Home Blog Page 12

পুলিশকে মানুষের আত্মার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

0

পুলিশকে মানুষের আত্মার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, আমাদের কাজের মাধ্যমে পুলিশকে মানুষের আত্মার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে চাই। আপনারা যে কোন প্রয়োজনে আসবেন আমরা আপনাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ বিকালে রাজধানীর বাড্ডার টাইকিং পার্টি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও বাড্ডা থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন করে পাওয়া এই বাংলাদেশকে আমরা একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কটা খুবই নিবিড়। একে অন্যের পরিপূরক। পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। একটি সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে এককভাবে পুলিশের পক্ষে কোনকিছুই করা সম্ভব নয়, যদি না জনগণ তথ্য ও সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকে।

তিনি বলেন, আমরা আর কোন রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না। আমরা আপনাদের সেবা দিতে চাই, কারো কোন কষ্টের কারণ হতে চাই না। আন্তরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে আপনাদের কষ্টের অংশীদার হতে চাই।

গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তারেক মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। যার ফলে বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমনিভাবে পুলিশি সেবায়ও এসেছে আমূল পরিবর্তন। আগামীতে পুলিশকে আরো জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও বাড্ডা থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি অনিক জাহান শাওন বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার দেশ। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে সকল দল ও মতের সমর্থন থাকবে। এই দেশের অপরাধ প্রতিরোধে আমরা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। বিশেষ করে সমাজ থেকে কিশোর গ্যাং ও মাদক নির্মূলে পুলিশের পাশে আমরাও দাঁড়াতে চাই। জনবান্ধব পুলিশি সেবার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ হবে নিরাপদ ও সুন্দর।

গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় গুলশান বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বাড্ডা থানা এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

“যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান” -অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

0

“যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান”
-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দসহ দেশের ইসলামী দলগুলোকে নিঃশেষ করে শেখ হাসিনা এদেশে একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে চেয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে দলীয় বিচারক, দলীয় প্রসিকিউটর দিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। সেই ট্রাইব্যুনালে দলীয় সাক্ষী দিয়ে সাজানো মামলায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। হাসিনার গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা সাজানো মামলায় ফাঁসির আদেশ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তিনি সেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটর, সাক্ষীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন থানার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর শাহীন আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করছে না। তবে কালক্ষেপণও চায় না। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন হবে না। আবার নির্বাচনে কালক্ষেপণ হলেও ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। তাই অন্তবর্তী সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করা।

২৪ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-ওয়ারী

0

২৪ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-ওয়ারী

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ২৪ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-ওয়ারী বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো –  মোঃ সোহেল মিয়া (২০),  মোঃ জীবন হোসেন (২১),  মোঃ মুন্না হোসেন (২১) ও ওয়াসিম (৪২)।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ) বিকাল ০৪:৩৫ ঘটিকায় মোহাম্মদপুরের গজনবী রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম ।

ডিবি-ওয়ারী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি.) ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনাল টিম ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় মাদক কারবারি অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রির জন্য গজনবী রোডের কলেজ গেইট এলাকায় অবস্থান করছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির টিম বিকেল ০৩:৫০ ঘটিকায় ওই এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর সময় সোহেল, জীবন, মুন্না ও ওয়াসিম নামের চারজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২৪ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চারজন ও পলাতক একজনসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা কুমিল্লা জেলার পলাতক এক ব্যক্তির নিকট থেকে জব্দকৃত গাঁজা সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য গজনবী রোডের কলেজ গেইট এলাকায় অবস্থান করছিলো। তারা কুমিল্লা এলাকা থেকে অবৈধ গাঁজা সংগ্রহ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্যে সাক্ষাৎ।

0

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্যে সাক্ষাৎ।

বাংলাদেশ বত বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, জাপান সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক— এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।

কিমিনোরি বলেন, ‘আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর ‘দৃঢ় সমর্থনের’ কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখায় জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই সম্পর্ক সবসময় খুব শক্তিশালী ছিল।’

সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে জাপানি কোনো কোম্পানিও চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।’

তিনি নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের বাড়িতে ফেরার পূর্বে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ!

0

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ!

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বর্বর হামলা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সম্মানের উপর সরাসরি আঘাত। আমরা চুপ থাকতে পারি না, আমরা নীরব দর্শক হতে পারি না।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ থেকে সমন্বয়ক Hamza Mahbub সহ UK তে অবস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সর্বস্তরের জনগন।

মাদক ধ্বংস করে দিচ্ছে তারুণ্য, মেধা, বিবেক ও মনুষ্যত্ববোধঃ কেএমপি কমিশনার।

0

মাদক ধ্বংস করে দিচ্ছে তারুণ্য, মেধা, বিবেক ও মনুষ্যত্ববোধঃ কেএমপি কমিশনার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ গতকাল  ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার  সকালে খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের অডিটেরিয়ামে মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনে সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার  মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেএমপি কমিশনার বলেন মাদক ধ্বংস করে দিচ্ছে তারুণ্য, মেধা, বিবেক ও মনুষ্যত্ববোধ। এজন্য মাদকাসক্তি ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। মাদক ও দুর্নীতি একটি দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা। মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংসের পথে তরুণ প্রজন্ম। মাদক এক নীরব ঘাতক। মাদকের কারণে বেড়ে যাচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক মূল্যেবোধ হারাতে বসেছে তরুণ সমাজ। ভেঙে যাচ্ছে পারিবারিক বন্ধন, নষ্ট হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস। আমাদের পরবর্তী বংশধরকে মাদকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাঁচাতে হলে পরিবার ও সমাজ জীবন থেকে মাদকদ্রব্য উৎখাত করতে হবে। মাদকাসক্তি নির্মূল করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মানুষের বিবেক ও মূল্যবোধের জাগরণ সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন। সমাজের প্রতিটা শ্রেণী-পেশার লোক তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে একটি সুন্দর দেশ ও জাতি গঠন করা সম্ভব।

আলোচনা সভায় উপ-পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, খুলনা; অধ্যক্ষ, খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়, খুলনা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তাকারী সংস্থা, খুলনা বিভাগ, খুলনার বিভিন্ন পদমর্যদার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার।

0

থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি বলেছেন, থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে হবে। প্রয়োজনে মামলা রুজু করতে হবে। যেকোনো ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মাঝে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

বুধবার  ১১ ডিসেম্বর ২০২৪  সকালে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম, রাজারবাগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রায় দুই কোটি মানুষ ঢাকা শহরে বসবাস করে। যানজটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এই শহর। জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকার জন্য পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এরূপ অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশ হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানুষের কাছে যাওয়া এবং তাদের কথা শোনা। একই সাথে নাগরিকদের বলা যে আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে পুলিশ বিহীন সমাজ ব্যবস্থা চিন্তা করা যায়না। আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে ডিএমপিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই এবং আমার যারা সহকর্মী তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারাও উদাহরণ সৃষ্টি করুন। আপনাদের আচার-আচরণ, নৈতিকতা ও জীবন যাপন পদ্ধতি এমন হতে হবে যেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়। আইনগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন পুলিশ অফিসার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কী ধারণা পোষণ করে সেটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অপরাধীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা। কোন অবস্থাতেই কোন খুনের ঘটনা যেন অপমৃত্যু হিসেবে থানায় রেকর্ড না হয় সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এর জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ দায়ী হবেন।

কমিশনার বলেন, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর-গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষক, ছাত্র-জনতা, শ্রমিকনেতা ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হবে।

সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ ফারুক হোসেন নভেম্বর ২০২৪ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন-ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করা হয়। এসময় ডিএমপি কমিশনার বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

মাসিক অপরাধ সভায় নভেম্বর মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপির নভেম্বর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা।

0

ডিএমপির নভেম্বর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা।

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি।

বুধবার  ১১ ডিসেম্বর ২০২৪  সকালে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম, রাজারবাগে নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপির মাসিক এ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি।

নভেম্বর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)-দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাফিজুর রহমান।

শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বনানী থানার এসআই কাজী জাহিদুর রহমান আবির ও মিরপুর মডেল থানার এসআই মোঃ ওসমান গনি। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এএসআই মোঃ রুহুল আমিন ও কদমতলী থানার এএসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বনানী থানার এসআই কাজী জাহিদুর রহমান আবির। অস্ত্র উদ্ধারে প্রথম হয়েছেন আদাবর থানার এসআই জাহিদ হাসান। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন কোতয়ালী থানার এসআই মলয় বসু। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন গুলশান থানার এসআই মোঃ আরিফীন ইসলাম।

গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ)। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ফজলুল করিম, পিপিএম-সেবা। তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধারেও শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-সাইবার (দক্ষিণ) বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মকবুল হোসেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ী চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার তানভীর হাসান।

ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন গুলশান-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু সায়েম নয়ন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন বাড্ডা ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ দেলোয়ার হোসেন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উত্তরা পূর্ব-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম ও গুলশান-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোঃ আরিফুর রহমান।

এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ একাধিক বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান -ডা. শফিকুর রহমান

0

জাতীয় স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান
-ডা. শফিকুর রহমান

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বার্ষিক অধিবেশন ১১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সংগঠনের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মগবাজার আল ফালাহ মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার-এর পরিচালনায় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করেন।

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে এমন একটি সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন আমাদের প্রিয় জন্মভূমি এ বছরের ৫ আগস্ট একটা কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন উপহার পেয়েছে। দেশে-বিদেশে অংশগ্রহণকারী এই পরিবর্তনের মূল কারিগর, নায়ক ও সহযোদ্ধা বিশেষভাবে যারা তাদের মূল্যবান জীবন দিয়ে জাতির এই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এনে দিয়েছেন আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। আমি তাদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি। এই পরিবর্তনে আমাদের অসংখ্য সহকর্মী ভাই-বোন, যুবসমাজ, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অনেকে চোখ হারিয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধত্ব বরণ করেছেন, অনেকে হাত হারিয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এখনো অসংখ্য ছাত্র-জনতা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কষ্ট নিয়ে এখনো যারা বেঁচে আছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি আল্লাহ তায়ালা যেন তাদেরকে দ্রুত সুস্থ করে দেন। শহীদ পরিবারের গর্বিত, সম্মানিত মর্যাদাবান সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সহানুভূতি এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। দেশের ভিতরে ও বিদেশের মাটিতে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকেই জেল-জুলুম এবং হয়রানির শিকার হয়েছেন। এখনও কোনো কোনো দেশের কারাগারে আমাদের নাগরিকেরা বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো দ্রুততম সময়ের ভিতরে আমাদের ভিশনগুলোকে কার্যকর করে সরাসরি ঢাকা থেকে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন। তাদের সম্মানের সাথে দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।

তিনি আরও বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে পতিত স্বৈরাচার সরকার জাতির সব অধিকার হরণ করেছিল। ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, কথা বলার অধিকার সর্বোপরি নিজের ভোটটি পছন্দের প্রার্থীকে দেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অনেক প্রতিভাবান মানুষকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেয়ার পরিবর্তে অবসরে পাঠানো হয়েছে। কাউকে কাউকে আবার ওএসডি করে রাখা হয়েছে। আন্দোলনের পক্ষে থাকার কারণে বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। এই নৃশংস হত্যাকা- ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার তান্ডবতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সেই হত্যা এবং ধ্বংসলীলা বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। পতিত সরকারের কাছে জনগণের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর কোনো মর্যাদা ছিলো না, কোন নিরাপত্তা ছিলো না। আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি পিলখানায় শহীদ ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে। আল্লাহ তাদেরকেও শহীদের মর্যাদা দান করুন। এরপর আঘাতটা দেয়া হয়েছিলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপর। দুইজন সাবেক আমীরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আযম (রহ.) ও শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (রহ.) সহ আমাদের ১১ জন্য সহকর্মীকে নির্মমভাবে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ তখনও করেছি এবং এখনও করছি। আমরা আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।

পতিত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এত ক্ষতি অন্য কোনো দলের হয়নি। আমরা এ পর্যন্ত সারাদেশে পাঁচ শতের অধিক সহকর্মীকে হারিয়েছি। হাজার হাজার মামলা দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে জেলে নেয়া হয়েছে। কার্যত আমাদের বাড়িই জেলে পরিণত হয়েছিল। জেলের ভিতরেও জেল, বাহিরেও জেল। গোটা দেশটাকেই একটা কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। অনেক বিবেকবান নিরীহ মানুষ এ তা-বের কারণে তখন দেশ ছেড়ে ভিন্ন দেশে ঠিকানা খুঁজে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। অনেক প্রতিভাবান সাংবাদিক তাদের বিবেকের জায়গা থেকে সত্য রিপোর্ট করার কারণে নিরাপদ থাকতে পারেননি। ফলে তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। ২০১৩ সালে আমরা লক্ষ্য করেছি শাহবাগের কেন্দ্রস্থলে যে আসর বসানো হয়েছিল, যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছিল, তখন দুইটি সরকার প্যারালাল চলছিল। একটা সরকার ছিল সংসদ কেন্দ্রিক আরেকটা সরকার ছিল শাহবাগ কেন্দ্রিক। শাহবাগের সরকার সংসদের সরকারের চাইতে ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছিল। তাদের কথায় জাতীয় পতাকা উঠত-নামত। জাতি বিস্ময়করভাবে এ সমস্ত বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করেছে।

এই সমস্ত ট্রমা নিয়ে জাতি কোনো রকমে বেঁচেছিল। তারা প্রত্যেকটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। আল্লাহর রাব্বুল আলামিন সাড়ে পনেরো বছরের এই জগদ্দল পাথর আমাদের সন্তানতুল্য ছাত্র-ছাত্রী, যুব সমাজের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট সরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই সরিয়ে দেয়াটাও খুব সুখের ছিল না। কমবেশি দুই হাজার আদম সন্তানকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে। স্থল থেকে খুন করা হয়েছে এবং আকাশ থেকেও গুলি করে খুন করা হয়েছে। এ যেন জাতির বিরুদ্ধে সরকারের যুদ্ধ ছিল। আমরাও তাদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি আরেকবার। তাদের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ। নতুন বাংলাদেশ। সুতরাং এ জাতিকে তাদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং ঋণ পরিশোধের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের এই সন্তানদের নাগরিকদের রক্তের মর্যাদা দিতে চাই। এর বিনিময়ে তারা যে শ্লোগান দিয়েছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ আমরা ন্যায়বিচার সমৃদ্ধ একটি সমাজ চাই, বৈষম্যহীন সমাজ চাই। বৈষম্যহীন, ন্যায়বিচার সমৃদ্ধ সেই সমাজ গড়তে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে কাউকে না কাউকে এ দেশের দায়িত্ব হাতে তুলে নিতে হবে। এ সুষ্ঠু নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বর্তমান ইন্টেরিওর গভর্নমেন্টের কাছে দাবি জানিয়েছি যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সমতল মাঠ তৈরি করুন। এর জন্য একটি রোডম্যাপ দিন। আমরা আরও বলেছি যে সংস্কারের এই মৌলিক বিষয়গুলো সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ আপনাদের নিতে হবে। অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম মৌলিক দুটি বিষয়ের একটি হলো- রাষ্ট্রের সকল প্রাপ্ত বয়ষ্ক নাগরিকদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে বিগত সরকার জুলুম করে বহু জায়গায় তৎকালীন বিরোধীদলে যারা ছিলেন তাদের এলাকাগুলোকে টার্গেট করে আসন সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। তারা আসন পুনর্বিন্যাসের নামে জুলুম করেছে। এগুলোকে আবার পুনর্বিন্যাস করা লাগবে বিবেক ও বাস্তবতার আলোকে।

তিনি আরও বলেন, পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করায় দেশের মানুষ ভোটের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অসংখ্য যুবক-যুবতীর বয়স হয়েছে ভোট দেয়ার। কিন্তু তারা ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনের প্রতি তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এজন্য আমরা যৌক্তিক সময় দেয়ার পক্ষে। বিলম্বত বা দীর্ঘায়িত্ব সময় নয়, যৌক্তিক সময় দিতে চাই। পাশাপাশি এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রবাসী ভাইয়েরা আমাদের সাথে সমান তালে যুদ্ধ করেছেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদেরকেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

প্রিয় দেশবাসী, দেশ যখন এই পরিবর্তনের ইতিবাচক ধারায় আছে তখন আমরা লক্ষ্য করছি, এই দেশকে অশান্ত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা দেশে-বিদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তারা আমাদের সমাজকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আলহামদুল্লিাহ, বাংলাদেশের বিচক্ষণ দেশপ্রেমিক জনতা তাদের পালস বুঝতে পেরে তাদেরকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র আল্লাহ তায়ালা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। তাদের এই অপপ্রয়াস জাতিকে আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হতে সহযোগিতা করেছে। আমাদের প্রতিপক্ষ যদি এটা বুঝতে পারেন, এই দেশের মানুষ আর কারো কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করবে না এবং কোনো রক্ত চক্ষুকে পরোয়া করবে না।

আমরা একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ মানবিক দেশ চাই। আমরা একটা দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই। সুবিচারপূর্ণ একটি সমাজ চাই। আমরা আমাদের যুবকদেরকে এদেশের উন্নয়নের কারিগর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব আমরা ক্রমান্বয়ে তাদের হাতে তুলে দিতে চাই। এমন রূপক বাংলাদেশ গঠনে, মানবিক বাংলাদেশ গঠনে আমরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের প্রতি সম্মান রেখে সকলকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা আশাবাদী প্রিয় দেশবাসীর সহযোগিতা পেলে একটা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। এজন্য আমরা দেশপ্রেমিক সকল জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই। জাতীয় স্বার্থের জায়গায় আমরা যেন বিভক্ত না হই, বরং আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে জাতির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। আল্লাহ তাদেরকে ব্যর্থ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।”

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর সাথে ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাত।

0

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর সাথে ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাত।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ টার্কি ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়ন এর একটি প্রতিনিধি দল ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার  সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ড. রফিক কোরকুসুজ, কামাল কেয়া, মেহসুরেত আকিনলি, হোসনি ইয়াযযান, হান্না একবুলাট, রাসিম আয়তিন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ।

আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করা হয় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সম্পন্ন হবে বলে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।