Home Blog Page 7

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

0

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ মহান বিজয় দিবস’২৪ উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ-এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বঙ্গভবনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল যোগদান করেন। সংগঠনের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, এডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারের শ্রদ্ধা।

0

রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারের শ্রদ্ধা।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অবস্থিত পুলিশ স্মৃতিসৌধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, এনডিসি, পিএসসি (অব.), প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম, বিপিএম, ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি।

তাঁরা আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় একটি চৌকস পুলিশ দল সশ্রদ্ধ সালাম দেয়। তখন বিউগল বেজে উঠে।

প্রথমে পুলিশ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, এনডিসি, পিএসসি (অব.) এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী। এ সময় আইজিপি বাহারুল আলম, বিপিএম, ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি, র‍্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান পিপিএম, এনডিসি, অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইজিপি বাহারুল আলম, বিপিএম। এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি, র‍্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান পিপিএম, এনডিসি, অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর আলম সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারগণ তাঁর সাথে ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণসহ সকল স্তরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিজয় অর্জনের ৫৪তম বছরে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ।

0

বিজয় অর্জনের ৫৪তম বছরে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করে ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম মহানগর।

আজ (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯.১৫ মিনিটে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালিটি নগরীর লালখান বাজার থেকে শুরু হয়ে ২ নাম্বার গেইটে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে জাতীয় পতাকা ও ব্যানার-ফেস্টুনসহ বিপুল সংখ্যক জনশক্তিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে উন্মুক্ত রাখা হবে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যুদ্ধ জাহাজ।

0

বিজয় দিবস উপলক্ষে উন্মুক্ত রাখা হবে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যুদ্ধ জাহাজ।

মোংলা প্রতিনিধি : মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে মোংলায় সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের দুটি যুদ্ধ জাহাজ। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিগরাজ নেভাল জেটিতে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বানৌজা তুরাগ সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

দর্শনার্থীরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মেনে নৌবাহিনীর এই যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করতে পারবে।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মোংলার দিগরাজ কোস্টগার্ড বেইসে সমুদ্রগামী যুদ্ধজাহাজ বিসিজিএস কামরুজ্জামান সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোস্টগার্ডের জাহাজ ঘুরে দেখার পাশাপাশি এ বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

একইদিনে খুলনার খান জাহান আলী সেতু সংলগ্ন বিসিজি স্টেশন রুপসার জেটিতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জাহাজ বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা এবং ভোলা জেলার ইলিশা লঞ্চঘাটে বিসিজিএস সোনার বাংলা জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

এছাড়াও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মোংলা ও খুলনা নৌ অঞ্চলের বিভিন্ন জাহাজ ও ঘাঁটিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকেও আলাদা কর্মসূচি পালন করা হবে।

মানব সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কোস্টগার্ড ।

0

মানব সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কোস্টগার্ড ।

মোংলা প্রতিনিধি: সুন্দরবনের কটকায় পর্যটকবাহী জাহাজে অসুস্থ যাত্রীর চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড৷

রবিবার ১৫ ডিসেম্বর (২০২৪) সকালে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূল অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি মানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। গত ১৩ ডিসেম্বর (২০২৪) একটি পর্যটক দল ‘এমভি দি ক্রাউন’ নামক জাহাজে করে খুলনা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গমন করে এবং গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাত ১২ টা ১৫ মিনিটের সময় কটকায় অবস্থানকালে জাহাজে অবস্থানরত যাত্রী রহিমা আক্তার (স্বামী ডাঃ ফেরদৌস রহমান সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দেয়। জাহাজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট চিকিৎসা সহায়তার অনুরোধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে সমুদ্রে অবস্থানরত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ নোয়াখালী হতে একটি মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী ও অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ ওই পর্যটকবাহী জাহাজে গমন করে। পরে মেডিকেল টিমটির মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হলে রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এতে অবস্থানরত পর্যটক এবং জাহাজ কর্তৃপক্ষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে এবং সকলে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য যে, ট্যুরিস্ট সিজনে সাধারনত এধরনের জাহাজগুলি সমুদ্র তীরবর্তী সুন্দরবনের গহীন এলাকায় গমন করে থাকে। উক্ত এলাকাসমূহে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত দূর্গম এবং জরুরী চিকিৎসা সেবা দেওয়া অত্যন্ত দুরুহ বিষয়।

তিনি আরো বলেন, জনগণের সেবায় কোস্টগার্ড সর্বদা নিয়োজিত ছিলো এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

দ্রুততম সময়ে নির্বাচন এবং সংস্কারের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন: তারেক রহমান।

0

দ্রুততম সময়ে নির্বাচন এবং সংস্কারের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন: তারেক রহমান।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্রুততম সময়ে নির্বাচন আয়োজন এবং সংস্কারের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণের অধিকার হচ্ছে, তারা জানতে চায়—অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে এবং কবে নির্বাচন হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা, কারণ এরকম পরিস্থিতিতে উপদেষ্টাদের অস্বস্তি দেখানো জনআকাঙ্খার বিরুদ্ধে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষের কাছে প্রশ্ন উঠতে পারে—সংস্কার আগে, না সংসার আগে? কারণ এখন প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে, বাজারে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

তিনি যোগ করেন, ‘সর্বোপরি, সংস্কার আগে যদি সংসারের সমস্যা না সমাধান করা হয়, তবে তা জনগণের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠবে। তাই সংস্কারের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, একটি জবাবদিহিমূলক সংসদ থাকলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। যদি কেউ স্বৈরাচারী হতে চায়, তবে তার সামনে কোনো বিধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।’ তিনি রাষ্ট্রকে ফ্যাসিস্টমুক্ত রাখতে জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন। তার মতে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে দেশের গণতন্ত্রও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের রোডম্যাপ বা কাজের হিসাব জানতে চাইলে তাদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা যায়—এটি দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত। এমন পরিস্থিতি দেশের জন্য বড় চিন্তার বিষয়। জনগণকে নির্বাচনমুখী করার জন্য সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা মনে করুন, সরকার নিজেদের সফল দেখতে চায় কি না। একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্যই বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি। আমাদের কাজ জনগণের কল্যাণে, জনগণের জন্য।’

তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনী যাত্রায় জনগণই আমাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী। তাই আমাদের জনগণের পাশে থাকতে হবে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি হলো এক সঠিক দিশা, যা দেশের সকল বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করবে। আমাদের কাজ মানুষের জীবনে উন্নয়ন আনা এবং একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’

তারেক রহমান শেষ দিকে বলেন, ‘সরকারের উচিত জনগণের কল্যাণে কাজ করা, শুধু নিজেদের আত্মপ্রশংসা না করে। জনগণের সমস্যার প্রতি আন্তরিক দৃষ্টি দেওয়া, এবং তাদের কষ্ট লাঘব করা। আমরা আশা করি সরকার দ্রুততম সময়ে নির্বাচন আয়োজন করবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যতদিন সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে প্রত্যাশা করবে, ততদিন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

এই বক্তব্যের মাধ্যমে, তারেক রহমান সরকারকে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং জনগণের আশা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে যা বললেন : রামোস।

0

ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে যা বললেন : রামোস।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে। পৃথিবীতে সম্ভবত তিনিই একমাত্র নেতা, যার এত যোগ্যতা রয়েছে।

আজ রোববার ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রামোস এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে, যা বিস্ময়কর। পৃথিবীতে সম্ভবত তিনি একমাত্র নেতা, যিনি এত সম্মানিত এবং যার এমন শক্তশালী একাডেমিক সব যোগ্যতা রয়েছে।

রামোস হোর্তা বলেন, আগামীতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনীতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী।

এদিকে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় আসেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হোর্তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় বিমানবন্দরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৪-১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন জোসে রামোস হোর্তা। তার সফরে অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হবে। এ ছাড়া তার সফরকালে ঢাকায় পূর্ব তিমুরের অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসবে।

চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা; কেএমপি পরিবারের মিলনমেলা।

0

চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা; কেএমপি পরিবারের মিলনমেলা।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ গতকাল  ১৪ ডিসেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকায় মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কেএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ এবং নন পুলিশ সদস্যদের সন্তানেরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের সমারোহে পুলিশ লাইন্স যেন এক অভূতপূর্ব মিলনমেলায় পরিণত হয়। পৃথক তিনটি গ্রুপে; যথা- প্লে হতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ, চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ এবং সপ্তম শ্রেণী হতে তদূর্ধ্ব পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১৫৬ জন প্রতিযোগী চিত্রাঙ্কনে অংশগ্রহণ করে।

কোমলমতি শিশু প্রতিযোগীদের নরম হাতের ছোঁয়ায় প্রকৃতি এবং স্মৃতিসৌধসহ নান্দনিক সব চিত্র অঙ্কিত হয়, এ যেন ছোট্ট হৃদয়ে বিশালতার পরিস্ফুটন, যা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ ও অভিভূত করে।

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার সকল পুলিশ পরিবারকে অভিনন্দন এবং তাদের সন্তানদের একান্তভাবে উৎসাহ প্রদান করেন। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের অভিমত জানতে চাইলে কোমলমতি প্রতিযোগীরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। এ ধরনের আয়োজনের জন্য শিশুদের অভিভাবকরাও উৎফুল্ল এবং দারুণভাবে অনুপ্রাণিত। অভিভাবকদের অনেকেই জানান যে, এই প্রথম কেএমপি পুলিশ লাইন্সে এধরনের একটি চমৎকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, যা তাদের সন্তানদের জীবনে চমৎকার স্মৃতি হয়ে থাকবে। তারা কেএমপি পরিবারকে একত্র করার জন্য পুলিশ কমিশনারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। একইসাথে এধরনের আরো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করার জন্য আহ্বান জানান।

প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে গীতশ্রী কাঞ্জিলাল ১ম, সুকৃতি দাস ২য় এবং অনির্বাণ মণ্ডল ৩য় স্থান অধিকার করে।
‘খ’ গ্রুপে স্নেহা বাড়ই ১ম, সামিয়া চৌধুরী ২য় এবং আফিফা নওশীন ৩য় হন। ‘গ’ গ্রুপে উম্মে জান্নাত লিসা ১ম, প্রেরণা পাল ২য় এবং জয়িতা সাহা ৩য় স্থান অধিকার করে।
পুলিশ কমিশনার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তিনি বলেন কেএমপি পুলিশ পরিবারের সন্তানদের সুপ্ত মেধা বিকাশের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। একটি সুস্থ জাতি গঠনে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আমাদের সন্তানরা যেন সৃজনশীল মানসিকতা নিয়ে বড় হতে পারে তার জন্য আমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের সন্তানরা যেন দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবিক মূল্যবোধে জাগ্রত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে, এজন্য তাদেরকে তৈরি করতে হবে। তাদের জন্য মেধাবৃত্তিক আরো প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা নিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এসময় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিনান্স) আবু রায়হান মোঃ সালেহ সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

0

দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সব ঠিক থাকলে আগামী ২১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে তিনি উপস্থিত থাকবেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ১৪ ডিসেম্বর দলীয় একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সূত্র জানায়, তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে অংশ নেবেন। এ জন্য সমাবেশ দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করা হবে। খালেদা জিয়া ছাড়াও এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন।

এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কথা দিয়েছেন, সমাবেশে খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা বাধাবিপত্তির মধ্যেও সমাবেশ করে সংগঠনটি। তবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর এবার মনোরম পরিবেশে সমাবেশ করতে চান নেতারা। এ জন্য খালেদা জিয়াকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণে সায় মিলেছে বলেও জানিয়েছেন দায়িত্বশীল নেতারা।

তারা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবেশ করার প্রস্তুতি চলছে। ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সমাবেশ শুরু হয়ে ৫টায় শেষ হবে। স্থায়ী কমিটিসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

খুলনার ডুমুরিয়ায় জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন

0

খুলনার ডুমুরিয়ায় জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ আমরা এদেশের মানুষকে আধিপত্যবাদ মুক্ত একটি উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ
-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “কুরআনের সাথে আমাদের নিজের জীবনকে মেলাতে হবে। জামায়াতে ইসলমীর সহযোগী ভাইদের আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে পড়তে হবে। অসহায় মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে হবে। অসহায় মানুষকে আর্থিকভাবে উন্নয়ন করতে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামের আদর্শ দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। আমরা এদেশের মানুষকে আধিপত্যবাদ মুক্ত একটি উন্নত ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।”

১৫ ডিসেম্বর রোববার খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ নং মাগুরখালী ইউনিয়ন আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি সোহরাব হোসেনের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা সনাতনী সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডল।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “কুরআনের সবগুলো বিধানই সমাজে কায়েম করা ফরজ। কোনো একটি বিধান অস্বীকার করলে কাফির বলে গণ্য হবেন। অথচ আমাদের দেশে কুরআনের বিধান চালু নেই। এজন্য নাগরিকগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কুরআনের বিধান চালু হলে মানুষ তার প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদেরকে শপথ নিতে হবে এ পথে হয়তো আমরা বিজয়ী হবো নতুবা আমাদের জীবন চলে যাবে তবুও এ থেকে আমরা বিচ্যূত হবো না। মানুষের ঘরে ঘরে আল্লাহ দ্বীনের দাওয়াত ও জামায়াতের আহবান পৌঁছে দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তিদের নিজেদের পরিবার, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের হক আদায় করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষ হিসেবে আমরা আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেই এসেছি নিশ্চয়ই আল্লাহই আমাদের রব। তিনি আমাদের হুকুমদাতা, তিনি আমাদের বিধান দাতা, রিজিকদাতা সবকিছু। এটা স্বীকার করেই আমরা দুনিয়ায় এসেছি। পৃথিবীর কোনো ঘরই আমাদের জন্য স্থায়ী নয়। অতএব আখেরাতের স্থায়ী ঘর নির্মাণের জন্য আমাদেরকে ব্যাকুল থাকতে হবে। কুরআনের আলোকে জামায়াতের সহযোগীদের মাঠে ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে। আসুন দুনিয়ার অশান্তি থেকে বাঁচতে, আখেরাতের ভয়াবহ আগুন থেকে বাঁচার জন্য কালিমার বিধানের আলোকে আমাদের জীবন পরিচালনা করি।