Home Blog Page 27

সারজিস আলম গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা দিলেন।

0

সারজিস আলম গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা দিলেন।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম নিজের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আমার সঙ্গে কারও ছবি আছে মানেই সে আমার পরিচিত বা কাছের কেউ এমন নয়। কেউ যদি আমার সঙ্গে তার ছবি বা সংশ্লিষ্ট কিছু দেখিয়ে কোনো সুপারিশ করে তবে সে বিষয়টিকে পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও লেখেন, ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ আমি পছন্দ করি না। যোগ্য মানুষগুলো তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে উপযুক্ত জায়গায় যাবে, এমন স্বপ্নই আমি সবসময় দেখি এবং এটাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক।

সারজিস লেখেন, কোথাও কোনো যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন হলে আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলি। অন্য কাউকে দিয়ে কথা বলানো বা সুপারিশ পাঠানো এসব কাজ আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না। কেউ যদি আমার নাম ভাঙিয়ে কিছু বলে বা করার চেষ্টা করে তাহলে বলবেন- সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে। তখনই সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

এ সময় প্রতারক, ভন্ড ও সুবিধাবাজ থেকে সাবধান থাকতে বলছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক।

সিটিটিসি কর্তৃক অবৈধ একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৪৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার।

0

সিটিটিসি কর্তৃক অবৈধ একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৪৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে অবৈধ একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৪৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশনের একটি টিম।

সোমবার ১৮ নভেম্বর  সকাল ১১:০০ ঘটিকায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন তাজমহল রোডস্থ এইচ আই ট্রেড সেন্টার এর ২য় তলায় ইউনিয়ন ব্যাংক এর অফিস কক্ষের লকার থেকে এসব অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশনের একটি টিম।

সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলিগুলো রাঙামাটি চন্দ্রঘোনার কর্ণফুলী পেপার মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৃত জহিরুল হকের নামে লাইসেন্সকৃত ছিলো। তিনি গত ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মৃত্যু বরণ করেন। অস্ত্র-গুলিগুলোর লাইসেন্সের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখ উত্তীর্ণ হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি জানতে পারে যে, মোহাম্মদপুর থানাধীন তাজমহল রোডস্থ এইচ আই ট্রেড সেন্টার এর ২য় তলায় ইউনিয়ন ব্যাংক এর অফিস কক্ষের লকারে মৃত জহিরুল হকের লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ অস্ত্র-গুলি রক্ষিত আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) সকাল ১১:০০ ঘটিকায় উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ০.৩২ বোরের একটি এনবিপি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৪৭ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বিগত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাংবাদিকের ছিনতাই হওয়া ক্যামেরা উদ্ধার।

0

*সাংবাদিকের ছিনতাই হওয়া ক্যামেরা উদ্ধার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার।মোহাম্মদপুরের বসিলায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মোঃ নাঈমুর রহমানের ছিনতাই হওয়া ক্যামেরা উদ্ধার ও দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। ইয়াছিন ওরফে ভাইয়া ইয়াছিন (২০), ২। মোঃ শিহাব (২২) ও ৩। মোঃ মানিক (২০)।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাই হওয়া ক্যামেরার লেন্সসহ Nikon D-850 ক্যামেরা এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়।

শনিবার ১৬ নভেম্বর  বিকাল ০৫:০৫ ঘটিকায় মোহাম্মদপুর থানার গ্রীন ভিউ হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মোঃ নাঈমুর রহমান গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. অফিসের কাজ শেষে মোহাম্মদপুর থানার জাকির হোসেন রোডে অবস্থিত তার ভাইয়ের বাসায় আসেন। কাজ শেষে পায়ে হেঁটে মোহাম্মদপুর থানার বসিলায় অবস্থিত বড় ভাইয়ের বাসার উদ্দেশে রওয়ানা করেন। রাত আনুমানিক ০৯:৩৫ ঘটিকায় মোহাম্মদপুর থানার বসিলা রোডের সুজুকি বাইক সেন্টার সংলগ্ন কালভার্টের কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা চারজন ছিনতাইকারী বাদীর গতিরোধ করে। ছিনতাইকারীরা চাপাতি ও সামুরাই দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাদীর নিকট থেকে নগদ সাত হাজার টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, মানিব্যাগ, ক্যামেরার চার্জার, ব্যাটারী, মেমোরি কার্ডসহ একটি Nikon D-850 ক্যামেরা, Nikon 24-120 mm ক্যামেরার লেন্স, ক্যামেরার ব্যাগ ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোঃ নাঈমুর রহমান নিজে বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মোহাম্মদপুর থানায় গত ১৬ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা সূত্র জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (১৬ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) বিকাল ০৫.০৫ ঘটিকায় মোহাম্মদপুরের গ্রীন ভিউ হাউজিং এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত এজাহারনামীয় অপর পলাতক আসামি আশরাদুলকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপির মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা।

0

ডিএমপির মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে পুরস্কৃত করেছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ মোঃ ময়নুল ইসলাম, এনডিসি।

শনিবার (১৬ নভেম্বর .সকালে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম, রাজারবাগে অক্টোবর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ। ডিএমপির মাসিক এ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ মাইনুল হাসান পিপিএম, এনডিসি।

অক্টোবর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)-দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাফিজুর রহমান।

শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এসআই মোঃ ওসমান গনি ও ওয়ারী থানার এসআই মোঃ মিনারুল হক। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এএসআই মোঃ সানোয়ার হোসেন ও লালবাগ থানার এএসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বনানী থানার এসআই মোঃ নুর উদ্দিন। অস্ত্র উদ্ধারে প্রথম হয়েছেন খিলক্ষেত থানার এসআই মোহাম্মদ সুলতান আলী। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন হাজারীবাগ থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এসআই মোঃ হোসনে মোবারক।

গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ)। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ফজলুল করিম, তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধারেও শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।

ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন মিরপুর-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কাজী মাহাবুব আলম। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন একই জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ জোবায়ের হোসেন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উত্তরা পূর্ব-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট এসএম খুরশীদ আলম ও যাত্রাবাড়ী-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট সুমন মাহমুদ তানভীর।

সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের তিন জন গ্রেফতার।

0

ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের তিন জন গ্রেফতার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ শারীরিক প্রতিবন্ধী রিপনের জীবিকা অর্জনের একমাত্র সম্বল ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ মাসুদ রানা (২৪), মোঃ ইব্রাহীম(২৫) ও মাকসুদ(২১)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।

মিরপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) ভোর আনুমানিক ০৫:৩০ ঘটিকায় শারীরিক প্রতিবন্ধী রিপন মিয়া (২১) মিরপুর-১২ থেকে ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। সকাল আনুমানিক ০৬:২০ ঘটিকায় মিরপুর-২, লাভ রোড কেন্দ্রীয় মন্দিরের সামনে অটোরিকশা নিয়ে অবস্থানকালে শাহআলী মাজারে যাওয়ার কথা বলে তিনজন যাত্রী অটোরিকশায় উঠে। সকাল আনুমানিক ০৬:২৫ ঘটিকায় মিরপুর ২নং সেকশনের, ব্লক-জি এর ৩ নং রোডে পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা একজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র ছুরি বের করে অটোরিকশা চালক রিপনের গলায় ধরে এবং প্রাণনাশের ভয় দেখায়। অন্য দুইজন রিপনকে আঘাত করে জোরপূর্বক তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে সনি সিনেমা হলের দিকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৬ নভেম্বর রাত ১২:৩৫ ঘটিকায় রিপনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিরপুর মডেল থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা রুজু হয়।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলা রুজু হওয়া পর থানার একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (১৬ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) রাত ০৩:১৫ ঘটিকায় রূপনগর থানার ইস্টার্ন হাউজিং ঘরোয়ার মোড় থেকে অভিযান পরিচালনা করে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ে জড়িত মাসুদ, ইব্রাহীম ও মাকসুদ নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় শারীরিক প্রতিবন্ধী রিপনের জীবিকা অর্জনের একমাত্র সম্বল ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও পথচারীদের বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

কেএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ ০১ জন গ্রেফতারঃ

0

কেএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ ০১ জন গ্রেফতারঃ

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। আমরা ধারাবাহিকভাবে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং, স্বর্ণ চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র-গোলাবারুদ ব্যবসায়ী, চোরাই মোটরসাইকেল, হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী ও ভূমিদস্যুসহ কুখ্যাত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি।

এরই ধারাবাহিকতায় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক ১৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত ০৮.৩০ ঘটিকার সময় সোনাডাঙ্গা থানাধীন নাজিরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলীনূর ডাবলুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় শরীর তল্লাশী করে তার কোমরে গোঁজা অবস্থায় ০৩ রাউন্ড গুলি লোড করা ০১ টি বিদেশী পিস্তল, অপর ০১ টি ম্যাগাজিনে ০৫ রাউন্ডসহ মোট ০৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করে তার প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে তার নাজিরঘাটস্থ নিজ বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে তার বেড রুম থেকে ০২ টি তলোয়ার, ০৩ টি গুপ্তি, ০১ টি চাইনিজ কুড়াল, ০৩ টি হাতুড়ি এবং ০২ টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। এসময় উদ্ধারকৃত ০১ টি গুপ্তিতে কাঁচা রক্তের দাগ লেগে থাকতে দেখা যায়। তাতে ধারণা করা যায় যে, সে সাম্প্রতিক সময়ে কোন অপরাধজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে। আসামীকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের উৎস, উদ্ধারকৃত অস্ত্র কোথায় কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছে, কোথাও ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কিনা, আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কারা জড়িত এর মূল রহস্য উদঘাটনপূর্বক জড়িত তার সহযোগী আসামীদেরকে গ্রেফতারের এবং আরো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে । এ সংক্রান্তে তার বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা নং-২২, তারিখ-১৭/১১/২০২৪ খ্রিঃ রুজু করা হয়েছে।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তার প্রকাশ্য কোন জীবিকার উৎস নাই। সে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। সিডিএমএস পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কমিটি থেকে ‘বিতর্কিতদের’ অব্যাহতি।

0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কমিটি থেকে ‘বিতর্কিতদের’ অব্যাহতি।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ (ঢাবি) ছাত্রদলের কমিটি প্রকাশের পর কয়েকজন সদস্যের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততা ও বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের নির্দেশে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে ৬ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার হয়। অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন— সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রিমন, মাহাদী ইসলাম নিয়ন, জেন্ডার ন্যায্যতা ও সমতা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সুকাইনা নাফিসা তরঙ্গ, সহ-পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন এবং সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, রায়হান হোসেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হলে সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অভিযোগসমূহের তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে নিম্নোক্তদের স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

তদন্ত প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল।

0

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  নতুন আইনের (আয়কর আইন ২০২৩) কারণে অনেকের ফরম পূরণের নিয়ম বুঝতে সমস্যা হওয়ায় আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সেই আহ্বানের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়েছে এনবিআর। অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ. মু’মেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

নতুন আইনের কারণে (আয়কর আইন ২০২৩) অনেকের ফরম পূরণের নিয়ম বুঝতে সমস্যা হওয়ায় রিটার্ন দাখিলে দেরি হচ্ছে জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনটি।

বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচনের কারণে অনেক করদাতার পক্ষে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হবে না বলেও জানায় এফবিসিসিআই।

এছাড়া ব্যবসায়ীদের আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া সময় বাড়ানোর জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।
নতুন আইনের (আয়কর আইন ২০২৩) কারণে অনেকের ফরম পূরণের নিয়ম বুঝতে সমস্যা হওয়ায় আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সেই আহ্বানের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়েছে এনবিআর। অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ. মু’মেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
নতুন আইনের কারণে (আয়কর আইন ২০২৩) অনেকের ফরম পূরণের নিয়ম বুঝতে সমস্যা হওয়ায় রিটার্ন দাখিলে দেরি হচ্ছে জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনটি।

বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচনের কারণে অনেক করদাতার পক্ষে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হবে না বলেও জানায় এফবিসিসিআই।
এছাড়া ব্যবসায়ীদের আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া সময় বাড়ানোর জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্য পাচারের অর্থ ফেরাতে পূর্ণ সহায়তা দেবে।

0

যুক্তরাজ্য পাচারের অর্থ ফেরাতে পূর্ণ সহায়তা দেবে।

বাংলাদেল বর্তমান সময়ঃ যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেছেন, তার সরকার বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ঢাকাকে পূর্ণ সহায়তা দেবে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।

ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, আপনাকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি আমাদের সমর্থন পেয়েছেন।

ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার ফেরত আনার জন্য ঢাকার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।

ইউনূস তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, অলিগার্ক ও আমলাদের পাচার করা অর্থ ফেরত আনা অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে বছরে ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে।

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে তাঁর সরকারের সংস্কার উদ্যোগের বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং পূর্ববর্তী শাসনামলে চর্চা করা ব্যাপক ভোট কারচুপি থেকে বিরত থাকা এই সংস্কারের লক্ষ্য।

পশ্চিমা দেশগুলো সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করে উল্লেখ করে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, ব্রিটেন নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় ও সাংবিধানিক সংস্কারের মূল দিকগুলোতে প্রাণবন্ত বিতর্ক দেখতে চায়। ‘বিতর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ,’ তিনি বলেন।

মন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সেবা ও সহায়তা প্রদানের জন্য ইউকে ১০.৩ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান সহায়তা ঘোষণা করেছে।

ড. ইউনূস মিয়ানমারের সহিংসতা-জর্জরিত রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ‘জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠায় তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন যাতে তাদের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে না হয় এবং দাতব্য সংস্থা এবং সাহায্য গোষ্ঠীগুলো নির্বিঘ্নে বাস্তুচ্যুত মানুষের দোরগোড়ায় খাদ্য ও সহায়তা নিতে পারে।

বৈঠকে তারা ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা, সংখ্যালঘুদের অধিকার, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ৪০ মেগাওয়াট জ্বালানি চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন।

ইউনূস বলেন, তাঁর সরকার জলবিদ্যুৎ সমৃদ্ধ নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যুৎ গ্রিড তৈরিকে পুরোপুরি সমর্থন করেছে।

তিনি বলেন, হিমালয়ের পাদদেশের দুই দেশ থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমদানি করতে পারলে বাংলাদেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।

বৈঠকে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত ছাত্র ও অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের একটি মেডিকেল টিম চলতি মাসে দেশে এসেছে। তিনি বলেন, ‘তারা দিনে তিনটি অস্ত্রোপচার করছেন।

হাসিনাকে ফেরত চাইব: ড. ইউনূস

0

, হাসিনাকে ফেরত চাইব: ড. ইউনূস

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতার শহীদি মৃত্যু হয়েছে। এই গণহত্যার বিচার করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছে ফেরত চাইবেন বলেও জানান তিনি।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে তিনি এই ভাষণ দেন।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ১০০ দিন অতিক্রম করলাম। কঠিন এক পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব গণ অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান পালিয়ে গেলে দেশ সরকার-শূন্য হয় সাময়িকভাবে। পুলিশ প্রশাসন ও এসময় সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে উদ্বেগজনক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্বৈরশাসনে বিপর্যস্ত এই দেশকে আমাদের সবাইকে মিলে পুনর্গঠন করতে হচ্ছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর আমরা এমন একটি দেশ হাতে পেয়েছি যার সর্বত্র ছিল বিশৃঙ্খলা। স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ড. ইউনূস বলেন, বিপ্লব চলাকালে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-শ্রমিক জনতার শহিদি মৃত্যু হয়। সরকার প্রতিটি মৃত্যুর তথ্য অত্যন্ত যত্নের সাথে জোগাড় করছে। এই বিপ্লবে আহত হয়েছে ১৯,৯৩১ জন। আহতদের জন্য ঢাকার ১৩টি হাসপাতালসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিনই তালিকায় আরো নতুন নতুন শহিদের তথ্য যোগ হচ্ছে যারা স্বৈরাচারের আক্রোশের শিকার হয়ে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। প্রতিটি হত্যার বিচার আমরা করবোই। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, তার কাজও বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইবো।

আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, অসংখ্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে এই সময়ে। আমরা গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছি। কমিশন প্রধান জানিয়েছেন অক্টোবর পর্যন্ত তারা ১৬০০ গুমের তথ্য পেয়েছেন। তাদের ধারণা, এই সংখ্যা ৩৫০০ ছাড়িয়ে যাবে।

ড. ইউনূস বলেন, অনেকেই কমিশনের কাছে গুমের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা দ্বিধাহীন চিত্তে কমিশনকে আপনাদের অভিযোগ জানান। কারো সাধ্য নেই আপনাদের গায়ে আবার হাত দেওয়ার।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিবরণ অত্যন্ত মর্মান্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই-আগেস্টের বিপ্লবের পর ছাত্র-ছাত্রীরা শহর বন্দরের দেয়ালে-দেয়ালে তাদের মনের কথা লিখেছে। তাদেরও আগে যারা গুমের শিকার হয়েছে, প্রতিটি গোপন আস্তানার দেয়ালে- দেয়ালে তারা লিখে গেছেন রেখেছেন তাদের কষ্টের মর্মস্পর্শী বিবরণ। তাদের এসব কষ্টের কথা শুনে আমাদের হৃদয় কেঁপে উঠেছে। এসবের সঙ্গে জড়িতদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবোই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অভিযুক্ত যতই শক্তিশালী হোক, যে বাহিনীরই হোক তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেবল দেশে নয়, গুম, খুন ও জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সাথে জড়িতদের আমরা আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছি।

ড. ইউনূস বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ যাতে হত্যা, গুমসহ এ ধরনের কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য আমরা গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি।