হাসিনাকে ফেরত আনলে বিচারটা ভালোভাবে করা যাবে: তাজুল ইসলাম।

0
15

হাসিনাকে ফেরত আনলে বিচারটা ভালোভাবে করা যাবে: তাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার যদি ফেরত আনতে পারে তাহলে বিচারটা ভালোভাবে করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে সরকারের আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানোর বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর এ মন্তব্য করেন।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের রিকোয়েস্টের ভিত্তিতেই রাষ্ট্র এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। রাষ্ট্র তার কাজ করেছে। তাকে ফেরত পাওয়ার জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলে চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার যদি তাকে ফেরত আনতে পারে তাহলে বিচারটা ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।

সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। এটা ভারতকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ভারতকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে।

এরআগে গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় প্রসিকিউশনের আবেদনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here