Home Blog Page 9

শাহজাহানপুর থানা পুলিশ কর্তৃক চার পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেফতার।

0

শাহজাহানপুর থানা পুলিশ কর্তৃক চার পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেফতার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-  মো: ছাইদুল ইসলাম (২৬),  মোঃ ওমর ফারুক (২০), মোঃ হৃদয় (২০) ও  মোঃ সোহাগ (২৬)।

শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪. রাত ১১:৩০ ঘটিকায় শাহাজানপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।

শাহাজানপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় বাদী মোঃ আরিফুর রহমান তালতলা হতে মগবাজার যাওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে রওয়ানা করেন। তিনি শাহজাহানপুর থানার আনসার ভিডিপি অফিসের বিপরীত পাশে রাস্তার উপর পৌঁছালে গ্রেফতারকৃতরা ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে তার নিকট হতে টাকা-পয়সা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন বাদীর চিৎকারে শাহজাহানপুর থানার টহল টিম জনসাধারণের সহায়তায় ছিনতাইকারীদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় মোঃ আরিফুর রহমান নিজে বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় মামলা রুজু করেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাবেক আইজিপি এম. এনামুল হকের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত।

0

সাবেক আইজিপি এম. এনামুল হকের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ সাবেক আইজিপি ড. এম. এনামুল হকের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অ্যা পোর্ট্রেট ইন রিফ্লেকশনস (A Portrait in Reflections)’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব আজ শনিবার বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম।

ড. এম. এনামুল হক বলেন, সত্য কথা বলার চেয়ে বড় কাজ কিছু নেই। তিনি পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান। নিজের লেখা বই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বইটিতে আমার পরিবার, চাকরি জীবনের নানা ঘটনা এবং দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, বইটিতে এনামুল হক স্যার তার কর্মজীবনের নানা স্মৃতি এঁকেছেন। তিনি অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন, দুঃখের কথা বলেছেন। বইটি পড়লে আমরা উপকৃত হবো।

লেখকের সহকর্মী ও পরিবারের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বইটি প্রকাশ করেছে ‘অতঃপর প্রকাশনী’ ।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ঢাকা ক্লাবের নেতৃবৃন্দের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন।

0

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ঢাকা ক্লাবের নেতৃবৃন্দের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন।

মীর রাজিবুল হাসান নাজমুল : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ । শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামালের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি খান সেলিম রহমান,মোঃ আমিনুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক কে এম মোহম্মাদ হোসেন রিজভী,পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান,মোঃ সোহেল রহমান,মোঃ মোফাজেল হোসেন রাজু,মোঃ আজাহার আলী,মোঃ ইউনুস আলী প্রমুখ। এ সময় সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য জুলাই গণঅভ্যুথানের বিপ্লবকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসের এক জঘন্য কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে পুরো দেশের মানুষ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও কবি-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে জাতিকে মেধাশূন্য করার এ নৃশংস নিধনযজ্ঞ সেদিন গোটা জাতিসহ পুরো বিশ্বকেই হতবিহ্বল করে দিয়েছিল। আজ আমরা তাদের গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করি যারা প্রাণ দিয়ে আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আলোচনা সভা।

0

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আলোচনা সভা।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ভারত বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানি বন্ধ করে রাখা আর বর্ষায় পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করা, সীমান্তে বাংলাদেশীদের পশুর মত হত্যা করা কখনো বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা হতে পারে না। রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে আমরা কখনো আমাদের শত্রু মনে করি না। ভারতের শাসক গোষ্ঠী আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বারবার আঘাতের চেষ্টা করছে এবং আমাদের সাথে শত্রুর মত আচরণ করে আসছে।

শনিবার ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের নায়েব আমীর আব্দুস সবুর ফকির, সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলোয়ার হোসেন, মো. কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “যাদের সাহায্যে আমরা স্বাধীন হয়েছি বলে প্রচার করা হয়, তারা মূলত দুটি কারণে সহযোগিতা করেছে-

প্রথমতঃ ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই তারা বাংলাদেশকে অস্ত্র দিয়ে, সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। দ্বিতীয়তঃ চতুর্দিকে ভারত আর পেটের মধ্যে বাংলাদেশ। এই ভূমি পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে পারলে ভারত নিজের অঙ্গরাজ্যের মত করে ব্যবহার করতে পারবে। এ দুটি কারণেই তারা বন্ধু সেজেছে।

১৪ ডিসেম্বর তারা বেছে বেছে জাতির সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এই হত্যাকান্ড কারা ঘটিয়েছে সেটি জাতির সামনে এখনো প্রকাশিত করা হয়নি। এখনো সময় আছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান একটি ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আজ পর্যন্ত তাঁকে এবং সেই ডকুমেন্টারির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য জহির রায়হানের ডকুমেন্টারি উদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে।”

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “বিজয়ের একদিন আগে বেছে বেছে সাংবাদিক, শিল্পী, গবেষক, শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো কারা? এটি স্পষ্ট আধিপত্যবাদীরাই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। এ রহস্য উদঘাটন করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য। আধিপত্যবাদী শক্তি এজন্যই জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, আলেম-ওলামা সহ এদেশের গুণীজনদের হত্যা করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিন্দু পরিমাণও বাধা দেবে না: প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

0

অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিন্দু পরিমাণও বাধা দেবে না: প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিন্দু পরিমাণও বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, এরকম স্বাধীনতা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে ফ্রিডম অব প্রেস ও স্পিচ নিশ্চিত করা। কারো স্বাধীনতায় আমরা এক ইঞ্চি আটকাব না। এরকম স্বাধীনতা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি।

তিনি বলেন, কেউ বলতে পারবে না কাউকে আমরা একটা নিউজের ক্ষেত্রে মাথা ঘামিয়েছি। অনেকে বলছেন আমাদের সময়ে মামলা হচ্ছে, কিন্তু গিয়ে দেখেন আমরা কেউ এর মধ্যে আছি কি না।

প্রেস সচিব বলেন, জুলাইয়ের ১৪ তারিখ থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত একটা ভয়াবহ সময় পার করেছি। আমরা ট্রমার মধ্যে ছিলাম। মুখটাকে বন্ধ করতে যা ইচ্ছা তাই করেছে। অনেকে তাদের দালাল হিসেবে কাজ করেছে। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে দালালি করেছেন। অনেক সাংবাদিক কিন্তু স্বৈরাচারের সঙ্গে তেলযুদ্ধে পারেননি। কম তেল হলেই আউট। ১৫টি বছর আমরা এভাবে কাটিয়েছি।

যারা মাঠে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করেন তাদের পরিপূর্ণ সেফটি গিয়ার সরবরাহ করতে মালিক-কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রেস সচিব। বলেন, যারা সংবাদপত্র চালান তাদের একটা বড় দায় রয়েছে। মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের সেফটি ইকুইপমেন্ট পর্যাপ্তভাবে দেন না। বৃষ্টিতে ভিজে, রিস্ক নিয়ে যিনি সংবাদ কাভার করেন, সে রিস্ক কেউ নেয় না। কোনো প্রতিবেদককে যেন সেফটি গিয়ার বাদে সংবাদ কাভার করতে না হয়। বাংলাদেশের সবাই যেন প্রত্যেকটা ঘটনা রিস্ক ফ্রি ওয়েতে কাভার করেন।

সরকার এই দেশকে সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় বলেও জানান প্রেস সচিব। বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কোনো গণমাধ্যমকর্মী যাতে আহত না হন।’

ভারতের কাছে স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন : সারজিস আলম।

0

ভারতের কাছে স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন : সারজিস আলম।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  ভারতের কাছে স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে ভারতের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের মধ্যে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের শহীদ ৩৯ জনের পরিবারের মধ্যে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার চেক বিতরণ করা হয়।

এসময় সারজিস আলম বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে তা তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে ভারতকে খুনি হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে।

তিনি বলেন, শহীদদের হত্যা মামলাগুলোতে বিচারকার্য পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।

গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন করে পোস্টিং তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছে।

সারজিস বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই-আগস্টের শহীদদের লাশ কেন কবর থেকে তুলতে হবে? আর কোনো শহীদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।

গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে কাউকেই ছাড়া দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস আলম।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আইজিপির শ্রদ্ধা

0

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আইজিপির শ্রদ্ধা

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি এবং র‍্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, পিপিএম, এনডিসি উপস্থিত ছিলেন।

ধানের বস্তার নিচে লুকানো ৪০ কেজি গাঁজা জব্দসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-মতিঝিল।

0

ধানের বস্তার নিচে লুকানো ৪০ কেজি গাঁজা জব্দসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-মতিঝিল।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর কমলাপুর এলাকা থেকে একটি পিকআপের পেছনে ধানের বস্তার নিচে অভিনব কায়দায় লুকানো ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-মতিঝিল বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম- মোঃ হানিফ মিয়া (৩০)।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি.) দুপুর ১২:৫০ ঘটিকায় কমলাপুর রেলস্টেশন ডিপোর সামনে অভিযান পরিচালনা করে এ বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম ।

ডিবি-মতিঝিল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি.) ডিবি পুলিশের খিলগাঁও জোনাল টিম ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, মুগদা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিপরীত পাশে কমলাপুর রেলস্টেশন ডিপোর সামনে পাকা রাস্তার উপর তিনজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টিমটি দুপুর ১২:৫০ ঘটিকায় সেখানে পৌঁছালে তিনজন ব্যক্তিকে একটি পিকআপ গাড়িসহ অবস্থান করতে দেখতে পায়। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দুইজন কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ও তখন হানিফ নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হানিফের দেখানো মতে পিকআপ গাড়িটির পিছনে ২০ বস্তা ধানের নিচে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ১৬ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমাণ ৪০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য আট লক্ষ টাকা। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান এবং মাদক লুকানোর কাজে ব্যবহৃত ২৪ বস্তা (২০ মণ) ধানও জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত একজন ও পলাতক দুইজনসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে ডিএমপির মুগদা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত হানিফ এবং পলাতকরা জব্দকৃত গাঁজা গাড়িযোগে পরিবহন করে বেচা-কেনার জন্য ওই স্থানে অবস্থান করছিলো।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রমনায় র‍্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি; মাইক্রোবাসসহ সংঘবদ্ধ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার

0

রমনায় র‍্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি; মাইক্রোবাসসহ সংঘবদ্ধ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর রমনার কাকরাইল মোড় এলাকায় র‍্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় মাইক্রোবাস ও মোবাইলফোনসহ সংঘবদ্ধ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির রমনা মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (৩৫), ২। মোঃ কবির হোসেন (৫০), ৩। মোঃ শরিফ (২৫), ৪। মোঃ মনির হোসেন (৪০) ও ৫। মোঃ হাবিবুর খন্দকার (৩৮)। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও আটটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়।

রমনা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, ডেমরার মাতুয়াইলের ট্রাসমি কোম্পানি লিঃ এর ডিএমডি ভিকটিম সাইফুল ইসলাম (৩৮) গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরের পর তাঁতিবাজারের রামের গদি নামক স্বর্ণালংকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ২৬ লক্ষ ১২ হাজার টাকা একটি স্কুল ব্যাগের ভিতরে নিয়ে বাড্ডার বাসায় যাওয়ার জন্য বংশাল চৌরাস্তা থেকে প্রচেষ্টা বাসে ওঠেন। বিকাল আনুমানিক ৪:২৫ ঘটিকায় বাসটি রমনার কাকরাইল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে পড়লে হঠাৎ ১০/১২ জন লোক ওই বাসে উঠে নিজেদেরকে র‍্যাবের সদস্য পরিচয় দেয়। তাদের মধ্যে একজন ‘র‍্যাব’ লেখা জ্যাকেট পরে ছিল এবং তার কাছে হ্যান্ডকাফ ও ওয়্যারলেস সেট ছিল। তারা যাত্রীদের বলে, এই গাড়িতে মামলার আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ভিকটিম সাইফুল ইসলামকে দেখিয়ে দিলে অন্যরা তাকে ধরে জোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করে বাস থেকে নামিয়ে তাদের ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে উঠায়। মাইক্রোবাসের মধ্যে তারা ভিকটিম মোঃ সাইফুল ইসলামের দুই হাত পিছনে নিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার সাথে থাকা ২৬ লক্ষ ১২ হাজার টাকা, তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ ১০ হাজার টাকা, হাত ঘড়ি, প্যান্টে পরিহিত বেল্ট ছিনিয়ে নিয়ে দুই হাত ও চোখ বেঁধে ডেমরা এলাকার রাস্তায় ফেলে দেয়। এ ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর ভিকটিম মোঃ সাইফুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির রমনা মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা রুজু হয়।

থানা সূত্রে আরো জানা যায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৪) সকাল ১০:০০ ঘটিকায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয় এবং চালক মোঃ কবির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে গ্রেফতারকৃত কবির হোসেনের দেওয়া তথ্য মতে ওই দিন দুপুর ১:৪০ ঘটিকায় বংশালের আল রাজ্জাক হোটেলের সামনে অভিযান পরিচলনা করে সাজ্জাদ, শরিফ, মনির, হাবিবুর নামে আরো চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বাহিনীর সদস্যের মত চেইন অব কমান্ড মেনে ডাকাতি করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা নেতৃত্বস্থানীয় সদস্যদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করে এবং সে অনুযায়ী ডাকাতির পর ভাগের টাকা নির্ধারণ করে। তাদের এই দলের মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০-১২ জন যারা একেকটি ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন ধাপে কাজ করে থাকে।

গ্রেফতারকৃতদের রমনা মডেল থানায় রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত,অন্যান্য লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা ও ডাকাত দলের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান জামায়াত নেতৃবৃন্দ

0

ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান জামায়াত নেতৃবৃন্দ

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ টার্কি ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়ন এর প্রতিনিধি দলকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের ও জামায়াতে ইসলামী ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা।

উল্লেখ্য গত ১০ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। ঐ প্রতিনিধি দলে ছিলেন ড. রফিক কোরকুসুজ, কামাল কেয়া, মেহসুরেত আকিনলি, হোসনি ইয়াযযান, হান্না একবুলাট ও রাসিম আয়তিন।