Home Blog Page 29

আমরা শুধু গাছটা কাটতে পেরেছি, শেকড় উৎখাত করতে পারিনি: আসিফ মাহমুদ।

0

আমরা শুধু গাছটা কাটতে পেরেছি, শেকড় উৎখাত করতে পারিনি: আসিফ মাহমুদ।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ৭২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তার ভীত অনেক গভীরে। আমরা শুধু গাছটা কাটতে পেরেছি, কিন্তু শেকড় এখনও উৎখাত করতে পারিনি। সেই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। সেই শিক্ষা মওলানা ভাসানী আমাদের দিয়েছেন। সেই পথ আমাদের দেখিয়েছেন। কিভাবে সে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, সে রাস্তা তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। আমরা সেটি অনুসরণ করতে চাই এবং লড়াইয়ে সফলকাম হতে চাই।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ‘মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারে আমরা অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। দেশে একটি দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রশাসনের প্রত্যেকটি মানুষের মননে ও মগজে যে ফ্যাসিবাদী চিন্তা যে প্রভুত্বশালী চিন্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটা একদিনে কিংবা আমি মনে করি ১০ বছরেও সেটা উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়। পুরো একটা প্রজম্মকে সেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উঠে আসতে হবে, দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, এদেশের ইতিহাসকে ক্ষমতাসীনরা বারবার তাদের মতো করে মোল্ট করে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা সেই বানানো ইতিহাসের দেয়ালে প্রথম আঘাতটা করতে পেরেছি। আমরা বলেছি, এখানে কোন একক জাতির পিতা নেই। আমাদের অনেক ফাউন্ডিং ফাদার্স রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান একজন হলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজম্মকে বাংলাদেশের যে ইতিহাস রয়েছে, সেই প্রকৃত ইতিহাসটা তাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আগে আমলাতন্ত্ররা জনগণের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রেখে চলতো। তারা জনগণের সেবক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সরকারি সকল কর্মকর্তারা। এ জন্য তারা যেন জনগণের পাশে থেকে কাঙ্খিত সেবাটা দেন কোনো প্রভুমুলত্ব জায়গায় না থেকে। দূরত্বটা যাতে কমিয়ে আনা যায় সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং জনগণের মধ্যে এজন্য আমরা কাজ করছি। যাতে কেউ বলতে না পারে কোনো সরকারি কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই অঞ্চলে যে লড়াই হয়েছে সেই লড়াইয়ের পথ মাওলানা ভাসানী দেখিয়ে গিয়েছেন। ২৪-এ এত রক্তের পরেও আমরা মাওলানা ভাসানীর ভাষায় বলতে চাই ‘আমাদের সংগ্রাম শেষ হয় নাই’।

অপরদিকে, অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, জনগণের পক্ষ থেকে জনগণের মনোনীত সরকার আমরা। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই আমরা। নতুন যাদের উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আশা করি বাংলাদেশের জনগণ তাদের কাজ দেখে বিচার করবেন। যদি দেখি আমরা জনগণের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আছে তাহলে আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব। তবে আমরা মনে করি- যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা জনগণের পাশে থাকবে। তারা কাজের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করবে। মাওলানা ভাসানী আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আর আমরা আশা করি যে মওলানা ভাসানী যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এই দেশকে নিয়ে তা বাস্তবায়ন হবে।

কবি ও লেখক ফরহাদ মজহারে সভাপতিত্বে ও মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রবন্ধ পাঠ করেন- ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। আরও বক্তব্য রাখেন- ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সরোয়ার তুষার ও অলিক মৃ, নাগরিক কমিটি টাঙ্গাইল শাখার কামরুজ্জামান শাওন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত মারুফের মা মোর্শেদা, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ফাতেমা রহমান বিথি, আবু আহমেদ শেরশাহ প্রমুখ।

খুলনায় জলাবদ্ধতার বাস্তবতা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী।

0

খুলনায় জলাবদ্ধতার বাস্তবতা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনা শহরের জলাবদ্ধতার বাস্তবতা নিয়ে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান আজ (বুধবার) বিকালে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সকলের সহযোগিতায় একটি জলাবদ্ধমুক্ত নগরী গড়া সম্ভব। আমাদের এই শহরটাকে পরিচ্ছন্ন করতে নিজেদের দায়িত্বের প্রতি সচেতন থাকতে হবে। প্রাকৃতিক জলাধারগুলো যেন ভরাট না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। বাড়ির কোন ময়লা যেন রাস্তা বা ড্রেনে না ফেলা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ূর নদের সাথে সংযুক্ত খালগুলো খনন করা প্রয়োজন। এতে করে খুলনার জলাবদ্ধতা অনেকাংশে সমাধান হবে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান ও এশিয়া রেজিলেন্ট সিটির প্রকল্প প্রধান ফারহানা আফরোজ। অনুষ্ঠানে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আয়শা আক্তার ও তসলিম আহসান জিসান বক্তৃতা করেন। তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীর সমাপনীতে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন মোঃ জিয়াউর রহমান।

ইউএসএআইডির অর্থায়নে, জেএসআই, রিচার্জ এন্ড টেনিং ইনস্টিটিউট, ব্র্যাক বাংলাদেশের সহযোগিতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রহসনের শিকার হয়েছি, এবার ন্যায়বিচার চাই’

0

‘প্রহসনের শিকার হয়েছি, এবার ন্যায়বিচার চাই’।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  পা হারিয়েও ১৩ বছর প্রহসনের শিকার হয়েছি, এবার ন্যায়বিচার চাই’
‘অন্যায়ভাবে গুলি করে আমাকে পঙ্গু করা হলো। পা কেটে ফেললাম। সন্ত্রাসী বানাতে উল্টো মামলা খেলাম, কিন্তু কেন? যে বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব, সেই বয়সে আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছি ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য। আমি তো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না, সন্ত্রাসীও না, তাহলে কেন আমি বিচার পাচ্ছি না। বিগত ১৩ বছর আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে আমাকে। নানাভাবে আমি ও আমার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

কান্নারত অবস্থায় ঢাকা মেইলের কাছে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো যুবক লিমন হোসেন। বিগত হাসিনা সরকারের আমলে বিচার না পেয়ে উল্টো মামলা খেয়েছেন এই যুবক। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সেই আমলের অবসান হয়েছে। তাই সুবিচারের আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি। ন্যায়বিচারের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ পাবেন এমন প্রত্যাশায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছেন লিমন হোসেন।
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন লিমন। পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের প্রতি তার ক্ষোভের শেষ নেই। কালো পোশাকের এই বাহিনীকে তিনি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে দেখেন। এজন্য চেয়েছেন র‌্যাবের বিলুপ্তি।

লিমন হোসেন তার ওপর হওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘যে সময়টা আমার আনন্দ করার কথা, খেলাধুলা করার কথা, সে সময় আমার পা হারাতে হয়েছে। আমি আমার ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা সরকারের অসহযোগিতায় র‌্যাবের গুলিতে ১৩ বছর আগে পা হারানোর ঘটনায় বিচার পাননি বলে অভিযোগ করেন লিমন হোসেন। এই ১৩ বছর ধরে তদন্তের নামে সরকার প্রহসন করেছে বলেও অভিযোগ তার।

তাকে হত্যাচেষ্টায় র‌্যাবের তৎকালীন আরও তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন অভিযোগ করে তাদেরসহ র‌্যাবের নয় সদস্যের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লিমন।

২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা লিমনকে গুলি করেন। ওই ঘটনায় লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল ঝালকাঠির আদালতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।

এ মামলায় তৎকালীন র‌্যাব-৮ এর উপ-সহকারী পরিচালক লুৎফর রহমান, করপোরাল মাজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. আব্দুল আজিজ, নায়েক মুক্তাদির হোসেন, সৈনিক প্রহ্লাদ চন্দ এবং কার্তিক কুমার বিশ্বাসসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন র‌্যাব সদস্য আসামি হন।

ওই সময় র‌্যাবের ভাষ্য ছিল, র‌্যাব একটি অভিযান চালানোর সময় কিশোর লিমন গুলিবিদ্ধ হন। তবে লিমন বলছেন, সেদিন র‌্যাবের সদস্যরা তার শার্টের কলারে ধরে বাম পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। একই সঙ্গে তাকে সন্ত্রাসী বানাতে দুটি মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছিল।

সেই দিনের কথা স্মরণ করে লিমন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১১ সালে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের সন্ত্রাসী র‌্যাব বাহিনী দ্বারা আমি নির্যাতিত হয়েছিলাম, নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমার শার্টের কলারে ধরে পায়ে গুলি করে। এর ফলে আমার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করি।’

লিমন বলেন, ‘এই ১৩ বছর বহু চেষ্টা করেছি, অনেক আকুতি-মিনতি করেছিলাম ন্যায়বিচারের জন্য। গত ১৩ বছর তদন্তের নামে একটা প্রহসন করে গেছে আওয়ামী সরকার।’

লিমনকে হত্যাচেষ্টার মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত করে। পরে ডিবি হয়ে পিবিআই তদন্ত করে। এখন সিআইডির কাছে এটি তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিআইডি এখন পর্যন্ত তদন্ত শুরুই করতে পারেনি। রাষ্ট্রের কাছে আমি জানতে চাই, একটা মামলার তদন্ত করতে আসলে কত বছর সময় লাগার কথা? বার বার একটা কথাই বলে, লিমনকে র‌্যাব গুলি করেনি। তাহলে কে গুলি করেছে? তোমরা এটা খুঁজে বের করো ভাই।

আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে ন্যায়বিচার পাননি জানিয়ে লিমন বলেন, ‘বরং বিচার চেয়ে আমাদের পরিবার অনেক হয়রানির শিকার হয়েছে। র‌্যাবের বিরুদ্ধে আমার মা মামলা করায় আমি এবং আমার পরিবার ৮/১০ বছর গ্রামের বাড়িতে থাকতে পারিনি। পার্শ্ববর্তী জেলা পিরোজপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হয়েছে।’

র‌্যাব অস্ত্র আইনে এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লিমনের বিরুদ্ধে পাল্টা দুটি মামলা করেছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার পা কাটার পরও এক পা নিয়ে কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় হাজিরা দিতে হয়েছে। আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করেছে এই র‌্যাব।’

২০১৩ সালে দুটি মামলা থেকেই খালাস পান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখান থেকেই প্রমাণ হয় আমি নির্দোষ ছিলাম। এই খালাসের বিরুদ্ধে র‌্যাব আপিলও করেনি।’

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতার আসার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানুষের মধ্যে একটা আস্থা ও ভালোবাসার জায়গা হয়েছে মন্তব্য করে লিমন হোসেন বলেন, ‘আমি এই ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছি ন্যায়বিচারের জন্য। দ্রুত বিচার পাওয়ার আশায় ট্রাইব্যুনাল ও রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানাচ্ছি। আমার মামলার বিচার করতে পারলে দেশে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত হবে।’

শেখ হাসিনা সরকারের সময়কে ‘ফ্যাসিবাদের শাসনামল’ উল্লেখ করে ওই সময় র‌্যাবের ‘অপরাধী’ সবাইকে মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন লিমন। বলেন, ‘জড়িত সবাইকে আমরা আসামি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু নানা বাধা-বিপত্তি ছিল, অনেক রকমের হুমকি-ধমকি ছিল, তাই কয়েকজনকে আসামি করতে পারিনি।’

তৎকালীন র‌্যাব-৮ এর প্রধান মেজর রাশেদ, র‌্যাবের সহকারী মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান ও শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নাম কোনোভাবেই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি বলে জানান তিনি। লিমন বলেন, ‘আজকে ট্রাইব্যুনালে এই তিনজনের নামও অন্তর্ভুক্ত করে মোট নযজনের নামে অভিযোগ দিয়েছি। তারা সবাই র‌্যাবের সদস্য।

পঙ্গু হাসপাতালের প্রিজন সেলে পা কাটা অবস্থায় পুলিশ সব সময় পাহারা দিয়ে রাখত জানিয়ে লিমন বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমি কত বড় সন্ত্রাসী ছিলাম। শুধু র‌্যাব না, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, উনি হাসপাতালে ফোন করে বলেন, আমাকে যেন সেখানে চিকিৎসা দেওয়া না হয়। এরপর অসুস্থ অবস্থায় আমাকে জেলে নিয়ে যায়। পরে আমি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলে আমার চিকিৎসা করাবে না বলে দেয়।’

ওই সময় লিমনের চিকিৎসার দায়ভার রাষ্ট্রকে নিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশও রাষ্ট্র তখন মানেনি। রাষ্ট্র নিজেকে মনে করতো সবকিছুর ঊর্ধ্বে।’

পা হারানো এবং পরবর্তী সময়ে মিথ্যা মামলাসহ হয়রানির ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে দেওয়া অভিযোগে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে বলে জানান লিমন।

বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সকল চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট।

0

বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সকল চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে হওয়া একতরফা সকল চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ১৩ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার এম কাইয়ুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সকল চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

নোটিশে অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল চাওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে আদানিকে এই ঘটনায় চুক্তি পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম শুরু না করলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।

ওই লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ৩ তিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নোটিশের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে তাড়াহুড়া করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি। এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

একজন পিওনের যদি ৪০০ কোটি টাকা থাকে।

0

একজন পিওনের যদি ৪০০ কোটি টাকা থাকে।

বাংলাদেশের বর্তমান সময়ঃ  পিওনের যদি ৪০০ কোটি টাকা থাকে তাহলে মালিকের কত টাকা’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেছেন, নির্বাচন ভালো হলেই মানুষ গুড গভর্মেন্ট পায় না। গত ১৫ বছরে ১৭ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এটা কল্পনা করা যায় না। এটা দিয়ে ৬৫টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যায়। কতটা বর্বর হলে একজন মানুষের ৩৬০টা বাড়ি থাকতে পারে লন্ডনে। বেনজিরের বোধহয় প্রতি জেলায় একটি করে বাড়ি রয়েছে। একজন পিওনের যদি ৪০০ কোটি টাকা থাকে তাহলে মালিকের কত টাকা?

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এদিন সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি করুন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, সংবিধান সংস্কার করতে হবে, এবং এর সমালোচনাও করতে হবে। শেখ হাসিনার সময়ে প্রশ্ন তোলা যেত না। আমরা দেখেছি শিক্ষক, সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা, চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা দিতে হবে। দোষ হাসিনার না, দোষ খালেদার না। যেই সংবিধান আর রাষ্ট্র কাঠামো বানিয়েছি, তার স্ট্রাকচারটাই হচ্ছে স্বৈরাচারে পরিণত করা। তাই ক্ষমতাকে কিভাবে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করা যায় তা ভাবতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারকে তার কাজের জন্য সংসদে জবাবদিহিতা করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি ভোটের নামে শেখ হাসিনা কীভাবে প্রহসন করেছে। এই পার্লামেন্টে কোনো জবাবদিহিতা নেই। এমপি পাপ্পুর স্ত্রী বললেন- তিনি বাসায় একা থাকে, তাই পাপ্পু ৬ কোটি টাকা ব্যয় করে তাকেও এমপি বানালেন ৬ এমপির সমর্থন নিয়ে। সেই পাপ্পু এখন কুয়েতের কারাগারে আছেন। আদালতের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। এটা যে চলছে না তার প্রমাণ হচ্ছে দুজন বিচারককে কান ধরে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমন মানুষকেই আমরা বিচারপতি বানাই যাদের আবার বের করেও দেওয়া যায়।

সাংবাদিকতা বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, নাগরিক সমাজের মধ্যে পার্টিবাদ কায়েম করা হয়েছে। এদেরও দলদাস বানানো হয়েছে। আওয়ামী ভাঙারি লীগ আছে, জাতীয়তাবাদী সাপুড়ে দল আছে। বিয়ের সময় জিজ্ঞাস করে পাত্র কি করে? উত্তর আসে পাত্র ছাত্রলীগ করে। এভাবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আইনজীবী, পিয়ন, সেক্রেটারি দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমরা স্বাধীন সাংবাদিকতা দেখিনি। স্তাবকতাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন আমাদের সম্পাদকেরা। সাংবাদিকতার বইয়ের প্রথম লাইন হচ্ছে পৃথিবীর প্রত্যেকটা সরকার মিথ্যা বলে, প্রত্যেকটা সরকার তথ্য লুকাতে চায়। সাংবাদিকের কাজ হচ্ছে সত্য তুলে এনে প্রকাশ করে দেওয়া।

তিনি জনগণের রাষ্ট্র তৈরির আহবাজ জানিয়ে বলেন, বিগত সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জে একটা মাফিয়া তৈরি হয়েছে। শামীম ওসমান এটা কন্ট্রোল করতেন। পুরো দেশেই এমন ছোট ছোট মাফিয়া তৈরি হয়েছিল। সব মানুষের দেশ বাংলাদেশ হয়নি। হয়েছে লুটেরা ভুমিদস্যু, পাচারকারী, সালমান রহমান, বসুন্ধরা, শামীম ওসমান, বেনজীর, মতিউরের রাষ্ট্র হয়েছে। আমার আপনার রাষ্ট্র হয়নি। জনগনের রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে।

সভায় জেলা সুজনের সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েলের সভাপতিত্বে ও আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বী, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি হাজী নুরুদ্দিন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদের জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, গণসংহতির মহানগর সমন্বয়ক নিয়ামুর রশিদ বিপ্লব, গণঅধিকারের জেলা সেক্রেটারি রাহুল আরফিন প্রমুখ।

বিএনপি-জামায়াতের ঐক্য অটুট।

0

বিএনপি-জামায়াতের ঐক্য অটুট।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে রাজনীতিতে নানান প্রশ্ন উঠছে, বিশেষ করে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বিদায়ের পর। গত আড়াই দশক ধরে চলা তাদের জোটের ভবিষ্যৎ কী হবে? আসন্ন নির্বাচনে তারা একে অপরকে সমর্থন করবে নাকি পৃথকভাবে প্রার্থী দেবে—এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে, দল দুটির শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যে কোনো বড় দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল বলেন, ‘‘ফ্যাসিবাদ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য ছিল, তা বজায় থাকবে। আমরা দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করব। এ বিষয়ে কোনো দূরত্বের প্রশ্ন নেই। তবে, এটি কৌশলগত বিষয় হতে পারে।’’ সালাহউদ্দিন আহমেদের এ বক্তব্যে একটি কৌশলগত সুর ফুটে উঠছে, যা বেশ স্পষ্ট করে বলছে— মতপার্থক্য থাকলেও তাদের ঐক্য অটুট থাকবে। দলটি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ঐক্য অব্যাহত রাখবে।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘‘একসঙ্গে চলতে গেলে প্রত্যেকের চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে, তবে সেটা কোনো দ্বন্দ্বের লক্ষণ নয়।’’ জামায়াতের শীর্ষ নেতা দাবি করেন, ‘‘যতদিন পর্যন্ত দল দুটি ঐক্যবদ্ধ আছে, তাদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে।’’ জামায়াতের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য ঐক্যের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ, যেখানে পার্থক্য সত্ত্বেও দলটি একটি যৌথ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোতে চায়।

ফ্যাসিবাদ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য ছিল, তা বজায় থাকবে। আমরা দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ
এখন প্রশ্ন হলো— আগামী নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত আবারও একে অপরের সঙ্গে জোট গড়বে নাকি ২০২২ সালের পর সব কিছুই বদলে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে দল দুটি কৌশলী উত্তর দিয়েছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘‘জামায়াত সব দলের সঙ্গেই আলোচনা করছে। এখনকার মতবিনিময়গুলোতে আন্তরিকতা ও সহযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মেরুকরণ হবে। তখন বোঝা যাবে কে কার সঙ্গে জোট করবে এবং কী হবে।’’ জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়নি, তবে তাদের মতে— পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে, বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা একসঙ্গে একমত হয়েছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার অবিলম্বে সম্পন্ন করা উচিত। তাদের মতে— দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে তারা উভয়েই একই মত পোষণ করেছেন।

তবে তাদের বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ এক দিক স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তা হলো—রাজনীতির মাঠে শেষ কথা কিছুই বলা যায় না। পরিস্থিতি অনুযায়ী জোটের কাঠামো এবং ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

শেষমেষ, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও, তাদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো বড় ধরনের দ্বন্দ্বের চিহ্ন নেই। এই কথা তাদের নেতাদের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি যেমনই হোক, দলের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে—এটাই তারা জানিয়েছেন।

খুলনার ডুমুরিয়ার হাসানপুর গ্রামে ছোট ভাইয়ের হাতে আপন বড় ভাই খুন।

0

খুলনার ডুমুরিয়ার হাসানপুর গ্রামে ছোট ভাইয়ের হাতে আপন বড় ভাই খুন।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ গত ১১ই নভেম্বর  রোজ সোমবার ডুমুরিয়া উপজেলার হাসানপুর গ্রামের জিনেতুল্লাহ বিশ্বাস এর পূত্র মোঃ সোহান বিশ্বাস  নিজ বাসায় অতি সামান্য বিষয় নিয়ে আপন বড় ভাই রুবেল বিশ্বাসকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় এবং শরীরে মারাত্মকভাবে জখম করে। রাতে সে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎধীন অবস্থায়  মারা যায়।
কিছুদিন আগে নিজের আপন মাকে দা গিয়ে কু পি য়ে জ খ ম করে। বড় ভাইকে জ খ ম করে সে পলাতক ছিল।

আজ খু নি কে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

ফ্যাসিবাদের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে:মিয়া গোলাম পরওয়ার।

0

ফ্যাসিবাদের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে:মিয়া গোলাম পরওয়ার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েও বিদেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তবে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। আগস্ট বিপ্লবের পর গত তিন মাসে পতিত শেখ হাসিনা প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসতে চায়। ৫ ই আগস্টের চেতনায় জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই অপশক্তিকে আমরা মোকাবেলা করবো।

খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে সংস্কার প্রয়োজন। বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগ, সংবিধান ও প্রশাসনের মৌলিক সংস্কার ছাড়া সামনে এগোনো সম্ভব না।

এ সময় খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক ও সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সরকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বেলাল হোসাইন রিয়াদ, মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজি, ছাত্রশিবিরের মহানগরী সেক্রেটারি এসএম নুরুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ খুলনা প্রেসক্লাবের উন্নয়নের জন্য ক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে পাঠানো ৩ লাখ টাকা হস্তান্তর করেন।

খুলনা প্রেসক্লাবের মত একটি দল-মতের উর্ধের প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলায় বিচলিত ও বিষ্মত হন তিনি। খুলনা প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি অনুদানে একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন পেতে প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটিকে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য হিসেবে আমি গর্বিত হবো। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক ও সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুলসহ কমিটি অন্যান্য সদস্য ও ক্লাবের সিনিয়র সদস্যদের ভুমিকার প্রশংসা করেন। বিশেষ করে ক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুলের তৎপরতার ভুয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, পালিয়ে যাবার পর, নানা ভাবে অডিও ভিডিও প্রকাশ করে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা। নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে ফ্যাসিবাদী দল। রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছে। তা প্রশাসন ও ছাত্র-জনতা নস্যাত করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, যতই দেশের বাইরে থেকে চক্রান্ত করা হোক, যতই মিথ্যাচার করা হোক, প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জাতিকে অস্থির করার চেষ্টা করা হোক, আমরা আশাবাদি বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদকে চিনেছে, ফ্যাসিবাদী দলকে চিনেছে, ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ডকেও চিনেছে। তাদেরকে এ দেশের মানুষ কখনও আর গ্রহণ করবে না। তিনি সকলকে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ছাত্র জনতাও রাত থেকে রাজপথ পাহারা দিচ্ছে। সারাদেশের মানুষকে পাহারা দেওয়ার আহবান জানান।

সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রশাসনের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসর আছে জানিয়ে বলেন, আইন উপদেষ্টা ড. প্রফেসর আসিফ নজরুলকে সুইজারল্যান্ডে হেনস্থা করা হয়েছে। সেখানে তার সিকিউরিটি কোথায়? তার পটোকল কোথায়? সেদেশে নিযুক্ত এ্যাম্বেসডর কোথায়? বিদেশের মাটিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সাথেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের ওপর ওই হামলা অরাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এমনকি সেখানে যেসব অশ্লীল কথাবার্তা বলা হয়েছে তাতেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চরিত্র ফুটে উঠেছে। এমনিভাবে বিগত ১৬ বছরে দেশের মানুষ আওয়ামী বর্বরতা দেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের রন্দ্রে রন্দ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও সক্রিয় উল্লেখ করে তিনি সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান। তিনি এ সব ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষি ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, দেশ বিদেশ থেকে একটি চক্র বলার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। পুজোর সময় অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল। এ জন্য জামায়া-শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ছোট করার চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে অন্য ধর্মের লোকেরা নিরপদ নয় এবং বাংলাদেশ এখন মৌলবাদীরা চালাচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করেছিল। কিন্তু সফল হতে পারেনি। জনগণের উত্তাল ক্ষোভের মুখে যারা পালিয়েছে পতিত সেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে এই জাতি আরও কখনো গ্রহণ করবে না।

নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগি করতে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন : উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

0

নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগি করতে দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন : উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের পাশাপাশি সোশ্যাল বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে এক সভায় প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাব দেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সংযোগের বিদ্যুৎ গ্রিডের অভাবে হিমালয়ের দেশের জলবিদ্যুৎ সম্ভাব্য বেশির ভাগ কাজে ব্যবহার করা হয়নি।

নেপালের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের দেশে ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে, যা ভারত এবং বাংলাদেশের মতো বড় দেশে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

‘নেপাল থেকে বাংলাদেশ সহজেই জলবিদ্যুৎ নিয়ে আসতে পারে, কারণ বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে। নেপালের জলবিদ্যুৎও সস্তা হবে’ মন্তব্য করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানের একটি দক্ষিণ এশিয়ান গ্রিড তৈরির কথা চিন্তা করা উচিত।

আজারবাইজানের রাজধানীতে সিওপি২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানকারী প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বন্যা প্রতিরোধে পানি ব্যবস্থাপনার ওপর বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে জলের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে। পানি আমাদের প্রধান পরিবেশগত সমস্যা। আমাদের পানি ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করতে হবে যাতে প্রকৃতি সমর্থন করে।

তিনি সামাজিক ব্যবসায়িক বৈঠকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যুব উন্নয়ন এবং দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার জানুয়ারিতে তরুণদের জন্য একটি উৎসব করবে যখন দেশের ক্রিকেট বোর্ড তাদের বার্ষিক টি-২০ বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত করবে।

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্টিনো এবং আইওসি প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ উৎসবে যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। মহিলা ফুটবলের জন্য একটি টুর্নামেন্টও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের সব জায়গায় এই উৎসবটি করার চেষ্টা করছি।

অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, যা শেখ হাসিনার ১৫ বছরের নৃশংস একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছিল।

তিনি সিওপি২৯ এবং কার্বন ক্রেডিট নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান আলোচনার প্রধান বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেন।

খুলনা জেলা আ.লীগ সভাপতির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

0

খুলনা জেলা আ.লীগ সভাপতির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদের বাড়ি থেকে একটি রাইফেল, একটি রিভলবারসহ গুলি ও ভারতীয় মুদ্রা রুপি উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১১ নভেম্বর সোমবার ভোর রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডে শেখ হারুনুর রশিদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এ সময় বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে একটি রাইফেল, রাইফেলের ১৩ রাউন্ড গুলি, রাইফেলের গুলির চারটি খোসা, একটি রিভলবার, রিভলবারের ২০ রাউন্ড গুলি, রাইফেলের গুলির দুটি চার্জার, পিস্তলের কভার একটি, রাইফেলের কভার একটি, ২৫০টি ভারতীয় রুপির নোট উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনির উল গিয়াস জানান, এ ঘটনায় ১১ নভেম্বর সদর থানার এসআই রেজওয়ান ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।