দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের মডেল পেশ । জানালেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব ।

0
29

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের মডেল পেশ । জানালেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব ।

মোংলা প্রতিনিধিঃ বাজারের লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বছরের পর বছর ধরে সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি থাকা ভোক্তাদের মুক্তি মিলবে মাত্র ৭ দিনে । দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এমন একটি মডেল তৈরি করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও যুগ্ম সচিব কাজী আবেদ হোসেন। তার নতুন এ বিপণন কৌশল বাজারে বাস্তবায়নে এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে মোংলা বন্দরের কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।

কাজী আবেদ হোসেন বলেন, এ জন্য যেমন ব্যয় হবে না সরকারের কোনো বাড়তি অর্থ, তেমনি লাগবে না অতিরিক্ত জনবল। তবে প্রতিটি স্তরে নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা। আলাদা আইন বা বিধিরও প্রয়োজন নেই। মডেল ফলো করলে ৭ দিনেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

কাজী আবেদ হোসেন জানান, মডেলটি বাস্তবায়নে গত ১৮ আগস্ট নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয়ে উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এটি বাস্তবায়নে গত ১৫ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ মডেলটির মাধ্যমে বাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে কমিটি করা হবে। কমিটি-১-এ থাকবেন সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, হাটের সভাপতি ও সম্পাদক। কমিটি-২-এর সদস্য হবে উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে কোন কোন পণ্যে নজর রাখতে চায় সরকার। এরপর গ্রামের হাট থেকে ওই সব পণ্যমূল্য সংগ্রহ করবেন সরকারি কর্মকর্তা। গড়মূল্য নিয়ে কমিটি-১ উপজেলা পর্যায়ের হাটের জন্য যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করবে। এটি বাজারে দৃশ্যমান স্থানে ২৪ ঘণ্টা প্রদর্শন করা হবে। ব্যত্যয় হলে ভ্রাম্যমান আদালত বসানোসহ ব্যবস্থা নেবে কমিটি-২। এভাবে ৪৯৫টি বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হবে।

একইভাবে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের বাজার থেকে পণ্যমূল্য সংগ্রহ করা হবে এবং উপজেলা থেকে রিপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (আরএমএস) মাধ্যমে ইউএনওর পাঠানো দামের গড় করে জেলা বা বিভাগীয় শহরের বাজারের জন্য মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। এভাবে ৬৪ জেলায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত হবে। আরএমএসের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো মূল্যের গড় করে পরিবহন খরচ ও লাভ বিবেচনায় কমিটি-১ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারের জন্য মূল্য নির্ধারণ করবে এবং দৃশ্যমান স্থানে তা প্রদর্শন করবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্ধারিত দাম স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে প্রচার করা হবে।

কাজী আবেদ হোসেন আরো বলেন, স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম খুব একটা আকস্মিক ওঠানামা করে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটিতে সরকারের অর্থ ব্যয় হবে না, অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই, নতুন আইন তৈরির প্রয়োজন নেই, সাধারণ মানুষের জন্য সহজে বোধগম্য এবং তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নযোগ্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here