খুলনার ডুমুরিয়ায় জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন
মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ আমরা এদেশের মানুষকে আধিপত্যবাদ মুক্ত একটি উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ
-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “কুরআনের সাথে আমাদের নিজের জীবনকে মেলাতে হবে। জামায়াতে ইসলমীর সহযোগী ভাইদের আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে পড়তে হবে। অসহায় মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে হবে। অসহায় মানুষকে আর্থিকভাবে উন্নয়ন করতে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামের আদর্শ দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। আমরা এদেশের মানুষকে আধিপত্যবাদ মুক্ত একটি উন্নত ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।”
১৫ ডিসেম্বর রোববার খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ নং মাগুরখালী ইউনিয়ন আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি সোহরাব হোসেনের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা সনাতনী সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডল।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “কুরআনের সবগুলো বিধানই সমাজে কায়েম করা ফরজ। কোনো একটি বিধান অস্বীকার করলে কাফির বলে গণ্য হবেন। অথচ আমাদের দেশে কুরআনের বিধান চালু নেই। এজন্য নাগরিকগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কুরআনের বিধান চালু হলে মানুষ তার প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদেরকে শপথ নিতে হবে এ পথে হয়তো আমরা বিজয়ী হবো নতুবা আমাদের জীবন চলে যাবে তবুও এ থেকে আমরা বিচ্যূত হবো না। মানুষের ঘরে ঘরে আল্লাহ দ্বীনের দাওয়াত ও জামায়াতের আহবান পৌঁছে দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তিদের নিজেদের পরিবার, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের হক আদায় করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষ হিসেবে আমরা আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেই এসেছি নিশ্চয়ই আল্লাহই আমাদের রব। তিনি আমাদের হুকুমদাতা, তিনি আমাদের বিধান দাতা, রিজিকদাতা সবকিছু। এটা স্বীকার করেই আমরা দুনিয়ায় এসেছি। পৃথিবীর কোনো ঘরই আমাদের জন্য স্থায়ী নয়। অতএব আখেরাতের স্থায়ী ঘর নির্মাণের জন্য আমাদেরকে ব্যাকুল থাকতে হবে। কুরআনের আলোকে জামায়াতের সহযোগীদের মাঠে ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে। আসুন দুনিয়ার অশান্তি থেকে বাঁচতে, আখেরাতের ভয়াবহ আগুন থেকে বাঁচার জন্য কালিমার বিধানের আলোকে আমাদের জীবন পরিচালনা করি।