ক্ষীতিশ চন্দ্রের হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জন গ্রেপ্তার।
মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বাগেরহাটের চিতলমারীতে ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ক্ষীতিশ চন্দ্রের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জন আসামিকে হত্যাকান্ডের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬
ভিকটিম ক্ষীতিশ চন্দ্র গাইন এর সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন গত ১৩ নভেম্বর ১১:০০ ঘটিকায় উক্ত বিষয় নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যায়। এরপর আনুমানিক ১২:৪৫ ঘটিকায় আসামিরা ক্ষীতিশ চন্দ্র গাইন এর বাড়িতে প্রবেশ করে ঝগড়া এবং গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি তাদেরকে ঝগড়া এবং গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। মারামারির এক পর্যায়ে আসামি মোঃ শফিনুর শেখের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের বুকে ও গলায় গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে গত ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সদর কোম্পানি, র্যাব-৬, খুলনা এর একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও অভিযান পরিচালনা চলমান রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫:১০ ঘটিকায় র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানাধীন বানারজোর গ্রামের একটি বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার আসামি নূর মোহাম্মদ (৬০), পিতা- মৃত মোফেল শেখ, সাং- চর বড়বাড়িয়া, গাইনপাড়া, থানা- চিতলমারী, জেলা- বাগেরহাটকে এবং সদর কোম্পানি ও ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প (সদর কোম্পানি) আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকায় কাশিয়ানী থানাধীন কুশুমদিয়া গ্রামস্ত সাজাইল ইউনিয়নের অপর একটি বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ শফিনুর শেখ (৪০), পিতা- মৃত সেকেল উদ্দিন শেখ, সাং- চর বড়বাড়িয়া, গাইনপাড়া, থানা- চিতলমারী, জেলা- বাগেরহাটকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের চিতলমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।