Home Blog Page 34

পাওনা বুঝিয়ে দিতে বিসিবিকে এনএসসির চিঠি

0

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গেট মানি ও প্রচার স্বত্বের টাকা পাওনা আছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি)। গত ২৭ অক্টোবর এই অর্থ চেয়ে বিসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাওনার বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির অনুরোধ করেছে এনএসসি।

জানা গেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় টিকিট বিক্রির ১৫ শতাংশ ও প্রচার স্বত্ব বিক্রির ওপর ১০ শতাংশ অর্থ ক্রিকেট বোর্ড থেকে এনএসসির পাওয়ার কথা। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড এই অর্থ প্রদানে অসহযোগিতা করায় অডিট আপত্তির মুখে পড়েছে এনএসসি।

এই পাওনা আদায়ে বহুবার চিঠি প্রদান করা হলেও নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড খুব কমই জবাব দিয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুনে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা এনএসসিকে দিয়েছিল বিসিবি।

এদিকে বিসিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা এনএসসিকে টিকিট ও প্রচার স্বত্ব বিক্রির সঠিক অঙ্ক জানাতেও গড়িমসি করেছে। এর ফগ্লে নিজেদের প্রাপ্য বুঝে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে এনএসএসিকে।

দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলোর অভিভাবক হিসেবে তাদের দেখভালের দায়িত্ব এনএসসির। তবে বিসিবিতে প্রবল রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় এতদিন ঠিকঠাকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি তারা।

গত জুনেও গেট মানি ও প্রচার স্বত্ত্ব নিয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছিল এনএসসি। তবে জুলাই মাসে ফিরতি চিঠিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিভিন্ন স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় সংস্কার ব্যয় কয়েক কোটি টাকা দেখিয়ে সেখান থেকে এনএসসিকে পাওনা সমন্বয় করতে বলেছিল। সেই সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রী ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দৃশ্যপট বদলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর নতজানু। এখন এনএসসি চিঠি প্রেরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফিরতি চিঠি দিচ্ছে বিসিবি। বিসিবির বর্তমান সভাপতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক। বিসিবির পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বার্থ দেখাও তার দায়িত্ব।

যদিও বিগত সময়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত বিসিবি পরিচালকরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বার্থ তো দূরের কথা সম্পর্কই রাখেননি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক হয়ে পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৩ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৩৭৪ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ২ হাজার ২৬১ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৩৩ জন নিহত এবং আরও ১৫৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

থাইল্যান্ডে যেতে আর ভিসা লাগবে না ভারতীয়দের

ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ অনুমোদন করেছে থাইল্যান্ড। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ (ট্যুরিজম অথরিটি অব থাইল্যান্ড- ট্যাট)।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় পর্যটকরা ভিসাছাড়া একটানা ৬০ দিন থাইল্যান্ডে অবস্থান করতে পারবেন। পরে যদি আরও বেশিদিন থাকার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। থাইল্যান্ডে ভ্রমণ ও অন্যান্য পরিষেবার জন্যও ভারতীয় পর্যটকদের আর ভিসার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে ট্যাট।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় পর্যটকদের কাছে ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয় থাইল্যান্ড। সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯৪ লাখ বিদেশি পর্যটক গেছেন থাইল্যান্ডে। এতে বছরের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ২৪০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে দেশটির জাতীয় অর্থনীতিতে। এই পর্যটকদের একটি বড় অংশই ভারতীয়।

এর আগে গত মে মাসে ভারতীয় পর্যটকদের জন্য অস্থায়ী ভিসা প্রকল্প চালু করেছিল থাই সরকার, যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১১ মে। যেদিন এই ভিসা প্রকল্প শেষ হওয়ার সাথে সাথেই নতুন পদক্ষেপ কার্যকর করবে থাই সরকার।

সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড

ট্রাম্পের জন্য ‘প্রস্তুত হচ্ছে’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন

নিজেদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্টের ক্ষমতা পরিবর্তন এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য জয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে ইউরোপীয় দেশগুলের জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইউরোপের এক ডজনেরও বেশি রাজনীতিক, কূটনীতিক ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।

অবশ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে এসব রাজনীতিক, কূটনীতিক এবং নীতি-নির্ধারকরা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা সৃষ্টি করবে না। কারণ এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প, সে সময় তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে ইইউ নেতাদের। ফলে যেহেতু ট্রাম্পের চিন্তা-ভাবনা, রাজনৈতিক দর্শন প্রভৃতি তাদের কাছে অপরিচিত নয়, তাই ক্ষমতার পালাবদলে এবার যদি ট্রাম্প জয়ী হন—তাহলেও যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ সম্পর্কে তার তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।

জার্মানির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মাইকেল স্টেম্পফ্লি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, “একটা ব্যাপার আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। ইউরোপ কিন্তু মোটেও হতবুদ্ধি অবস্থায় নেই। আমরা খুব ভালো করেই জানি যে যে ই ক্ষমতায় আসুক, তার জন্য আগামী দিনগুলোতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চল। ইউরোপের জন্যও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই অঞ্চলটি।”

তবে দুশ্চিন্তার কারণ যে একেবারেই নেই- এমন নয়। কারণ আগের বার যখন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প, সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তার ইউরোপীয় মিত্রদের জোট ন্যাটোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক বেশ তিক্ত হয়ে পড়েছিল। তিক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে এক পর্যায়ে ট্রাম্প ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন।

নির্বাচনে জিতে যদি তিনি সত্যিই ক্ষমতা গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে ফের এমন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ২০২১ সালে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর গত চার বছরে তিনি

নিজের রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন এনেছেন- এমন কোনো আলামত এখনও স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়নি।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির চেয়ারম্যান টমাস এরনডিল ওয়াশিংটন পোস্টকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রকৃতপক্ষে জো বাইডেন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ প্রেসিডেন্ট, যিনি নিজেকে সত্যিকার অর্থেই আটলান্টিক অঞ্চলের বাসিন্দা মনে করতেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টের যেসব বৈশিষ্ট থাকা উচিত, সেসব তার মধ্যে রয়েছে।”

“এখন যেহেতু তিনি নেই, তাই (যুক্তরাষ্ট্রে) যেই আসুক তাতে এই শূন্যতা পূরণ হবে না। আমাদের উচিত হবে আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়ে ওঠা, বিশেষ করে নিরাপত্তার প্রশ্নে।”

ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কেও আঘাত আসতে পারে। কারণ গতবার যখন ক্ষমতায় ছিলেন, ইউরোপের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিলেন তিনি। এবারও তেমন কিছু হওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক বলেছেন, “সম্ভবত সামনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ফের আঘাত আসবে। এবার এই আঘাত সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের থাকবে।”

সূত্র : আরটি, ওয়াশিংটন পোস্ট

গুমের পর গুলি করে পঙ্গু : অভিযোগ দিতে ট্রাইব্যুনালে শিবির নেতারা

0

অভিযোগ দায়ের করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দারস্থ হয়েছেন গুম ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েকজন নেতাকর্মী। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে অভিযোগ দিতে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করেন তারা।

ভুক্তভোগীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমানুল্লাহ আল জিহাদী (আদীব) জানান, ছাত্রশিবিরের যাদেরকে বিভিন্ন সময়ে গুম করার কয়েকদিন পর গুলি করে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল এমন কয়েকজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতে এসেছেন। অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে বিফ্রিং করা হবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অবৈধ অস্ত্র, মাদক, অবৈধ মালামাল উদ্ধার ও ছিনতাই প্রতিরোধে মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুই পালায় নিরাপত্তামূলক বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে।ঢাকা মহানগরীর হাজারীবাগের বসিলা, কোতোয়ালীর বাবুবাজার, শ্যামপুরের পোস্তগোলা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড, ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার, সবুজবাগের বাসাবো রাস্তায় (কমলাপুর), দারুস সালামের গাবতলী, খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট, উত্তরা পশ্চিম থানার আব্দুল্লাহপুর ব্রিজ ও কামারপাড়া ও তুরাগের ধৌড় ব্রিজ নামক স্থানে ডিএমপির বিশেষ এই চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

আ.লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল, জানালেন হাছান মাহমুদ

0

শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বড় নেতারা। এদের মধ্যে আত্মগোপনে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও।

সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল সে বিষয়ে কথা বলেছেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি অবশ্যই সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম আমাদের এ জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে বিএনপিকে আমরা একোমডেট করে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।

তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার পথে হেঁটেছে। তারপরও আমি মনে করি আমরা যেহেতু সরকারে ছিলাম তাদেরকে আনতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। যদিও-বা তারা সব সময় আমাদের এভাবে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটি আমাদেরও ব্যর্থতা। এটি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এটা আমার দলীয় বক্তব্য নয়।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সঙ্গে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবসহ তাদের শীর্ষ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা- এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। এছাড়াও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রশ্ন থেকে শুরু করে দেশে যাতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানকেও সাধুবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, কোনো সরকারই কিন্তু শেষ সরকার নয়, মনে রাখতে হবে; আমাদের ক্ষেত্রে আমরাও শেষ সরকার ছিলাম না।

দেশের পরিস্থিতি কিন্তু একটু ঘোলাটে মির্জা আব্বাস

0

দেশের পরিস্থিতি কিন্তু একটু ঘোলাটে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমার ধারণা, এই পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই সরকার জাতিকে একটা আশার আলো দেখাবে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ ও প্রজন্ম দল।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমি বলতে চাই, আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আশাহত হয়।

তিনি বলেন, আজকে সংবাদপত্রে এসেছে- কেউ বলছেন নির্বাচনের আগেই সংস্কার করা হবে। আবার আরেকজন বললেন যে, সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে। এই সংস্কার করতে আপনাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) কয়দিন লাগবে। আমরা তো সংস্কারের কোনো লাইন দেখতে পাচ্ছি না, যে সংস্কারের ওইদিকে আমরা যাচ্ছি।

তারা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেন না বলে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, যদি বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনের কথা বলে, তখন তারা বলে- ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। এর উত্তরে আমরা যদি বলি, আপনার নির্বাচনের কথা না বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছেন। সুতরাং কোনো রকম ছলচাতুরি করার প্রয়োজন নেই। জাতিকে স্পষ্টভাবে জানান, কবে আপনারা নির্বাচন দিতে চান।

জাতিকে একটা অস্পষ্ট অবস্থানে রেখে দেবেন, আর তারা বসে বসে দেখবেন সেটা এটা ভাবার কারণ নেই, উল্লেখ করেন আব্বাস।

৫ আগস্টের আগে প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠান করতে গেলে পুলিশসহ বিভিন্ন প্রশাসনের হয়রানির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে সেটা চোখে পড়েনি। কিন্তু গত ১৭ বছরের যে ভীতি সেটা এখনও আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে। গত ১৭ বছরে মনে হয় ১৫-২০ বার জেলে গিয়েছি। আমরা থাকতাম জেলে, মাঝে মাঝে সেখান থেকে বেড়াতে বের হতাম আরকি। আমাদের আবাসিক ঠিকানা ছিল কেরানীগঞ্জে। সেখানে থেকে মাঝে মাঝে বের হতাম। এখন আর যেতে হয় না। আশা করছি, আর যেতে হবে না।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সীমালঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। আরেকটা ছিল অহংকার। আওয়ামী লীগের মধ্যে এই দুইটাই ছিল। এই দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা (শেখ হাসিনার সরকার) দেশের হর্তাকর্তা হয়েছিল।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র।

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

তাবলিগ জামাতের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে দুই বার নয়, ইজতেমা একবারই হবে। তাছাড়া গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদপন্থিদের আর ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার দুপুরে এক মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন তাবলিগ জামাতের কওমিপন্থি শীর্ষ নেতারা।

ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ তাবলিগ কওমি মাদরাসা ও দ্বীন রক্ষার্থে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। মহাসম্মেলনে বক্তব্য দেন তাবলিগ ও কওমিপন্থি শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা।

এদিকে ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা বিপুল সংখ্যক আলেম–ওলামা জড়ো হওয়ায় পূর্ণ হয়ে যায়।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হয় এবং বেলা সোয়া ১টার দিকে তা শেষ হয়।

সম্মেলনে আলেমরা বলেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলনে মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, ওবায়দুল্লাহ ফারুক, রশিদুর রহমান, শায়খ জিয়াউদ্দিন, শায়খ সাজিদুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাহফুজুল হক, আবু তাহের নদভী, আরশাদ রহমানি, সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ারুল করীম, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি মনসুরুল হক, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আলেমরা।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজতে কমিটি গঠনে রুল

ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে বিডিআর হত্যাকাণ্ড দিবসকে ‘শহিদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন তদন্ত কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন চেয়ে গত ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আবেদন আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।

বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছেন ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।

হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে।