সংবাদ সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার।

0
21

সংবাদ সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ওষুধ কেনার ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সময় টিভির শেরপুরের স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হীরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তী।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা বিষয়টি নিয়ে খবর না করার জন্য ধমকা ধমকি করেন। এসময় ক্যামেরা পার্সন ভিডিও করতে গেলে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন সেলিম মিঞা। এরপর তিনি সাংবাদিক হীরাকে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরেন। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মচারীদের ডেকে এনে তাকে দরজা বন্ধ করে ঘণ্টা খানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিষয়টি অন্যান্য সাংবাদিকরা খবর পেলে তাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার খবরে কৌশলে সটকে পড়েন তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা। ঘটনার পর থানা পুলিশ ও সাংবাদিক নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, ২৫০ শয্যা শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ওষুধ কেনার ঠিকাদার নিয়োগে কম দরদাতাকে নির্ধারণ না করে বেশি দর প্রদানকারীদের দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় সময় টেলিভিশনের সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন। এসময় তথ্য চাইতে গেলে সাংবাদিকদের খবরটি না করার জন্য চাপ দেন তিনি। খবর করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক চেয়ার থেকে উঠে এসে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় ঘটনার প্রমাণ রাখতে ক্যামেরাপার্সন ভিডিও ধারণ করতে গেলে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরে ঘণ্টা খানেক আটকে রাখেন।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হীরা বলেন, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একটি খবরের তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যাই। যাওয়ার আগে অভিযোগের ব্যাপারে সিভিল সার্জনকে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহমদ্দুননবী সজলের মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলে অনুমতি নেই। বাইরের কাজ শেষ করে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে প্রবেশের পর তথ্য চাইতেই তিনি খবর করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে তিনি সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের ডেকে দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে আমার শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরেন।

জানতে চাইলে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আমি একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাই তাকে নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে ফুটেজে হামলার স্পষ্ট দৃশ্য রয়েছে। আমি বিষয়টি ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শাহ আলি আকবর আশরাফীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মিটিং আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল কাজ করছে। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here