Home Blog Page 2

“অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করা হলে জাতির কপালে মহাদুর্যোগ নেমে আসতে পারে”

0

“অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করা হলে জাতির কপালে মহাদুর্যোগ নেমে আসতে পারে”

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “ফ্যাসিস্টের পতন ও জুলাই বিপ্লবে শ্রমিকরাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার এত বেশী অপরাধ করেছে যে তার বিচার এত দ্রুততম সময়ে সম্ভব নয়। অবৈধ ক্ষমতার মসনদকে কুক্ষিগত রাখতে হাসিনা সরকার পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের এই সংস্কার শেষ করতে অনেক সময় লাগবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাদের উচিত একটি অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ন্যুনতম সংস্কার শেষে অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজন করা। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের একটা সময় ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এই সরকারকে ব্যর্থ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র জাতি মেনে নিবেনা।

আবু সাঈদ-মুগ্ধরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে ও অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। এই সরকারকে ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দেশ ও জাতির বৃহত্তর সার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকতে হবে। ভুলে গেলে চলবেনা অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি ব্যর্থ করা হয় তাহলে জাতির কপালে দুর্যোগ না মহাদুর্যোগ নেমে আসতে পারে।”

২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজুর সভাপতিত্বে, নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফেডারেশনের সিলেট মহানগর প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, সিলেট জেলা প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা উপদেষ্টা হাফিজ আনোয়ার হোসাইন, ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সিলেট অঞ্চল পরিচালক মাওলানা ফারুক আহমদ, মহানগর উপদেষ্টা ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, জেলা উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

সম্মেলনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারশেন সিলেট মহানগরের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাগেরহাটে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের দ্বি- বার্ষিক কাউন্সিল ।

0

বাগেরহাটে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের দ্বি- বার্ষিক কাউন্সিল ।

বাগেরহাট প্রতিনিধি: ব্যবসায়ীদের জাতীয় সংগঠন “ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন” বাগেরহাট জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আজ শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর (২০২৪) সকালে বাগেরহাট শহরস্ত হোটেল ধানসিঁড়িতে অনুষ্ঠিত এ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কাউন্সিলে জেলা সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মুহম্মহ শহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবিদ হাসান সিদ্দীক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও খুলনা জোন সভাপতি খান মোশাররফ হোসাইন এবং নির্ধারিত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, খুলনা জোনের সহকারী সেক্রেটারি ও বাগেরহাট জেলা সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ ইব্রাহীম হাসানl
কাউন্সিলের নির্বাচনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য নির্বাচিত ৩১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বাগেরহাট জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করেনl কমিটির নির্বাচিতরা হলেন সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ ইব্রাহীম হাসান ও শেখ ইকরামুল কবীর, সেক্রেটারি মো: আ: রাজ্জাক চৌধুরী, সহকারি সেক্রেটারি মাও: মোঃ নুরুল হাসান ও আল নেওয়াজ ফয়সাল, কোষাধ্যক্ষ শেখ আবু সাঈদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শাহরিয়ার ফয়সাল, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম নাজমুস সাহাদাত, ড্রাগ ও কেমিস্ট বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কাওছার আলী, হোটেল ও রেস্তোরাঁ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াদুল ইসলামl এছাড়াও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী, এস এম সাইফুর রহমান (শেফা), সেখ মাসুম বিল্লাহ আহমেদ, ডা: মোঃ এখলাছ উদ্দিন, মোঃ রাহাতুল ইসলাম, শেখ নাহিদ হাসান, শমসের আলী, হুমায়ুন আজাদ, নাসির উদ্দিন, মোঃ আ: কাদির, সোহেল, মোঃ আনিসুর রহমান, ইব্রাহীম খান, মোঃ আলী আযম হাওলাদার, রিয়াজুল ইসলাম, মোঃ ইলিয়াচ আকন, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান গাজী ও মোহাম্মদ মিজান খান প্রমূখ ।

কুরআন-সুন্নাহর মাধ্যমেই শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব: ডা,শফিকুর রহমান।

0

কুরআন-সুন্নাহর মাধ্যমেই শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব: ডা,শফিকুর রহমান।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আল্লাহ মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, একথা পরখ করার জন্য যে, কে সবচেয়ে বেশি নেক আমল করে। তাই দুনিয়ায় শান্তি আখেরাতে মুক্তির জন্য সকলকে নেক আমল ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর রাজধানীর শেওরাপাড়াস্থ মনিপুর স্কুলে স্থানীয়দের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কাফরুল পশ্চিম থানা আমীর আব্দুল মতিন খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মাওলানা আতিক হাসান রায়হানের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম যে মানুষের কল্যাণে কাজ করে। হাদিসে রাসূল (সা)-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে তারাই ভাল মানুষ যারা সবসময় মানুষের উপকারের ধান্ধায় থাকেন’। নির্বাচন আসলেই একশ্রেণির রাজনীতিবিদ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে ইবাদত করার সুযোগ চায়।

কিন্তু তারা ক্ষমতায় যাওয়ার পর সে অঙ্গীকারের কথা ভুলে গিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে সৎ ও আল্লাহভীরু লোকেরা বলেন, ‘আমরা আপনাদের সেবা করতে চাই যদি আমাদের সে সুযোগ প্রদান করেন। যদি আমরা ভালো কাজ করি তাহলে সহযোগিতা করবেন। আর মন্দ কাজ করলে বিদায় করে দেবেন’। তাই নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা,আমানতদারিতা ও তাকওয়া বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আগামী দিনে যোগ্য ও নিবেদিতদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, অসৎ নেতারা বারবার জনগণের কাছে নতুন নতুন কথা বলে নানা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন না। ঔপনিবেশিক শাকরাও একই পথ অনুসরণ করেছে। উপমহাদেশের আলেম সমাজ তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু একশ্রেণির বিশ্বাসঘাতকদের কারণেই তাদের সেসব আন্দোলন প্রথমে সফল না হলেও এক সময় সফল হয়েছে। বিগত ৫৩ বছরে শাসকচক্র দেশে নানাবিধ বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। মানুষকে তাদের সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের বীর সন্তানরা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। মা তার ১০ মাসের সন্তানকে নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যারা রাজপথে আছেন তারা সকলেই তার সন্তান। আর এই ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমেই আমাদের বিজয় এসেছে। তিনি অর্জিত বিজয়ের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
আমীরে জামায়াত বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন এক বৈষম্যহীন ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় যে সমাজে কেউ না খেয়ে থাকবে, আর কেউ অবৈধভাবে সম্পদ গড়ে বিদেশে পাচারের মাধ্যমে অর্থবিত্তের পাহাড় জমাবে এমন হবে না। আর কুরআন-সুন্নাহর আইনের মাধ্যমে এমন শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। যে সমাজে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা হবে-সে সমাজই আমাদের কাঙ্ক্ষিত ও ঈপ্সিত লক্ষ্য। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ বিনির্মাণে সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সুবিধা বঞ্চিত ১০০০জনকে কম্বল উপহার দেয়া হয়।

সরকার দুটি সেক্টর নিয়ে গর্ব করে প্রবাসী রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টস শিল্পী।

0

সরকার দুটি সেক্টর নিয়ে গর্ব করে প্রবাসী রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টস শিল্পী।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তারা যেই দুটি সেক্টর নিয়ে গর্ব করে যেমন প্রবাসী রেমিটেন্স ও গার্মেন্টস শিল্প। এটি বিএনপি করেছে এদেশের স্বার্থে. এদেশের মানুষের স্বার্থে। অতীতে আমরা যখন দায়িত্ব পেয়েছি ভাল কাজ করার চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতে আমরা সুযোগ পেলে এই ৩১ দফা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করব।
তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

ঢাকার উত্তরায় রেস্টুরেন্টে আগুন.

0

ঢাকার উত্তরায় রেস্টুরেন্টে আগুন.

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর উত্তরায় রেস্টুরেন্টে আগুনের ঘটনায় ভবনে আটকে পড়া সাতজনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ছয়জন একটি বিউটি পার্লারের কর্মী। দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। পরে আরো একজনকে উদ্ধার করা হয়।

আজ শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে লাভলীন রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে আটটি ইউনিট যায়। পরে আরো ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন, আগুন লাগা ভবনে প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বিভিন্ন ফ্লোরের কাঁচ ভেঙে ধোঁয়া বের করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখন কাজ করছে ১২টি‌ ইউনিট।

স্থানীয়রা জানায়, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের নিচতলায় লাভলীন রেস্টুরেন্টের গ্যাসের লাইন থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। ভবনের উপরে আবাসিক বাসিন্দারা রয়েছেন। তারা অনেকেই আটকা পড়েছেন।

“শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ” অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারঃ

0

“শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ” অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারঃ

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ ২০ ডিসেম্বর সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে “শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রোগ্রামে ২০২৪ এর জুলাই -আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারবর্গকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার  মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার অশ্রুসিক্ত নয়নে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, যারা আহত ও শহিদ হয়েছেন তাদেরকে আমরা যেন ভুলে না যাই। জুলাই বিপ্লবে তাদের অবদান এমন একটি ইতিহাস যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের প্রতি ভালোবাসার অনুপ্রেরণা যোগাবে। গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি নিয়ে বিভিন্ন দেয়ালে অঙ্কিত গ্রাফিতি যেন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিবাদের অমর উপাখ্যান। এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন হয়েছি। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি তরুণ ছাত্রদেরকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চাকুরীতে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানান। পুলিশকে যেন আর রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা হয় সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্বাত্ত আহবান জানান। পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে জনপ্রত্যশা পূরণ করার বাহিনীতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর প্রধান  মীর স্নিগ্ধ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জনাব ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি  মোঃ রেজাউল হক, পিপিএম-খুলনা, জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, খুলনা জেলার পুলিশ সুপার  টি এম মোশারফ হোসেন-সহ ছাত্র সমন্বয়ক, খুলনাস্থ বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

খুলনায় ৫৮ শহীদ পরিবারকে দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার চেক প্রদান।

0

খুলনায় ৫৮ শহীদ পরিবারকে দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার চেক প্রদান।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান আজ শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৮ শহীদ পরিবারের প্রতিটিকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম, আশরফা খাতুন ও মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বক্তৃতা করেন। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা জীবন দিয়ে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। এ বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়, দুর্বার ও সাহসের বাংলাদেশ। নতুন বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। এই অভ্যুত্থানের ইতিহাস নতুন বাংলাদেশের ছাত্রজনতার সংগ্রামের ফসল। ছাত্রজনতার আন্দোলনকে একটি মহল অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। অভ্যুত্থানকে বির্তকিত করার চেষ্টা এখনও চলছে। ছাত্রদের স্পৃহা, মনের আকাঙ্খা আমাদের বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। গত ১৫ বছর সকলক্ষেত্রে বৈষম্য ছিলো। আমাদের সমাজ ও বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে গড়ে তুলতে হলে সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও খুলনা জেলার সমন্বয়ক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন গেলেন: সালাহউদ্দিন আহমেদ।

0

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন গেলেন: সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৪০মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকালে একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সালাহউদ্দিন আহমেদ। লন্ডনে তার মেয়ে আছেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত মাসের শেষের দিকে লন্ডন সফরে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে স্ত্রীর চিকিৎসার পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

নগরীর ত্রাস কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাড্ডি সাগর অস্ত্র-গোলাবারুদসহ গ্রেফতারঃ

0

নগরীর ত্রাস কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাড্ডি সাগর অস্ত্র-গোলাবারুদসহ গ্রেফতারঃ

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বদা তৎপর। এলক্ষে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং, স্বর্ণ চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী, হত্যাকান্ডে জড়িত ও কুখ্যাত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নগরীর সিএন্ডবি কলোনীর খেলার মাঠে একজন অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। তৎপ্রেক্ষিতে পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে হাড্ডি সাগরকে দেখতে পায়। এসময় সে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তার কাছে থাকা পিস্তল পুলিশের দিকে তাক করে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ কৌশলে নগরীর ত্রাস শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগর বিশ্বাস ওরফে হাড্ডি সাগর ওরফে বেলাল হোসেনকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ হাতেনাতে আটক করে। ঘটনাস্থলে আটককৃত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগরের হেফাজত হতে ৩ রাউন্ড গুলি ভর্তি ১ টি ম্যাগজিনসহ ১ টি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
খুলনা মহানগরীতে ত্রাস সৃষ্টিকারী ১২ জন সন্ত্রাসীর তালিকায় গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত হাড্ডি সাগর ৩য় শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাকে গ্রেফতারের জন্য সম্প্রতি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কর্তৃক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

উদ্ধারকৃত অবৈধ অস্ত্র দ্বারা সাম্প্রতিক সময়ে কোন অপরাধজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে কিনা। আসামীকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের উৎস, উদ্ধারকৃত অস্ত্র কোথায় কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছে, কোথাও ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কিনা, আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কারা জড়িত এর মূল রহস্য উদঘাটনপূর্বক জড়িত তার সহযোগী আসামীদেরকে গ্রেফতারের এবং আরো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে । এ সংক্রান্তে তার বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা নং-২০, তারিখ-২০/১২/২০২৪ খ্রি., ধারা-১৮৭৮ সালের দ্যা আর্মস এ্যাক্ট এর ১৯-এ রুজু করা হয়েছে।

সিডিএমএস এবং থানার রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি এবং মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের ৭ টি মামলা রয়েছে।

মামলাগুলো যথাক্রমেঃ-
১) কেএমপির সোনাডাঙ্গা থানার, এফআইআর নং-২১/২০৭, তারিখ-১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ধারা-৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮।
২)কেএমপির সোনাডাঙ্গা থানার, এফআইআর নং-১৩, তারিখ-২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/ ১০৯/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
৩) কেএমপির সোনাডাঙ্গা থানার, এফআইআর নং-২৭, তারিখ-২১ নভেম্বর, ২০২৪, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০।
৪) কেএমপির খালিশপুর থানার ,এফআইআর নং-১৩/১৩, তারিখ-০৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ধারা-৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮।
৫) সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-২২/০২/২০২৪ইং, ধারা-৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
৬) খুলনা সদর থানার মামলা নং-২৫, তারিখ-১৯/১২/২০২৪ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
৭) রূপসা থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-০৭/১২/২০২৪ইং ধারা-১৪৩/৩২৬/৩০৭/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ জন আটক:

0

৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ জন আটক:

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরীকে মাদকমুক্ত করতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা সদর থানা পুলিশ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪  সকাল ১০.২০ ঘটিকার সময় ৭৩ খান এ সবুর রোডে SA পরিবহন তল্লাশী করে মোঃ শরিফুল ইসলাম(২৮), পিতা-মোঃ খলীল শেখ, সাং-বাশবাড়িয়া বাজার, থানা-টুঙ্গীপাড়া, জেলা-গোপালগঞ্জ, এ/পি সাং-রুপসা বেড়িবাধ ২নং কাষ্টমঘাট, থানা-খুলনা সদর, খুলনাকে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করেছে। মাদকের উৎস এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।