Home Blog Page 30

কোস্টগার্ডের অভিযানে কুখ্যাত বনদস্যু আসাবুর ও তার সহযোগী ২টি বন্দুকসহ আটক।

0

কোস্টগার্ডের অভিযানে কুখ্যাত বনদস্যু আসাবুর ও তার সহযোগী ২টি বন্দুকসহ আটক।

মোংলা প্রতিনিধিঃ সুন্দরবন সংলগ্ন ঠাকুরবাড়ি ঘাট এলাকা হতে ০২ টি এক নলা বন্দুক ও ০৪ রাউন্ড কার্তুজসহ কুখ্যাত ডাকাত আসাবুর ও তার সহযোগী আলমগীর মীরকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা
লেঃ কমান্ডার মোঃ শামসুল আরেফীন জানান,
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১২ নভেম্বর (২০২৪ তারিখ) ১টায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন ঠাকুরবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন সময়ে এলাকা হতে দুর্ধর্ষ ডাকাত আসাবুর বাহিনীর প্রধান আসাবুর সানা (৪২) ও তার সহযোগী মোঃ আলমগীর মীর (২৮) কে ০২ টি এক নলা বন্দুক ও ০৪ রাউন্ড কার্তুজ সহ আটক করে কোস্টগার্ড । আসাবুর দীর্ঘদিন যাবৎ সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা হতে জেলেদের অপহরন করে মুক্তিপণ আদায় এবং বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। আটককৃত ব্যক্তিরা খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন সুতারখালী গ্রামের বাসিন্দা । তাদের বিরুদ্ধে দাকোপ থানায় ০১টি অবৈধ অস্ত্র মামলা ও ০২ টি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। জব্দকৃত অস্ত্রসহ ডাকাত লিডার আসাবুর এবং তার সহযোগী আলমগীর মীর কে পরবর্তী আইনানুপ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাকোপ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

যশোরের ঝিকরগাছায় বোমা মেরে ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে যুবদল কর্মীকে হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার।

0

যশোরের ঝিকরগাছায় বোমা মেরে ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে যুবদল কর্মীকে হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ যশোরের ভিকটিম পিয়াল হাসান (২৮) পিতা- মোঃ কিতাব আলী, সাং- মোবারকপুর, থানা- ঝিকরগাছা, জেলা- যশোর গত ইং ০৯/১১/২০২৪ তারিখ দুপুর ১৩.১০ ঘটিকায় যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন ঝিকরগাছা বাজারে কাজ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে ঝিকরগাছা বাজারস্থ পুরাতন মিতালী হল রোড সংলগ্ন নাহিদ পেপার্স এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর পৌঁছালে কিছু দুর্বৃত্ত ভিকটিম পিয়াল হাসানকে (২৮) ‘কে লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় ভিকটিম নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের দিকে দৌড় দিলে আসামিরা ভিকটিমকে ঘেরাও পূর্বক তাদের হাতে থাকা ধারালো দাঁ ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমের গলায়, হাতে,পায়ে ও পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পলিয়ে যায় । পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম পিয়াল হাসান (২৮)’কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। উক্ত হত্যা সংক্রান্তে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানায় ০১ টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যকর হওয়ায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্প ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর এর একটি আভিযানিক দল ইং ১১/১১/২০২৪ তারিখ রাত ২১.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন চুকনগর এলাকা থেকে আসামি মোঃ শামীম রেজা (৩২), পিতা- মোঃ কামারুল ইসলাম, সাং- মোবারকপুর, থানা- ঝিকরগাছা, জেলা- যশোর’কে গ্রেফতার করে। পৃথক অপর একটি অভিযানে একই তারিখ ২২.২৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ও সিপিসি-২, ঝিনাইদহ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল আসামি মোঃ মেহেদী হাসান (২৪), পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম ৥ নজু , সাং- মোবারকপুর, থানা- ঝিকরগাছা, জেলা- যশোর’কে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ভিকটিমের বাড়ি ও আসামিদের বাড়ি পাশাপাশি। তাদরে মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চোরাই পথে আনা বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারসহ একজন গ্রেফতার।

0

চোরাই পথে আনা বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারসহ একজন গ্রেফতার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাই পথে আনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শতাধিক মোবাইল ফোন সেট ও দেড় শতাধিক হেডফোনসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম সাফি আলম (৩৪)।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর ২০২৪  দুপুর ১২ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে চোরাই পথে আনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭ টি মোবাইল ফোন সেট ও ১৮৬ টি হেডফোন উদ্ধার করা হয়। এসময় মোবাইল ফোন বহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।

যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, মাতুয়াইল এলাকায় যাত্রাবাড়ী থানার দুটি টহল টিম কাজ করছিলো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, কুমিল্লা থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল ফোন সেট নিয়ে একটি প্রাইভেটকার ঢাকার উদ্দেশে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রাইভেটকারটিকে ধাওয়া করে দুপুর ১২ ঘটিকায় মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালের সামনে থামানো হয়। পরে সেই প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭ টি মোবাইল ফোন সেট ও ১৮৬ টি হেডফোন উদ্ধার করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন সেট ও হেডফোনের সপক্ষে প্রাইভেটকারের চালক সাফি আলম কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের চালক সাফি আলমকে গ্রেফতার ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে থানা সূত্রে আরো জানা যায়, ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে আনা মোবাইল ফোন সেট গুলো ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করার কথা ছিলো।

এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গুলিস্তানের পার্কে অভিযান; হকারদের লুকানো ৫০০ ভ্যান গাড়ি জব্দ।

0

গুলিস্তানের পার্কে অভিযান; হকারদের লুকানো ৫০০ ভ্যান গাড়ি জব্দ।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃরাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ মতিউর পার্কে হকারদের লুকিয়ে রাখা রিকশা ভ্যানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ, সেনাবাহিনী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে গুলিস্তানের রাস্তা দখল করে বসা হকারদের গাড়ির বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে হকারদের প্রায় ৫০০ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ও আশপাশের এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা ছিল। কিন্তু অভিযানের খবর আগেভাগেই হকাররা জেনে যাওয়ায় তাদের ভ্যান ও গাড়িগুলো পার্শ্ববর্তী পার্কে লুকিয়ে রাখে। তাই বাইরে অভিযান না চালিয়ে পার্কে অভিযান চালিয়ে এসব গাড়ি জব্দ করা হয়।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নজমুল হাসান বলেন, গুলিস্তানে আমরা দিনে চারবার অভিযান চালাই। কিন্তু অভিযানে এসে রাস্তায় কোনো গাড়ি পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে আমরা তথ্য পাই অভিযানে আসলে হকাররা গাড়িগুলো গুলিস্তানে শহীদ মতিউর পার্কে এনে রাখে। অভিযানিক দল চলে গেলে তারা আবারও রাস্তায় চলে আসত। পরবর্তীতে আমরা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় আজ গাড়ি রাখার স্থানেই অভিযান চালিয়েছি।

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো ঠিক হয়নি মন্তব্য: রিজভী।

0

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো ঠিক হয়নি মন্তব্য: রিজভী।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান বিএনপি তার সম্মান দিতে চায়। খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হয়ে বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়েছিলেন। তবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর সেই ছবি পুনরায় স্থাপন করেছিলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় দরকার অন্তর্গত তাগিদ। বর্তমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সচিব যোগ্য চিকিৎসকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।

রিজভী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে, মারা গেছে। চিকিৎসকরা রাতের পর রাত জেগে থেকে চিকিৎসা করেছে, ময়নাতদন্ত করেছে। আমরা হাসপাতাল ঘুরে-ঘুরে তাদেরকে দেখতে গিয়েছি। আপনার (উপদেষ্টা ও সচিব) কয়জন হাসপাতালে গিয়েছেন? আর আজকে অহংকার করেন, কথা বলতে চান না। আমরা আপনাদের চিনে রাখছি। আপনারা কারা? আপনারা শেখ হাসিনার দোসর। বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর কথা তুলে আজকে সচিব ও যুগ্ম সচিব হচ্ছেন। উপদেষ্টার পদে আছেন।

রাজধানীসহ দেশের আটটি বিভাগে বিএনপির আয়োজনে শুরু হওয়া এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প চলবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।

সংবাদ সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার।

0

সংবাদ সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ওষুধ কেনার ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সময় টিভির শেরপুরের স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হীরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তী।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা বিষয়টি নিয়ে খবর না করার জন্য ধমকা ধমকি করেন। এসময় ক্যামেরা পার্সন ভিডিও করতে গেলে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন সেলিম মিঞা। এরপর তিনি সাংবাদিক হীরাকে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরেন। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মচারীদের ডেকে এনে তাকে দরজা বন্ধ করে ঘণ্টা খানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিষয়টি অন্যান্য সাংবাদিকরা খবর পেলে তাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার খবরে কৌশলে সটকে পড়েন তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা। ঘটনার পর থানা পুলিশ ও সাংবাদিক নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, ২৫০ শয্যা শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ওষুধ কেনার ঠিকাদার নিয়োগে কম দরদাতাকে নির্ধারণ না করে বেশি দর প্রদানকারীদের দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় সময় টেলিভিশনের সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন। এসময় তথ্য চাইতে গেলে সাংবাদিকদের খবরটি না করার জন্য চাপ দেন তিনি। খবর করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক চেয়ার থেকে উঠে এসে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় ঘটনার প্রমাণ রাখতে ক্যামেরাপার্সন ভিডিও ধারণ করতে গেলে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরে ঘণ্টা খানেক আটকে রাখেন।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হীরা বলেন, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একটি খবরের তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যাই। যাওয়ার আগে অভিযোগের ব্যাপারে সিভিল সার্জনকে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহমদ্দুননবী সজলের মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলে অনুমতি নেই। বাইরের কাজ শেষ করে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে প্রবেশের পর তথ্য চাইতেই তিনি খবর করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে তিনি সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের ডেকে দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে আমার শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরেন।

জানতে চাইলে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আমি একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাই তাকে নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে ফুটেজে হামলার স্পষ্ট দৃশ্য রয়েছে। আমি বিষয়টি ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শাহ আলি আকবর আশরাফীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মিটিং আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল কাজ করছে। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের নেই অনুশোচনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্বে ভরসা–

0

আওয়ামী লীগের নেই অনুশোচনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্বে ভরসা–

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ আওয়ামী লীগের শাসনের পতন ও তাদের পরিণতির ধরনটা এবার ভিন্ন। ৭৫ বছর বয়সী দলটির জুটেছে ফ্যাসিবাদের তকমা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে।বাস্তবতাকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে তারা।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের তিন মাস পার হয়েছে। এখন পর্যন্ত দলটির নেতা-কর্মীদের চিন্তায় বা কথায় কিন্তু কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না। অনুশোচনা প্রকাশের কোনো ইঙ্গিতও নেই। এমনকি দলটির নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আস্থার যে সংকট তৈরি হয়েছে, সে ব্যাপারেও তাদের কোনো বিকল্প চিন্তা আছে বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থান ও তাদের সরকারের পতনকে এখনো একটি ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে।

এরই মধ্যে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া দলটির কোনো কোনো নেতা অডিও-ভিডিও বক্তব্য ছেড়েছেন সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে; কেউ কেউ বিবৃতি দিয়েছেন। দেশি-বিদেশি পরিকল্পনায় ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে—এটাই আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের মূল বিষয়।

তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার কয়েকটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তাঁর কথাবার্তা সেই আগের মতোই রয়ে গেছে, কোনো পরিবর্তন নেই। এসব ফোনালাপে ক্ষোভ ও ক্রোধেরই প্রকাশ ঘটেছে।

তবে দলটি যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার নজিরও সৃষ্টি হয়েছে এবার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান এবং এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা ১৫ বছর ৭ মাস ৪ দিনের শাসনের পতন হয় ৫ আগস্ট। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে কোনো নির্দেশনাও দিয়ে যাননি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে। তাঁরা সরকার পতনের খবরে হতবাক ও দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন।

গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের সেই পরিস্থিতিতে সারা দেশে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের কাছে তখন জীবন বাঁচানোই প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেই পরিস্থিতিতে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকায় দলের নেতৃত্বের প্রতি তৃণমূলের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, যা সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য বা দলটির নেতৃত্বের একটা বড় অংশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যান। তাঁদের কেউ কেউ পালানোর সময় আটকও হন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগ দেশের ভেতরেই আত্মগোপনে আছেন। গণহত্যা, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের একটা অংশ।

দেশে ও বিদেশে পালিয়ে থাকা দলটির নেতাদের মধ্যে গত এক মাসে বলা যায় একটা যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে এখন তাঁদের বক্তব্য-বিবৃতি প্রকাশিত হচ্ছে। এসব ঘটনায় তাঁদের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা দৃশ্যমান হচ্ছে।

আগস্টের মাঝামাঝি ও শেষ দিকে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, দলের এমন একাধিক নেতা বলেছেন, মূলত দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়া সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন এবং চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতা তৈরির চিন্তা তাঁদের এখনো নেই। ফলে দলটির অনেক বক্তব্য–বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নামে।

ছাত্র আন্দোলন সামলাতে শুরু থেকে একের পর এক সরকার যা করেছে, যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার সবই ছিল ভুল। আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে এখন তা মনে করেন। দলটি কতটা হালে পানি পাবে বা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নন দলের অনেক নেতা। এ ছাড়া দলটি প্রাণহানি বা হতাহতের ঘটনার দায়ভার নিতে রাজি নয়। আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার কথা বলছে। কিন্তু তাঁদের এই কৌশলে যে মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানো যাবে না, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে অন্যদের কোনো যোগাযোগ নেই। দলটিও এ মুহূর্তে তাঁকে এড়িয়ে চলতে চাইছে। ফলে যিনি তাঁদের সরকার পতনের আগে প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দিতেন, এখন তাঁর নামে কোনো বক্তব্য দিচ্ছে না দলটি।

দেশের বাইরে থেকে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা কতটা কাজে দেবে, সেই প্রশ্নও তাঁদের মধ্যে রয়েছে। আবার বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প নেতৃত্ব দিয়ে দেশের ভেতরে আস্থার সংকট কাটানোর চেষ্টা কতটুকু কাজে দেবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

পতনের তিন মাস পর আওয়ামী লীগ এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসে ঢাকার গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল। অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবির কথা বলেছে দলটি। আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিরোধ এবং সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে তা সফল হয়নি।

গতকালের এই কর্মসূচি বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা শুনে মনে হয়েছে, প্রথমত এ কর্মসূচি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল এবং জনগণ কী প্রতিক্রিয়া দেখায়, তারা সেটি বুঝতে চেয়েছে। রাজনীতিতে ও সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় থাকাও ছিল তাদের এই কর্মসূচির অন্যতম একটি লক্ষ্য। অস্তিত্বের সংকট থেকে আওয়ামী লীগকে বের করে আনতে ও দলকে সংগঠিত করার চেষ্টায় সামনে আরও কর্মসূচি নেওয়ার চিন্তাও আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও তারা জুলাই–আগস্টের পরিস্থিতির দায় এড়িয়ে এগোতে চায়।

বিদেশে পালিয়ে যাওয়া নেতারা দেশের বাস্তবতা কতটা বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচি দিচ্ছেন—সেই প্রশ্নও তুলেছেন দেশে পালিয়ে থাকা নেতাদের কেউ কেউ। তাঁরা মনে করেন, এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া অব্যাহত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও মামলা হবে এবং তাঁদের ধরতে অভিযান শুরু হবে। তবে একই সঙ্গে এই নেতারা ঘুরে দাঁড়াতেও চান। কিন্তু তার পথ কী, তা তাঁরা জানেন না।

আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ হাজারের বেশি, যাঁদের মধ্যে অনেকে চোখ হারিয়েছেন, অনেকে পা হারিয়েছেন, পঙ্গু হয়ে গেছেন কেউ কেউ। স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো আন্দোলনে এত হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

দেশ শাসনের সময়টাতে আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও ভিন্নমত দাঁড়াতে পারেনি। নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিল। তাদের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ দেশ চালাত। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল; ভিড় জমেছিল সুবিধাবাদীদের। সরকার পতনের পর একসময় ছাত্রলীগ করা অনেকেই যখন নিজেদের ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন, তখন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিস্মিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

ছাত্র আন্দোলন সামলাতে শুরু থেকে একের পর এক সরকার যা করেছে, যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার সবই ছিল ভুল। আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে এখন তা মনে করেন। দলটি কতটা হালে পানি পাবে বা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নন দলের অনেক নেতা। এ ছাড়া দলটি প্রাণহানি বা হতাহতের ঘটনার দায়ভার নিতে রাজি নয়। আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার কথা বলছে। কিন্তু তাঁদের এই কৌশলে যে মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানো যাবে না, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

খুলনায় জলাবদ্ধতার বাস্তবতা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

0

খুলনায় জলাবদ্ধতার বাস্তবতা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনা শহরের জলাবদ্ধতার বাস্তবতা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আজ সোমবার ১১ নভেম্বর সকালে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যক্তি সচেতনতা খুব জরুরি। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে আমাদের উদাসীন আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। টেকসই নগর উন্নয়নে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকাসহ অন্য শহরের প্রেক্ষাপটে খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণযোগ্য অবস্থায় আছে। আমরা যদি পরিকল্পনায় আর কোন ভুল না করি, ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি না করি, সময়ের কাজ সময়ে করি তাহলে জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিভিন্ন দপ্তর-প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব।

আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে খুলনা শহরের জলাবদ্ধতার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ইউএসএআইডির বাংলাদেশ মিশন প্রতিনিধি জাহিদ ফারুক, ক্লাইমেট চেঞ্জ, আরবান ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক) এর পরিচালক ড. মোঃ লিয়াকত আলী, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান ও প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার। আলোকচিত্র ও ফটোভয়েস প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য ও পেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করেন এশিয়া রেজিলেন্ট সিটির প্রকল্প প্রধান ফারহানা আফরোজ।

ইউএসএআইডির অর্থায়নে, জেএসআই, রিচার্জ এন্ড টেনিং ইনস্টিটিউট, ব্র্যাক বাংলাদেশের সহযোগিতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোন পথে?

0

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোন পথে?

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। রিপাবলিকান দল থেকে তার বিজয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নিতে যাচ্ছে? এর উত্তর পেতে চান বাংলাদেশের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ আছে, সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও। বিশেষ করে যারা খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তারা ভোটের আগে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের লড়াই নিয়ে আলোচনা যেমন করেছেন, তেমনি তাদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে জানতে আগ্রহী ছিলেন।

এমন অনেকেই কিন্তু চোখ রেখেছেন ঠিকানা টিভিতে। কারণ ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর দুই ঘন্টা করে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠান ছিলো এখানে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক এই গণমাধ্যমে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ভাবনার খোরাক সামনে নিয়ে এসেছে দর্শকদের মাঝে। প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমটিতে ইংরেজি ভাষার এই আয়োজনে মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনা ও বিশ্লেষণ সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

সাংবাদিক নাদের রহমানের সঞ্চালনায় ঠিকানা টিভি দর্শকদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে এই নির্বাচনের তাৎপর্য সম্পর্কে ভিন্নমাত্রিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে। ব্রেকিং নিউজ আর প্রোগ্রামে রাজনৈতিক ভাষ্যকার, সুইং স্টেটের সংবাদদাতা ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকেরা মাঠ থেকে ও ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের সংবাদ ও আলাপ তুলে ধরেছেন প্যালেস্টাইন, মেক্সিকো এবং ইউরোপের মতো অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকে কীভাবে দেখা হচ্ছে সে সব দৃষ্টিভঙ্গিও।

প্রবাসীদের হাতে গড়া মার্কিন এই সংবাদ মাধ্যমটির নির্বাহী প্রযোজক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মুশরাথ শাহীনের প্রযোজনায় নির্বাচনকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি কভারেজ দেয়া হয়েছে। সার্বিক আয়োজন সম্পর্কে মুশরাথ শাহীন জানিয়েছেন, নির্বাচনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সারা বিশ্ব থেকে অনেক কণ্ঠস্বরকে একই সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ইভেন্টের একটি মার্কিন নির্বাচনের সার্বিক দিক তুলে ধরার কাজ করা হয়েছে। পেশাদার সাংবাদিকতা ও দায়িত্বশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে দর্শকদের কাছে নির্বাচনের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি জোহরান মামদানি ও এনওয়াইসি কম্পট্রোলার ব্র্যাড ল্যান্ডারের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সেইসাথে পিবডি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা মার্সিয়া রবিউ এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং পোলস্টার জ্যোত সিং-এর মতো সম্মানিত সাংবাদিকরা নিজেদের মূল্যবান ভাবনা প্রকাশ করেন। বিশ্লেষকেরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বর্তমান রাজনৈতিক আবহওয়ার নানান প্রভাবক নিয়ে আলাপ করেন।
সাংবাদিক নাদের রহমান বলেন, আমাদের কভারেজ শুধু ভোট নিয়ে নয়, আমরা গণতন্ত্রের ভবিষ্যত, বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরের শক্তি ও সামাজিক শক্তিকে গুরুত্ব দেই। ঠিকানা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা ভৌগলিক ও ভাষাগত বিভাজনের মধ্য ডিজিটাল সেতুবন্ধন এখন। এই টিভি এখন বিনোদন, খেলাধুলা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিষয়টিকে দর্শক আগ্রহের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করছে। উদ্ভাবনী, দায়িত্বশীল ও কমিউনিটিকে যুক্ত করে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

আখতার হোসেনকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে রংপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

0

আখতার হোসেনকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে রংপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে রংপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নগরের প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে বসে পড়েন।

বিক্ষোভকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি বৈষম্য বন্ধ করো। উত্তরবঙ্গের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, ডাকসুর সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড আখতার হোসেনকে উপদেষ্টামণ্ডলীতে দেখতে চাই।’