মেজর জিয়ার মার্কেটসহ বরিশালে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ।

0
22

মেজর জিয়ার মার্কেটসহ বরিশালে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ মেজর জিয়ার মার্কেটসহ বরিশালে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
বরিশাল সড়ক বিভাগের জমি দখল করে নির্মাণ করা সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের মার্কেটসহ অন্তত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে নগরীর রূপাতলীর ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় এই অভিযান চলে। এসময় বুলডোজার দিয়ে সড়কের দুপাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, জিরো পয়েন্ট থেকে সাগরদীর পুল পর্যন্ত সড়কের দুপাশে অবৈধভাবে ৫ শতাধিত দোকানপাট ও স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। তাই আমরা দখলদার উচ্ছেদে কাজ শুরু করেছি। এগুলো উচ্ছেদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও মাইকিং করা হয়েছে। অনেকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সহযোগিতা করেছে।

এদিকে ভুক্তভোগীদের দাবি, তাদের কাছে জমির কাগজ রয়েছে। অনেকে মার্কেটে দোকান ভাড়া নিতে টাকা দিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সাবেক মেজর জিয়া তার ঘনিষ্ঠ কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে উচ্ছেদ হওয়া মার্কেট পরিচালনা করতেন। দখল করা মার্কেট থেকে আওয়ামী লীগের আমলের গত ১০ বছরে সাবেক মেজর জিয়া ৮-১০ কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। আজকে তার (জিয়া) কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাপত্তারক্ষীকে অপহরণ ও গুমের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বর্তমানে কারাগারে আছেন।

তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব) দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি র‌্যাব ছাড়ার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকার সময় তাকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) ডিডিজি হিসেবে বদলি করা হয়। পরে তাকে সেখান থেকে এনএসআই’র পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয় ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালে তিনি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) পরিচালক হন তিনি। ২০২২ সালে এনটিএমসি’র মহাপরিচালক (ডিজি) করা হয়। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here