শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আলোচনা সভা।
মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ভারত বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানি বন্ধ করে রাখা আর বর্ষায় পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করা, সীমান্তে বাংলাদেশীদের পশুর মত হত্যা করা কখনো বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা হতে পারে না। রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে আমরা কখনো আমাদের শত্রু মনে করি না। ভারতের শাসক গোষ্ঠী আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বারবার আঘাতের চেষ্টা করছে এবং আমাদের সাথে শত্রুর মত আচরণ করে আসছে।
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের নায়েব আমীর আব্দুস সবুর ফকির, সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলোয়ার হোসেন, মো. কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “যাদের সাহায্যে আমরা স্বাধীন হয়েছি বলে প্রচার করা হয়, তারা মূলত দুটি কারণে সহযোগিতা করেছে-
প্রথমতঃ ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই তারা বাংলাদেশকে অস্ত্র দিয়ে, সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। দ্বিতীয়তঃ চতুর্দিকে ভারত আর পেটের মধ্যে বাংলাদেশ। এই ভূমি পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে পারলে ভারত নিজের অঙ্গরাজ্যের মত করে ব্যবহার করতে পারবে। এ দুটি কারণেই তারা বন্ধু সেজেছে।
১৪ ডিসেম্বর তারা বেছে বেছে জাতির সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এই হত্যাকান্ড কারা ঘটিয়েছে সেটি জাতির সামনে এখনো প্রকাশিত করা হয়নি। এখনো সময় আছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান একটি ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আজ পর্যন্ত তাঁকে এবং সেই ডকুমেন্টারির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য জহির রায়হানের ডকুমেন্টারি উদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে।”
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “বিজয়ের একদিন আগে বেছে বেছে সাংবাদিক, শিল্পী, গবেষক, শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো কারা? এটি স্পষ্ট আধিপত্যবাদীরাই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। এ রহস্য উদঘাটন করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য। আধিপত্যবাদী শক্তি এজন্যই জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, আলেম-ওলামা সহ এদেশের গুণীজনদের হত্যা করেছে।