ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার।
মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
গ্রেতারকৃতরা হলো- আশরাফুল হক খান তুষার ও রাকিব হাসান আরফিন। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনায় ও বিভিন্ন সময়ে ছিনতাইকৃত দুইটি মোবাইল ফোন, নগদ তিন হাজার পাঁচশত টাকা, একটি ভ্যানিটি ব্যাগ, একটি ম্যানিব্যাগ, ১০০ ডলার, ৩৭০ মালয়েশিয়ান রিংগিত, একটি স্বর্ণের চেইন, দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, এক জোড়া স্বর্ণের রিং (বালি), তিনটি স্বর্ণের নাকের নথ, একটি স্বর্ণের রিং, একটি স্বর্ণের নাকফুল, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।
গত সোমবার ১৮ নভেম্বর .রাত ০৪:৪০ ঘটিকায় ভিকটিম মোঃ শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী বাসযোগে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে নামেন। বাস থেকে নেমে মাস্কট প্লাজার সামনে দিয়ে পায়ে হেটে বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন দুইজন দুষ্কৃতিকারী সিএনজি থেকে নেমে ভিকটিম মোঃ শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রীকে ধারালো চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা ২টি মোবাইল ফোন, একটি ম্যানিব্যাগ (যাতে ছিল মালয়েশিয়ান ৩৭০ রিংগিত, মালয়েশিয়ান ওয়ার্ক পারমিট কার্ড, তিনটি ভিসা কার্ড, নগদ দুই হাজার আটশত টাকা ও একটি ১০০ ডলারের নোট) এবং একটি ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই সংক্রান্তে ভিকটিম শহিদুল্লাহর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলাটি তদন্তকালে সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) বিকাল ০৪:০০ ঘটিকায় উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টেরের ৪ নম্বর রোড়ের একটি বাসা থেকে আশরাফুল হক খান তুষার ও একই দিন রাত আনুমানিক ০৮:১৫ ঘটিকায় ১০ নম্বর সেক্টেরের ২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে রাকিব হাসান আরফিনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
*ছিনতাই প্রতিরোধে উত্তরা বিভাগ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপঃ*
উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রওনক জাহান গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ছিনতাই প্রতিরোধে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ২৪ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার ও ২২০ সেট শর্ট রেঞ্জ টকিং ওয়াকিটকি, ১২২ টি মোবাইল ফোন, ৩১ টি হাতঘড়ি এবং বিপুল পরিমান অবৈধ দেশী এবং বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার করেছে।
এছাড়াও বিমানবন্দর থানা পুলিশ মোট ১২৩ জন ছিনতাইকারী, ৭ জন মলম পার্টি, ৪ জন অজ্ঞান পার্টি, ৯ জন টানা পার্টি, ৮ জন পকেটমারসহ সর্বমোট ১৫১ জনকে এবং উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ ৫৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরা বিভাগ ছিনতাই প্রতিরোধে দৃশমান পুলিশিং ছাড়াও ছিনতাইয়ের হটস্পট ও বিভিন্ন ছিনতাইকারী গ্রুপ শনাক্ত এবং মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।