্রয়োজন রয়েছে তাদের নিরাপত্তা দায়দায়িত্ব সরকারের কিন্ত এ সব কবে হবে। গত ১৫ বছর যে ভাবে কিছু সাংবাদিক নামধারী আওয়ামীলীগের ব্যানারে রাজনৈতিক নেতাদের মত সাংবাদিকতায় যেমন দলবাজী করেছে, তেমনি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে এক শ্রেনীর কিছু সাংবাদিক ভিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে দলবাজীর সাংবাদিকতা শুরু করেছে। সে যাই হোক আমি মনে করি সাংবাদিকদের উচিত রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকা। আমরা খুব অসহায় এর মধ্যে রয়েছি এখন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে হলে নিজের ও নিজের পরিবারের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে অধিকাংশ সময় লক্ষ্য করছি এক শ্রেণীর লোক সাংবাদিক পেশাকে কলুষিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তাই আমাদের উচিত সকল সাংবাদিকদের ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করা। এখন সাংবাদিকতা করা অনেক কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিনিয়ত অপরাধী ও বুর্জোয়া শ্রেণীর সাথে লড়াই করতে হচ্ছে । যদিও বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করেছে। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা আইন) বাতিল করা হচ্ছে। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে সব মামলাও বাতিল করা হবে বলে জানানআইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল । আমি মনে করি দেশে পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই। স্বার্থান্বেষী কতিপয় ‘সুবিধাবাদী দলকানা সাংবাদিক নেতা’ নামধারীদের কারণেই সাংবাদিক সমাজ আজ কলঙ্কের শিকার। আমাদের সকল কে এদের প্রতিহত করতে হবে। ৫২ থেকে ৭১ বাঙালির গৌরবের ইতিহাস তরুণরাই গড়েছে। বাংলাদেশকে তরুণরা এগিয়ে নিচ্ছে, আগামীতেও নেবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এই প্রত্যাশা সকলের ।