Home Blog Page 28

ফুটবল টুর্নামেন্ট:

0

ফুটবল টুর্নামেন্ট:

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ দিঘলিয়া থানাধীন বারাকপুর ইউনিয়নের উদ্যোগে ১৫ নভেম্বর বিকালে বারাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিপুল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বারাকপুর বনাম নন্দনপ্রতাপ এর ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচের শুভ উদ্বোধন করেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স, অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শরীর ও মন সুস্থ রাখতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নাই। সমাজে মাদকের ভয়াবহতা থেকে দুরে থাকতে নতুন প্রজন্মকে নিয়মিত খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, বারাকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-সহ বারাকপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বহু লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষীতিশ চন্দ্রের হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জন গ্রেপ্তার।

0

ক্ষীতিশ চন্দ্রের হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জন গ্রেপ্তার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বাগেরহাটের চিতলমারীতে ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ক্ষীতিশ চন্দ্রের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জন আসামিকে হত্যাকান্ডের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৬

ভিকটিম ক্ষীতিশ চন্দ্র গাইন এর সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন গত ১৩ নভেম্বর  ১১:০০ ঘটিকায় উক্ত বিষয় নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যায়। এরপর আনুমানিক ১২:৪৫ ঘটিকায় আসামিরা ক্ষীতিশ চন্দ্র গাইন এর বাড়িতে প্রবেশ করে ঝগড়া এবং গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি তাদেরকে ঝগড়া এবং গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। মারামারির এক পর্যায়ে আসামি মোঃ শফিনুর শেখের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের বুকে ও গলায় গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে গত ১৪ নভেম্বর  এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সদর কোম্পানি, র‌্যাব-৬, খুলনা এর একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও অভিযান পরিচালনা চলমান রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫:১০ ঘটিকায় র‌্যাব-৬ এর সদর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানাধীন বানারজোর গ্রামের একটি বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার আসামি নূর মোহাম্মদ (৬০), পিতা- মৃত মোফেল শেখ, সাং- চর বড়বাড়িয়া, গাইনপাড়া, থানা- চিতলমারী, জেলা- বাগেরহাটকে এবং সদর কোম্পানি ও ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প (সদর কোম্পানি) আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকায় কাশিয়ানী থানাধীন কুশুমদিয়া গ্রামস্ত সাজাইল ইউনিয়নের অপর একটি বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ শফিনুর শেখ (৪০), পিতা- মৃত সেকেল উদ্দিন শেখ, সাং- চর বড়বাড়িয়া, গাইনপাড়া, থানা- চিতলমারী, জেলা- বাগেরহাটকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের চিতলমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ।

0

সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ দক্ষিণবঙ্গের বহুরূপী শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকর র‌্যাব-৬ কর্তৃক গ্রেফতার

সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দুর্ধর্ষ তালিকাভুক্ত প্রতারক গ্রুপের প্রধান আসামি- হাবিবুল্লাহ হাবিব গত একযুগেরও বেশী সময় ধরে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলাসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম ছিল। তার নামে কালোবাজারি, দাঙ্গা সংঘটন, সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলা, অবৈধ বিস্ফোরক সামগ্রী নিজ আয়ত্তে রাখা, অস্ত্র ব্যবসা, জমি দখল, সরকারি চাকরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসাসহ তার নামে মোট ০৯ টি মামলা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করে এবং ছাত্র সমন্বয়কদের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। সাতক্ষীরা এলাকায় পুনরায় প্রতারনা চক্রের জাল বিছিয়ে নতুন করে এলাকায় প্রতারক চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে র‌্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। আসামি হাবিবুল্লাহ হাবিবের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা সহ অন্যান্য মামলা, ২০১৫ সালে সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু মামলা, ২০২০ সালে ডিএমপি ঢাকা মোহাম্মদপুর থানায় প্রতারনা মামলা এবং ২০২২ সালে দেবহাটা থানায় প্রতারনাসহ উক্ত আসামির নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ছদ্ম নামে একাধিক মামলা আছে মর্মে জানা যায়। প্রতারনা মামলার গ্রেফতারী পরোয়না ভুক্ত ফেরারী আসামি হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে আত্মগোপনে রেখে তার দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় অদ্য ইং ১৫/১১/২০২৪ তারিখ র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত ধূর্ত ছদ্মবেশী প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক এবং সম্প্রীতি সাতক্ষীরা সদর থানাধীন পলাশপোল এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ১৫ নভেম্বর  সকাল ১০:৪৫ ঘটিকার সময় সাতক্ষীরা সদর থানাধীন পলাশপোল এলাকা থেকে আসামি-হাবিবুল্লাহ হাবিব (৪৩), পিতা- মোঃ আহম্মদ আলী, সাং- পাইকারা, থানা- কালিগঞ্জ, জেলা- সাতক্ষীরা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র কে আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপ:

0

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র কে আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপ:

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনার ডুমুরিয়ায় একটি আলোচিত নারী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সহযোগিতা করার অভিযোগে দায়ের করার মামলায় সাবেক ভুমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একইসাথে এ মামলার অপর সহযোগী এমরান হোসেন গাজীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম তাদের দু’জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।

এরআগে আদালত প্রাঙ্গণে ভুমিমন্ত্রীকে হাজির করার পর এজলাসে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যান নামানো সময়ে বিক্ষুব্ধ জানতা তাকে লক্ষ্য করে ডিম ও ইট নিক্ষেপ করে। পুলিশ চারিদিক থেকে কর্ডন করে নারায়ন চন্দ্র চন্দকে এজলাসে নিয়ে যায়। পরে তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা শ্লোগান ও মিছিল করে।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ঐ নারী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরেরদিন হাসপাতালের ওসিসির (ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে তৎকালীন মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার পূর্বে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। উক্ত ঘটনায় ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার ঐ নারীর খালাতো ভাই পরিচয়দানকারী গোলাম রসুল বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুাল-৩ এ ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ করে। পরে আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দিলে গত ১৭ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ঐ মামলার ২ নম্বর আসামি।

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌঁনে ১টার দিকে মামলার ২ নম্বর আসামি নারায়ণচন্দ্র চন্দ ও ৮ নম্বর আসামি ইমরান গাজীকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ হাজির করা হয়। তাদের আদালতে নেওয়ার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতার্ধিক নেতাকর্মী ও ক্ষুব্ধ জনতা নারায়ণচন্দ্র চন্দের ওপর ডিম নিক্ষেপ করে। কয়েকটি ডিম তার গায়ে লেগে শরীরের জামা নষ্ট হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী এতদিন বিচার পায়নি। তবে দেশে বর্তমানে আইনের শাসন কায়েম হওয়ায় নির্যাতিত নারী সঠিক বিচার পাবে বলে আশা করছি।

বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনাঃ কেএমপি

0

বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনাঃ কেএমপি

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ আজ ১৪ নভেম্বর ২০২৪  বিকালে খালিশপুরস্থ পুলিশ অফিসার্স মেসের কনফারেন্স রুমে কেএমপির ০৪ জন পুলিশ কর্মকর্তার বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার  মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।

কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত  মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেনকে ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার হিসেবে; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর, অতিঃ দায়িত্বে এফএন্ডবি) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত  রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবাকে কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ময়মনসিংহ হিসেবে; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি)  মোঃ কামরুল ইসলামকে এআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টর্স, ঢাকা হিসেবে এবং অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ লাবীব আবদুল্লাহকে সীতাকুন্ডু সার্কেল, চট্রগ্রাম হিসেবে বদলী হওয়ায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাঁদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং স্মৃতিস্মারক প্রদান করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ কেএমপিতে কর্মকালীন সময়ে বিদায়ী অতিথিবৃন্দের কর্মকালের স্মৃতিচারণ করেন। পুলিশ কমিশনার বিদায়ী অতিথিবৃন্দকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পরবর্তী জীবন অতিবাহিত করতে এবং তাঁদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের মর্যদা অক্ষুন্ন রাখতে কাজ করে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স, অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স)  আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গহীন সুন্দরবনে পর্যটন জাহাজ থেকে অসুস্থ শিশুকে উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড ।

0

গহীন সুন্দরবনে পর্যটন জাহাজ থেকে অসুস্থ শিশুকে উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড ।

মোংলা প্রতিনিধিঃ ৫০ জনের একটি পর্যটক দল এমভি উৎসব নামের একটি জাহাজে করে সুন্দরবন উদ্দেশ্যে কটকা ভ্রমণে যায়। ৭ই নভেম্বর ( ২০২৪) রাত ১১ টা ১০ মিনিটের সময় সুন্দরবন এর সংরক্ষিত অঞ্চল কটকায় পৌঁছাতেই ছয় মাস বয়সী একজন যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয় ।

কটকা থেকে খুলনার দূরত্ব প্রায় ৮৬ কিলোমিটার, যা প্রায় ৯ ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত। তাছাড়া পর্যটন জাহাজ চলাচলের গতি সীমিত। কাছাকাছি দূরত্বে কোনো জনবসতির চিহ্ন না থাকা এবং জাহাজের মধ্যে কোনো ডাক্তার না থাকায় শিশুটি চিকিৎসার অভাবে আরো অসুস্থ হতে থাকে । এখান থেকে টেলিযোগাযোগের জন্য একমাত্র অবলম্বন হলো টেলিটকের একটি মাত্র ফোন।

ওই সময়ে জাহাজে সামরিক বাহিনীর একজন অবঃপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন । তিনি বিষয়টি অবলোকন করেন এবং সাথে সাথে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরকে অবহিত করেন। পরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তাৎক্ষনিকভাবে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনকে নির্দেশনা প্রদান করেন ।

বিষয়টি জানা মাত্রই কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের সার্জন লে. মোহাম্মদ রায়হানুল জান্নাহ’র নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিক্যাল টিম জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সহ হাই স্পীড বোট যোগে কটকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ।

রাত্রিকালীন অবস্থায় প্রচন্ড কুয়াশা থাকা সত্বেও ওই উদ্ধারকারী দলটি ৮৬ কিলোমিটার নদী পথ পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনের দূর্গমতম স্থানে খুব কম সময়ের মধ্যে পর্যটক জাহাজ এম ভি উৎসব এর নিকট পৌঁছায়। পরবর্তীতে সার্জন লে. মোহাম্মদ রায়হানুল জান্নাহ, এএমসি টুরিস্ট জাহাজটিতে থাকা অসুস্থ শিশুটিকে জরুরী প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিক্যাল ইভ্যাকুয়েশন সম্পন্ন করেন এবং বোট যোগে দ্রুততার সাথে মোংলা বেইস এ স্থানান্তর করেন । এ সময়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সযোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রেরণ করে শিশুটির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেন । ফলে ওই ভ্রমণকারী জাহাজে অবস্থানরত পর্যটক এবং জাহাজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য ট্যুরিস্ট সিজনে সাধারনত এধরনের জাহাজগুলি সমুদ্রের কাছাকাছি সুন্দরবনের গহীন এলাকায় গমন করে থাকে। সুন্দরবনের গহীনে ওই সমস্ত এলাকাসমূহে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই দুর্গম এবং জরুরী চিকিৎসা সেবা দেওয়া অত্যন্ত দুরুহ বিষয়। একারণে ট্যুরিস্ট জাহাজগুলি ভ্রমণের পূর্বে একজন চিকিৎসক/প্যারামেডিকসহ যাত্রা করলে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূল অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি মানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। ঘটনাটি তারই অন্যতম উদাহরণ। জনগণের সেবায় কোস্ট গার্ড সর্বদা নিয়োজিত ছিল এবং ভবিষ্যতেও এই মানুষের সেবায় এই ধরনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা সার্জন লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ রায়হানুল জান্নাহ ।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা

0

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর ২০২৪) দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইনসের গ্রাটিটিউড হলে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসি, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওছার, পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সম্ভাব্য কৃষি উদ্যোক্তা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

0

সম্ভাব্য কৃষি উদ্যোক্তা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ সম্ভাব্য কৃষি উদ্যোক্তা বাছাইয়ের জন্য অংশীজনের সাথে পরামর্শ কর্মশালা আজ বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর সকালে খুলনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সৎ ও পরিশ্রমী হতে হবে। পরিকল্পিত উদ্যোগের ফলে একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়া যায়। বর্তমানে দেশ বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তরুণ উদ্যোক্তা বাড়ানোর জন্য ব্যাপক প্রচার বাড়াতে হবে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করতে হবে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে। বাংলাদেশের যুবক ও নারীদের জন্য কৃষি ব্যবসায়ী প্রশিক্ষণ হলো একটি কৌশলগত বিনিয়োগ। যার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধির সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নও চাঙ্গা হবে। পঞ্চাশজন যুবক ও নারী ব্যবসায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ফলে তাদের ব্যপক পরিবর্তন ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক জিএম মহিউদ্দিন ও খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মোস্তফা কামাল। এতে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাসুদ রানা

কেএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত:

0

কেএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত:

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ আজ ১৪ নভেম্বর  সকালে খালিশপুরস্থ পুলিশ অফিসার্স মেসে কেএমপি’র মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার  মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিনান্স)  আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ।

সভায় অক্টোবর ২০২৪ মাসের মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার এবং চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা ইত্যাদি ধরনের অপরাধ সংক্রান্ত পর্যালোচনা করা হয়। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে নগরীতে যাত্রী সেজে ভাড়া করা ইজিবাইক/অটোরিক্সা ছিনতাই করতে গিয়ে চালককে মারধর কিংবা হত্যার মতো ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অত:পর কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত  মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেনকে ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার হিসেবে; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর, অতিঃ দায়িত্বে এফএন্ডবি) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত  রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবাকে কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ময়মনসিংহ হিসেবে; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি)  মোঃ কামরুল ইসলামকে এআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টর্স, ঢাকা হিসেবে এবং অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ লাবীব আবদুল্লাহকে সীতাকুন্ডু সার্কেল, চট্রগ্রাম হিসেবে বদলী হওয়ায় পুলিশ কমিশনার  তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। তিনি পরবর্তী কর্মস্থলে তাদেরকে সততা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করেন।

অপরাধ সভায় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স)  আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ-সহ বিভিন্ন পদমর্যদার পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পেটের মধ্যে ৮টি স্বর্ণের বার, খুলনায় যুবক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

0

পেটের মধ্যে ৮টি স্বর্ণের বার, খুলনায় যুবক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনায় ৮ পিচ স্বর্ণের বারসহ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ১৩ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে নগরীর সাচিবুনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম আব্দুল আওয়াল (৩৬) তিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ভদরপুর গ্রামের জনৈক খলিলুর রহমানের পুত্র।

লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তৌহিদুজ্জামান খুলনা গেজেটকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে স্বর্ণের একটি চালান ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্তে যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা লবণচরাধীন সাচিবুনিয়া মোড় এলাকার সেফা মেডিকেলের সামনে চেকপোষ্ট বসান।

তারা ঢাকা থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে আবদুল আউয়ালকে আটক করেন। কিন্তু থানায় নিয়ে তার দেহ তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে নগরীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে এক্সরে করালে পেটের মধ্যে স্বর্ণের বার দেখা যায়। থানায় নেওয়ার পর তিনি বিশেষ কায়দায় পরপর ৮ স্বর্ণের বার বের করে দিয়েছেন।