Home Blog Page 8

ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে যা বললেন : রামোস।

0

ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে যা বললেন : রামোস।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে। পৃথিবীতে সম্ভবত তিনিই একমাত্র নেতা, যার এত যোগ্যতা রয়েছে।

আজ রোববার ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রামোস এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে, যা বিস্ময়কর। পৃথিবীতে সম্ভবত তিনি একমাত্র নেতা, যিনি এত সম্মানিত এবং যার এমন শক্তশালী একাডেমিক সব যোগ্যতা রয়েছে।

রামোস হোর্তা বলেন, আগামীতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনীতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী।

এদিকে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় আসেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হোর্তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় বিমানবন্দরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৪-১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন জোসে রামোস হোর্তা। তার সফরে অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হবে। এ ছাড়া তার সফরকালে ঢাকায় পূর্ব তিমুরের অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসবে।

চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা; কেএমপি পরিবারের মিলনমেলা।

0

চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা; কেএমপি পরিবারের মিলনমেলা।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ গতকাল  ১৪ ডিসেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকায় মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কেএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ এবং নন পুলিশ সদস্যদের সন্তানেরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের সমারোহে পুলিশ লাইন্স যেন এক অভূতপূর্ব মিলনমেলায় পরিণত হয়। পৃথক তিনটি গ্রুপে; যথা- প্লে হতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ, চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ এবং সপ্তম শ্রেণী হতে তদূর্ধ্ব পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১৫৬ জন প্রতিযোগী চিত্রাঙ্কনে অংশগ্রহণ করে।

কোমলমতি শিশু প্রতিযোগীদের নরম হাতের ছোঁয়ায় প্রকৃতি এবং স্মৃতিসৌধসহ নান্দনিক সব চিত্র অঙ্কিত হয়, এ যেন ছোট্ট হৃদয়ে বিশালতার পরিস্ফুটন, যা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ ও অভিভূত করে।

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার সকল পুলিশ পরিবারকে অভিনন্দন এবং তাদের সন্তানদের একান্তভাবে উৎসাহ প্রদান করেন। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের অভিমত জানতে চাইলে কোমলমতি প্রতিযোগীরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। এ ধরনের আয়োজনের জন্য শিশুদের অভিভাবকরাও উৎফুল্ল এবং দারুণভাবে অনুপ্রাণিত। অভিভাবকদের অনেকেই জানান যে, এই প্রথম কেএমপি পুলিশ লাইন্সে এধরনের একটি চমৎকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, যা তাদের সন্তানদের জীবনে চমৎকার স্মৃতি হয়ে থাকবে। তারা কেএমপি পরিবারকে একত্র করার জন্য পুলিশ কমিশনারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। একইসাথে এধরনের আরো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করার জন্য আহ্বান জানান।

প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে গীতশ্রী কাঞ্জিলাল ১ম, সুকৃতি দাস ২য় এবং অনির্বাণ মণ্ডল ৩য় স্থান অধিকার করে।
‘খ’ গ্রুপে স্নেহা বাড়ই ১ম, সামিয়া চৌধুরী ২য় এবং আফিফা নওশীন ৩য় হন। ‘গ’ গ্রুপে উম্মে জান্নাত লিসা ১ম, প্রেরণা পাল ২য় এবং জয়িতা সাহা ৩য় স্থান অধিকার করে।
পুলিশ কমিশনার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তিনি বলেন কেএমপি পুলিশ পরিবারের সন্তানদের সুপ্ত মেধা বিকাশের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। একটি সুস্থ জাতি গঠনে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আমাদের সন্তানরা যেন সৃজনশীল মানসিকতা নিয়ে বড় হতে পারে তার জন্য আমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের সন্তানরা যেন দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবিক মূল্যবোধে জাগ্রত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে, এজন্য তাদেরকে তৈরি করতে হবে। তাদের জন্য মেধাবৃত্তিক আরো প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা নিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এসময় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিনান্স) আবু রায়হান মোঃ সালেহ সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

0

দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সব ঠিক থাকলে আগামী ২১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে তিনি উপস্থিত থাকবেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ১৪ ডিসেম্বর দলীয় একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সূত্র জানায়, তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে অংশ নেবেন। এ জন্য সমাবেশ দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করা হবে। খালেদা জিয়া ছাড়াও এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন।

এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কথা দিয়েছেন, সমাবেশে খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা বাধাবিপত্তির মধ্যেও সমাবেশ করে সংগঠনটি। তবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর এবার মনোরম পরিবেশে সমাবেশ করতে চান নেতারা। এ জন্য খালেদা জিয়াকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণে সায় মিলেছে বলেও জানিয়েছেন দায়িত্বশীল নেতারা।

তারা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবেশ করার প্রস্তুতি চলছে। ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সমাবেশ শুরু হয়ে ৫টায় শেষ হবে। স্থায়ী কমিটিসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

খুলনার ডুমুরিয়ায় জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন

0

খুলনার ডুমুরিয়ায় জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ আমরা এদেশের মানুষকে আধিপত্যবাদ মুক্ত একটি উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ
-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “কুরআনের সাথে আমাদের নিজের জীবনকে মেলাতে হবে। জামায়াতে ইসলমীর সহযোগী ভাইদের আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে পড়তে হবে। অসহায় মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে হবে। অসহায় মানুষকে আর্থিকভাবে উন্নয়ন করতে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামের আদর্শ দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। আমরা এদেশের মানুষকে আধিপত্যবাদ মুক্ত একটি উন্নত ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।”

১৫ ডিসেম্বর রোববার খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ নং মাগুরখালী ইউনিয়ন আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি সোহরাব হোসেনের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা সনাতনী সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডল।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “কুরআনের সবগুলো বিধানই সমাজে কায়েম করা ফরজ। কোনো একটি বিধান অস্বীকার করলে কাফির বলে গণ্য হবেন। অথচ আমাদের দেশে কুরআনের বিধান চালু নেই। এজন্য নাগরিকগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কুরআনের বিধান চালু হলে মানুষ তার প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদেরকে শপথ নিতে হবে এ পথে হয়তো আমরা বিজয়ী হবো নতুবা আমাদের জীবন চলে যাবে তবুও এ থেকে আমরা বিচ্যূত হবো না। মানুষের ঘরে ঘরে আল্লাহ দ্বীনের দাওয়াত ও জামায়াতের আহবান পৌঁছে দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তিদের নিজেদের পরিবার, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের হক আদায় করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষ হিসেবে আমরা আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেই এসেছি নিশ্চয়ই আল্লাহই আমাদের রব। তিনি আমাদের হুকুমদাতা, তিনি আমাদের বিধান দাতা, রিজিকদাতা সবকিছু। এটা স্বীকার করেই আমরা দুনিয়ায় এসেছি। পৃথিবীর কোনো ঘরই আমাদের জন্য স্থায়ী নয়। অতএব আখেরাতের স্থায়ী ঘর নির্মাণের জন্য আমাদেরকে ব্যাকুল থাকতে হবে। কুরআনের আলোকে জামায়াতের সহযোগীদের মাঠে ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে। আসুন দুনিয়ার অশান্তি থেকে বাঁচতে, আখেরাতের ভয়াবহ আগুন থেকে বাঁচার জন্য কালিমার বিধানের আলোকে আমাদের জীবন পরিচালনা করি।

শাহজাহানপুর থানা পুলিশ কর্তৃক চার পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেফতার।

0

শাহজাহানপুর থানা পুলিশ কর্তৃক চার পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেফতার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-  মো: ছাইদুল ইসলাম (২৬),  মোঃ ওমর ফারুক (২০), মোঃ হৃদয় (২০) ও  মোঃ সোহাগ (২৬)।

শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪. রাত ১১:৩০ ঘটিকায় শাহাজানপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।

শাহাজানপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় বাদী মোঃ আরিফুর রহমান তালতলা হতে মগবাজার যাওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে রওয়ানা করেন। তিনি শাহজাহানপুর থানার আনসার ভিডিপি অফিসের বিপরীত পাশে রাস্তার উপর পৌঁছালে গ্রেফতারকৃতরা ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে তার নিকট হতে টাকা-পয়সা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন বাদীর চিৎকারে শাহজাহানপুর থানার টহল টিম জনসাধারণের সহায়তায় ছিনতাইকারীদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় মোঃ আরিফুর রহমান নিজে বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় মামলা রুজু করেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাবেক আইজিপি এম. এনামুল হকের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত।

0

সাবেক আইজিপি এম. এনামুল হকের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ সাবেক আইজিপি ড. এম. এনামুল হকের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অ্যা পোর্ট্রেট ইন রিফ্লেকশনস (A Portrait in Reflections)’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব আজ শনিবার বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম।

ড. এম. এনামুল হক বলেন, সত্য কথা বলার চেয়ে বড় কাজ কিছু নেই। তিনি পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান। নিজের লেখা বই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বইটিতে আমার পরিবার, চাকরি জীবনের নানা ঘটনা এবং দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, বইটিতে এনামুল হক স্যার তার কর্মজীবনের নানা স্মৃতি এঁকেছেন। তিনি অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন, দুঃখের কথা বলেছেন। বইটি পড়লে আমরা উপকৃত হবো।

লেখকের সহকর্মী ও পরিবারের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বইটি প্রকাশ করেছে ‘অতঃপর প্রকাশনী’ ।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ঢাকা ক্লাবের নেতৃবৃন্দের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন।

0

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ঢাকা ক্লাবের নেতৃবৃন্দের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন।

মীর রাজিবুল হাসান নাজমুল : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ । শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামালের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি খান সেলিম রহমান,মোঃ আমিনুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক কে এম মোহম্মাদ হোসেন রিজভী,পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান,মোঃ সোহেল রহমান,মোঃ মোফাজেল হোসেন রাজু,মোঃ আজাহার আলী,মোঃ ইউনুস আলী প্রমুখ। এ সময় সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য জুলাই গণঅভ্যুথানের বিপ্লবকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসের এক জঘন্য কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে পুরো দেশের মানুষ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও কবি-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে জাতিকে মেধাশূন্য করার এ নৃশংস নিধনযজ্ঞ সেদিন গোটা জাতিসহ পুরো বিশ্বকেই হতবিহ্বল করে দিয়েছিল। আজ আমরা তাদের গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করি যারা প্রাণ দিয়ে আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আলোচনা সভা।

0

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আলোচনা সভা।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ভারত বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানি বন্ধ করে রাখা আর বর্ষায় পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করা, সীমান্তে বাংলাদেশীদের পশুর মত হত্যা করা কখনো বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা হতে পারে না। রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে আমরা কখনো আমাদের শত্রু মনে করি না। ভারতের শাসক গোষ্ঠী আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বারবার আঘাতের চেষ্টা করছে এবং আমাদের সাথে শত্রুর মত আচরণ করে আসছে।

শনিবার ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের নায়েব আমীর আব্দুস সবুর ফকির, সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলোয়ার হোসেন, মো. কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “যাদের সাহায্যে আমরা স্বাধীন হয়েছি বলে প্রচার করা হয়, তারা মূলত দুটি কারণে সহযোগিতা করেছে-

প্রথমতঃ ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই তারা বাংলাদেশকে অস্ত্র দিয়ে, সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। দ্বিতীয়তঃ চতুর্দিকে ভারত আর পেটের মধ্যে বাংলাদেশ। এই ভূমি পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে পারলে ভারত নিজের অঙ্গরাজ্যের মত করে ব্যবহার করতে পারবে। এ দুটি কারণেই তারা বন্ধু সেজেছে।

১৪ ডিসেম্বর তারা বেছে বেছে জাতির সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এই হত্যাকান্ড কারা ঘটিয়েছে সেটি জাতির সামনে এখনো প্রকাশিত করা হয়নি। এখনো সময় আছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান একটি ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আজ পর্যন্ত তাঁকে এবং সেই ডকুমেন্টারির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য জহির রায়হানের ডকুমেন্টারি উদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে।”

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “বিজয়ের একদিন আগে বেছে বেছে সাংবাদিক, শিল্পী, গবেষক, শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো কারা? এটি স্পষ্ট আধিপত্যবাদীরাই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। এ রহস্য উদঘাটন করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য। আধিপত্যবাদী শক্তি এজন্যই জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, আলেম-ওলামা সহ এদেশের গুণীজনদের হত্যা করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিন্দু পরিমাণও বাধা দেবে না: প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

0

অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিন্দু পরিমাণও বাধা দেবে না: প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিন্দু পরিমাণও বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, এরকম স্বাধীনতা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে ফ্রিডম অব প্রেস ও স্পিচ নিশ্চিত করা। কারো স্বাধীনতায় আমরা এক ইঞ্চি আটকাব না। এরকম স্বাধীনতা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি।

তিনি বলেন, কেউ বলতে পারবে না কাউকে আমরা একটা নিউজের ক্ষেত্রে মাথা ঘামিয়েছি। অনেকে বলছেন আমাদের সময়ে মামলা হচ্ছে, কিন্তু গিয়ে দেখেন আমরা কেউ এর মধ্যে আছি কি না।

প্রেস সচিব বলেন, জুলাইয়ের ১৪ তারিখ থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত একটা ভয়াবহ সময় পার করেছি। আমরা ট্রমার মধ্যে ছিলাম। মুখটাকে বন্ধ করতে যা ইচ্ছা তাই করেছে। অনেকে তাদের দালাল হিসেবে কাজ করেছে। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে দালালি করেছেন। অনেক সাংবাদিক কিন্তু স্বৈরাচারের সঙ্গে তেলযুদ্ধে পারেননি। কম তেল হলেই আউট। ১৫টি বছর আমরা এভাবে কাটিয়েছি।

যারা মাঠে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করেন তাদের পরিপূর্ণ সেফটি গিয়ার সরবরাহ করতে মালিক-কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রেস সচিব। বলেন, যারা সংবাদপত্র চালান তাদের একটা বড় দায় রয়েছে। মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের সেফটি ইকুইপমেন্ট পর্যাপ্তভাবে দেন না। বৃষ্টিতে ভিজে, রিস্ক নিয়ে যিনি সংবাদ কাভার করেন, সে রিস্ক কেউ নেয় না। কোনো প্রতিবেদককে যেন সেফটি গিয়ার বাদে সংবাদ কাভার করতে না হয়। বাংলাদেশের সবাই যেন প্রত্যেকটা ঘটনা রিস্ক ফ্রি ওয়েতে কাভার করেন।

সরকার এই দেশকে সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় বলেও জানান প্রেস সচিব। বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কোনো গণমাধ্যমকর্মী যাতে আহত না হন।’

ভারতের কাছে স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন : সারজিস আলম।

0

ভারতের কাছে স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন : সারজিস আলম।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  ভারতের কাছে স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে ভারতের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের মধ্যে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের শহীদ ৩৯ জনের পরিবারের মধ্যে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার চেক বিতরণ করা হয়।

এসময় সারজিস আলম বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে তা তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে ভারতকে খুনি হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে।

তিনি বলেন, শহীদদের হত্যা মামলাগুলোতে বিচারকার্য পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।

গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন করে পোস্টিং তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছে।

সারজিস বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই-আগস্টের শহীদদের লাশ কেন কবর থেকে তুলতে হবে? আর কোনো শহীদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।

গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে কাউকেই ছাড়া দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস আলম।