মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের ( সিবিএ) নির্বাচন নিয়ে হতাশা ।

0
18

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের ( সিবিএ) নির্বাচন নিয়ে হতাশা ।

মোংলা প্রতিনিধিঃ
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের নির্বাচন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা জটিলতা ।
এই জটিলতার মধ্যে সকল সদস্যদের প্রাণের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন।
সিবিএর বর্তমান ক্ষমতায় থাকা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর কিন্তু আইনি জটিলতার বেড়াজালে তারাও পারছেন না নির্বাচন দিতে । এর কারণ হিসেবে বর্তমান পরিষদের নেতৃবৃন্দ আদালতে চলমান মামলা জটিলতাকে দায়ী করেছেন । কিন্তু এ সমস্ত মামলা তোয়াক্কা না করে । দফায় দফায় এডহক কমিটি গঠিত হলেও নেই তাদের অনুমোদন, বলছেন বর্তমান পরিষদের নেতৃবৃন্দ । এখন সিবিএর সাধারণ সদস্যদের ধারণা হচ্ছে তাহলে কি সিবিএর নির্বাচন হবে না ? যদি হয়ও তাহলেও তা কিভাবে ? কবে হতে পারে এ নির্বাচন ? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে দৈনিক বাংলাদেশ বর্তমান সময়ের মোংলা প্রতিনিধি মোঃ আবু বকর সিদ্দিককে একান্ত সাক্ষাৎকারে যা বললেন, বর্তমান এবং সাবেক পরিষদের নেতৃবৃন্দ ।

সিরিএর সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান সাকিব বলেন,
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের গত ১৭/ ১০/২০২১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে সংঘের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাসির – পল্টু সহ বর্তমান সিবিএর নেতৃবৃন্দ । এই পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ বছর । কিন্তু এই সংঘের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, নির্বাচন দেওয়ার ব্যাপারে তাদের মধ্য কোন পদক্ষেপেই নেই । উল্টো সাধারণ সম্পাদকের নিকট আত্মীয় মোঃ ইমরান হোসেন Car Driver এর মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা করান । যাতে কোনদিন আর নির্বাচন দিতে না হয় । তিনি আরো বলেন, এই মামলা জটিলতা তারাই সৃষ্টি করেছেন ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য । গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন হলেও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের কোন পরিবর্তন হয় নাই । বর্তমানে এই কমিটি অবৈধ বলেও তিনি মনে করেন । তারা নির্বাচন না দিয়ে সাধারণ সদস্যদের সাথে ভেলকিবাজি করছে । সেক্ষেত্রে খুলনার শ্রম পরিচালককের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সাবেক এই নেতা ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংঘের অনেক সদস্য বলেন,
বর্তমান পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করার কারনে আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি ।

অপরদিকে সিবিএর এই নির্বাচন নিয়ে বর্তমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী খুরশিদ আলম বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের ২৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে যদি এডহক কমিটি করতে হয়, তাহলে শ্রম পরিচালক খুলনা বরাবর দরখাস্ত করতে হবে এবং তাদের অনুমতি লাগবে । তাহলে আমরা তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো। এখন যারা এডহক কমিটি গঠন করে বারবার আসছেন, শ্রম পরিচালক থেকে তাদের কোন অনুমোদন নেই । মহামান্য হাইকোর্টে আমাদের সংঘের একজন কর্মচারী একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন যার নাম্বার ৩৪,৩৮ । সেখানে বলা হয় এই মামলা চলাকালীন অবস্থায় কোন কর্মকর্তা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না । সিবিএর মধ্যে কর্মচারী ছাড়াও কর্মকর্তারা থাকার কারণে নির্বাচন ব্যাহত হচ্ছে । তারপরেও আমরা ২০২৪ সালের ২৭ শে নভেম্বর সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছি ।

এ ব্যাপারে সিবিএর বর্তমান সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচনের পক্ষে কাজ করছি এবং ২০২৪ সালের ২৭ শে নভেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণাও করেছি । দুই এক দিন আগে অথবা পরে হতে পারে । এ বিষয়ে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এরমধ্যে যদি কেউ এডহক কমিটি তৈরি করে তাহলে বন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এটা আমি চাইনা । ইতোপূর্বে আমি জেনারেল মিটিং করেছি । নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখও ঘোষণা করেছি । সকল সদস্যদের কে ধৈর্য ধরাবার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন,যেভাবে হোক আমি নির্বাচন উঠিয়ে নেবো তাতে আমার যদি কোন জেল জরিমানাও হয় । আমি তার ভয় পাই না । আপনারা ধৈর্য ধরুন নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here