Home Blog Page 26

*ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার

0

ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

গ্রেতারকৃতরা হলো- আশরাফুল হক খান তুষার ও রাকিব হাসান আরফিন। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনায় ও বিভিন্ন সময়ে ছিনতাইকৃত দুইটি মোবাইল ফোন, নগদ তিন হাজার পাঁচশত টাকা, একটি ভ্যানিটি ব্যাগ, একটি ম্যানিব্যাগ, ১০০ ডলার, ৩৭০ মালয়েশিয়ান রিংগিত, একটি স্বর্ণের চেইন, দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, এক জোড়া স্বর্ণের রিং (বালি), তিনটি স্বর্ণের নাকের নথ, একটি স্বর্ণের রিং, একটি স্বর্ণের নাকফুল, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।

গত সোমবার ১৮ নভেম্বর .রাত ০৪:৪০ ঘটিকায় ভিকটিম মোঃ শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী বাসযোগে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে নামেন। বাস থেকে নেমে মাস্কট প্লাজার সামনে দিয়ে পায়ে হেটে বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন দুইজন দুষ্কৃতিকারী সিএনজি থেকে নেমে ভিকটিম মোঃ শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রীকে ধারালো চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা ২টি মোবাইল ফোন, একটি ম্যানিব্যাগ (যাতে ছিল মালয়েশিয়ান ৩৭০ রিংগিত, মালয়েশিয়ান ওয়ার্ক পারমিট কার্ড, তিনটি ভিসা কার্ড, নগদ দুই হাজার আটশত টাকা ও একটি ১০০ ডলারের নোট) এবং একটি ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই সংক্রান্তে ভিকটিম শহিদুল্লাহর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

মামলাটি তদন্তকালে সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) বিকাল ০৪:০০ ঘটিকায় উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টেরের ৪ নম্বর রোড়ের একটি বাসা থেকে আশরাফুল হক খান তুষার ও একই দিন রাত আনুমানিক ০৮:১৫ ঘটিকায় ১০ নম্বর সেক্টেরের ২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে রাকিব হাসান আরফিনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

*ছিনতাই প্রতিরোধে উত্তরা বিভাগ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপঃ*

উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রওনক জাহান গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ছিনতাই প্রতিরোধে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ২৪ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার ও ২২০ সেট শর্ট রেঞ্জ টকিং ওয়াকিটকি, ১২২ টি মোবাইল ফোন, ৩১ টি হাতঘড়ি এবং বিপুল পরিমান অবৈধ দেশী এবং বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার করেছে।

এছাড়াও বিমানবন্দর থানা পুলিশ মোট ১২৩ জন ছিনতাইকারী, ৭ জন মলম পার্টি, ৪ জন অজ্ঞান পার্টি, ৯ জন টানা পার্টি, ৮ জন পকেটমারসহ সর্বমোট ১৫১ জনকে এবং উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ ৫৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরা বিভাগ ছিনতাই প্রতিরোধে দৃশমান পুলিশিং ছাড়াও ছিনতাইয়ের হটস্পট ও বিভিন্ন ছিনতাইকারী গ্রুপ শনাক্ত এবং মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।

মোংলায় ৬ দফার দাবীতে বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মানববন্ধন ।

0

মোংলায় ৬ দফার দাবীতে বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মানববন্ধন ।

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব বিদ্যালয়ে রুপান্তরসহ ৬ দফা দাবীতে মোংলায় মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কর্মসূচি পালন করেন হাসপাতালে কর্মরত স্টাফরা । দাবী আদায়ের এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মাহবুবুল আলম শাহীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) দিদারুল আলম তালুকদার, ফার্মাসিস্ট শেখ ফরহাদুজ্জামান, সাজ্জাদ হোসাইন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তানভীর ইসলাম ও রমানাথ সূত্রধর সহ অন্যান্যরা। এ কর্মসূচি পালনকালে আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকার অবশ্যই তাদের এই যৌক্তিক দাবী বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবেন। অন্যথায় এ দাবী বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে তারা আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণার পাশাপাশি আন্দোলন সংগ্রাম পালনের হুঁশিয়ারি দেন।

বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৪

0

বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৪

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃখুলনা পাবলিক কলেজ, খুলনার আয়োজনে ২০ নভেম্বর সকালে বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।

সমাপনী অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন। তিনি বলেন, শরীরিক সুস্থতা ও মানসিক বিকাশে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নাই। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে মাদক। আমাদের সন্তানরা যেন কোনভাবেই মাদকে আসক্ত না হয়ে পড়ে, সে ব্যাপারে অভিভাবকসহ আমাদের সকলকেই সর্তক থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও স্মার্ট ফোন ব্যবহার সীমিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিজেদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করার জন্য আহবান জানান।

এসময় খুলনা পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লে.কর্নেল মোহাম্মদ শামীমুল আহসান শামীম-সহ অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী কী ভূমিকা পালন করেছে,ডা, শফিকুর রহমান।

0

একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী কী ভূমিকা পালন করেছে,ডা, শফিকুর রহমান।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  ৭১ রে কোনো ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত
একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী কোনো ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। তিনি জানান, এ অভ্যুত্থানে দেশের সব শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং এমনকি দেশের বাইরে অবস্থানরতরা তাদের সাধ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন।

প্রবাসীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা রেমিটেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। জামায়াতের আমির আরও বলেন, প্রবাসীদের আমি শুধু মনিটারি রেমিটেন্স নয়, বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যও আবেদন জানাচ্ছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাট সাহায্য করবে এবং এতে প্রবাসীরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

বিগত সরকারের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে ডা. শফিক বলেন, যে পরিমাণ উন্নয়ন সম্ভব ছিল, তা হয়নি। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর খরচ অন্য দেশের তুলনায় তিনগুণ বেশি ছিল। প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ হয়নি, বরং সময় বাড়ানো হয়েছে এবং প্রকল্পের খরচও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে দেশের সম্পদ লুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।

একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী কী ভূমিকা পালন করেছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শফিক বলেন, “যদি আমরা কোনো ভুল করে থাকি এবং তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব।” তিনি আরও বলেন, ব্রিটেনের আদালত চৌধুরী মাইনুদ্দিনের বিচারে দেশের ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে “জেনোসাইড অব জাস্টিস” বলে মন্তব্য করেছে।

শফিক বলেন, “আমাদের ১৫ বছর ধরে কথা বলতে দেওয়া হয়নি, আমাদের অফিসে বসতে দেওয়া হয়নি, র‍্যালি করতে দেওয়া হয়নি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা জাতির কাছে যেতে পারিনি।

তিনি জাতিগতভাবে অনৈক্য এবং দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেকে দুর্নীতির হাত থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে তারা সারা বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ স্থান অর্জন করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেটা করতে পারেনি। “যারা সমাজ পরিচালনা করবেন, তারা যদি পরিচ্ছন্ন না হন, তবে সমাজ কখনো পরিচ্ছন্ন হবে না,” যোগ করেন শফিক।

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। আবু সালেহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইমাম উদ্দিন এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পী কামাল হোসাইন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার অর্ধশতকেরও বেশি সাংবাদিক অংশ নেন।

শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে গেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

0

শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে গেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ  প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে গেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। বুধবার (২০ নভেম্বর) তিনি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। এর আগে, এই ধরনের বৈঠকগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সচিবালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকটি সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনের ১৩ তলায় অবস্থিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, এই কক্ষটি মূলত মন্ত্রিসভার বৈঠকের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল, তবে দীর্ঘদিন ধরে এখানে মন্ত্রিসভার কোনো বৈঠক হয়নি। সাধারণত সচিব পর্যায়ের বৈঠক বছরে দু-একবার এখানে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষ্যে কক্ষটি ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রথমবার সচিবালয়ে আগমনের কারণে সচিবালয়ের অন্যান্য ভবন এবং ভেতরের রাস্তা ঝাড়-মোছ করা হয়েছে। এছাড়া, আজ সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অর্থাৎ, কর্মকর্তারা যেসব পাস দিয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ করাতে পারেন, তা বন্ধ থাকবে। তবে, প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয় ছেড়ে যাওয়ার পর কর্মকর্তাদের পাস আবারও চালু হতে পারে।

এদিকে, বিগত সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হতো। ২০১৭ সালে সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর, ২০ তলা বিশিষ্ট ছয় নম্বর ভবনের ১৩ তলায় মন্ত্রিসভা বৈঠকের জন্য নতুন কক্ষ প্রস্তুত করা হয়।

২০১৯ সালে বনানী এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর ৬ নম্বর ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন। এর পর থেকেই মন্ত্রিসভার বৈঠক সাধারণত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, ড. মুহাম্মদ ইউনুস যমুনা অতিথি ভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক করে আসছিলেন। আজ, প্রথমবারের মতো এই বৈঠক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আজকের উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। সংশোধনের মাধ্যমে যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হয়ে থাকে, তবে ট্রাইবুনাল সেই দল বা সংগঠনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর কিছু মারাত্মক বিচ্যুতি দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছিল। সরকার এ আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে যাতে এর বিচার দেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক পর্যায়েও গ্রহণযোগ্য হয় এবং সুবিচার সুনিশ্চিত হয়। এজন্য ব্যাপক পরামর্শ নেওয়া হয়েছে এবং এক অসাধারণ সংশোধনীর প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, যা এই বিচারের গুরুত্ব, যৌক্তিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বাড়িয়ে দেবে।

আইন সংশোধন খসড়ায় রাজনৈতিক দলের বিচারের ধারা যুক্ত হচ্ছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “প্রস্তাবে আদালতকে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে, আদালত যদি মনে করেন, তারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।

থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

0

থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে যেকোনো সমস্যায় থানায় যেতে পারে ও উপযুক্ত সেবা পায় থানার পরিবেশ ও কার্যক্রম সেভাবে রূপান্তর করতে হবে। থানায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। জনবান্ধব পুলিশ গড়ে তুলতে থানার কার্যক্রম আরো সক্রিয় ও যুগোপযোগী করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিংকে জোরদার করতে হবে। ইতোমধ্যে ডিএমপি এলাকায় ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য যারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদের আগ্রহী সদস্যদের বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে। তিনি বলেন, প্রতিটি মহানগরীর যানজট নিরসনে সভা-সমাবেশের জন্য মুক্তাঙ্গন নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সভা-সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম সহ অন্যান্য মহানগরীর জন্য মুক্তাঙ্গন ঠিক করে দিতে হবে যাতে যানজট হ্রাস পায়। তিনি এসময় মেট্রোপলিটন এলাকায় অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, আদালত থেকে রায় পেয়ে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিন পেয়েছে। এসব অপরাধী পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হলে সাথে সাথে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার সহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধও বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে হয়তো সেটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী খুব সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। তিনি এসময় পুলিশকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন ও প্রোটকল ডিউটি কমিয়ে আনার নির্দেশ দেন।

মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, মিডিয়াকে সত্য ঘটনা প্রচার করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়ার যে একটা সুনাম আছে, পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়ার তা নাই। তারা মিথ্যাই কিন্তু প্রচার করে সবচেয়ে বেশি। আর এই মিথ্যাটাকে কিন্তু কাউন্টার করতে পারেন শুধু আপনারা।

পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই জাহাজ মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে একটা দেশে গেছে। আবার ঐ দেশ থেকে আমাদের দেশে এসেছে। তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, আমাদের দেশে কি কোন দেশের জাহাজ আসা নিষেধ আছে। তিনি বলেন, অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো দেশের জাহাজ আমাদের দেশে আসতে পারে। জাহাজটি রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যথা: খেজুর, পেঁয়াজ এগুলো নিয়ে এসেছে। এতে কেন আমরা বাধা দিবো? তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ বিঘ্নকারী এসব ঘটনা যারা রটাচ্ছে তারা দেশের শত্রু।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসি, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।

সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এর কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন অতিরিক্ত কমিশনার হুমায়ূন কবীর চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন পুলিশ সুপার (অপারেশনস) নেছার উদ্দিন আহমেদ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের ( সিবিএ) নির্বাচন নিয়ে হতাশা ।

0

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের ( সিবিএ) নির্বাচন নিয়ে হতাশা ।

মোংলা প্রতিনিধিঃ
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের নির্বাচন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা জটিলতা ।
এই জটিলতার মধ্যে সকল সদস্যদের প্রাণের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন।
সিবিএর বর্তমান ক্ষমতায় থাকা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর কিন্তু আইনি জটিলতার বেড়াজালে তারাও পারছেন না নির্বাচন দিতে । এর কারণ হিসেবে বর্তমান পরিষদের নেতৃবৃন্দ আদালতে চলমান মামলা জটিলতাকে দায়ী করেছেন । কিন্তু এ সমস্ত মামলা তোয়াক্কা না করে । দফায় দফায় এডহক কমিটি গঠিত হলেও নেই তাদের অনুমোদন, বলছেন বর্তমান পরিষদের নেতৃবৃন্দ । এখন সিবিএর সাধারণ সদস্যদের ধারণা হচ্ছে তাহলে কি সিবিএর নির্বাচন হবে না ? যদি হয়ও তাহলেও তা কিভাবে ? কবে হতে পারে এ নির্বাচন ? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে দৈনিক বাংলাদেশ বর্তমান সময়ের মোংলা প্রতিনিধি মোঃ আবু বকর সিদ্দিককে একান্ত সাক্ষাৎকারে যা বললেন, বর্তমান এবং সাবেক পরিষদের নেতৃবৃন্দ ।

সিরিএর সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান সাকিব বলেন,
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের গত ১৭/ ১০/২০২১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে সংঘের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাসির – পল্টু সহ বর্তমান সিবিএর নেতৃবৃন্দ । এই পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ বছর । কিন্তু এই সংঘের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, নির্বাচন দেওয়ার ব্যাপারে তাদের মধ্য কোন পদক্ষেপেই নেই । উল্টো সাধারণ সম্পাদকের নিকট আত্মীয় মোঃ ইমরান হোসেন Car Driver এর মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা করান । যাতে কোনদিন আর নির্বাচন দিতে না হয় । তিনি আরো বলেন, এই মামলা জটিলতা তারাই সৃষ্টি করেছেন ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য । গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন হলেও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের কোন পরিবর্তন হয় নাই । বর্তমানে এই কমিটি অবৈধ বলেও তিনি মনে করেন । তারা নির্বাচন না দিয়ে সাধারণ সদস্যদের সাথে ভেলকিবাজি করছে । সেক্ষেত্রে খুলনার শ্রম পরিচালককের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সাবেক এই নেতা ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংঘের অনেক সদস্য বলেন,
বর্তমান পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করার কারনে আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি ।

অপরদিকে সিবিএর এই নির্বাচন নিয়ে বর্তমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী খুরশিদ আলম বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের ২৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে যদি এডহক কমিটি করতে হয়, তাহলে শ্রম পরিচালক খুলনা বরাবর দরখাস্ত করতে হবে এবং তাদের অনুমতি লাগবে । তাহলে আমরা তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো। এখন যারা এডহক কমিটি গঠন করে বারবার আসছেন, শ্রম পরিচালক থেকে তাদের কোন অনুমোদন নেই । মহামান্য হাইকোর্টে আমাদের সংঘের একজন কর্মচারী একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন যার নাম্বার ৩৪,৩৮ । সেখানে বলা হয় এই মামলা চলাকালীন অবস্থায় কোন কর্মকর্তা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না । সিবিএর মধ্যে কর্মচারী ছাড়াও কর্মকর্তারা থাকার কারণে নির্বাচন ব্যাহত হচ্ছে । তারপরেও আমরা ২০২৪ সালের ২৭ শে নভেম্বর সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছি ।

এ ব্যাপারে সিবিএর বর্তমান সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচনের পক্ষে কাজ করছি এবং ২০২৪ সালের ২৭ শে নভেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণাও করেছি । দুই এক দিন আগে অথবা পরে হতে পারে । এ বিষয়ে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এরমধ্যে যদি কেউ এডহক কমিটি তৈরি করে তাহলে বন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এটা আমি চাইনা । ইতোপূর্বে আমি জেনারেল মিটিং করেছি । নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখও ঘোষণা করেছি । সকল সদস্যদের কে ধৈর্য ধরাবার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন,যেভাবে হোক আমি নির্বাচন উঠিয়ে নেবো তাতে আমার যদি কোন জেল জরিমানাও হয় । আমি তার ভয় পাই না । আপনারা ধৈর্য ধরুন নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ ।

খুলনায় অর্থনৈতিক শুমারি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত।

0

খুলনায় অর্থনৈতিক শুমারি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে খুলনা বিভাগীয় ও সিটি কর্পোরেশনের শুমারি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা আজ ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশের উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় সঠিক তথ্য-উপাত্ত একান্ত প্রয়োজন। দেশের অর্থনীতি নিয়ে সঠিক ও বাস্তবসম্মত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে দেশব্যাপী অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালিত হবে। শুমারিকালে তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিতদের কাছে ছকঅনুযায়ী সকল তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে শুমারি বিষয়ে সকলকে অবহিত করতে পারলে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ভীতি দূর হবে।

সভায় জানানো হয়, দেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে অবস্থিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত সব ধরণের অর্থনৈতিক ইউনিট এশুমারির আওতায় আসবে। অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ সঠিকভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আগামী ১০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর (১৬ ও ২৫ ডিসেম্বর ব্যতীত ১৫দিন) দেশব্যাপী মাঠ পর্যায়ে শুমারি তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে অনুষ্ঠেয় শুমারিতে সারাদেশে মোট ৯৫ হাজার গণনাকারী ট্যাব ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করবেন। সংগৃহীত তথ্য নিরাপদে নির্ধারিত সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। খুলনা বিভাগে দুই জন সমন্বয়কারীর অধীনে ২৮২জন জোনাল অফিসার, ২৮২জন আইটি সুপারভাইজার, দুই হাজার ৭৬ জন সুপার ভাইজার ও ১০ হাজার ৭৪৬জন গণনাকারী কাজ করবেন। খুলনা জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট দুই হাজার দুইশত ৩০জন গণনাকারী তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবেন।

সভায় খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ ফিরোজ শাহ, স্থানীয় সরকার দপ্তরের পরিচালক মোঃ তবিবুর রহমান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষ্যে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্মপরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন। বিভাগীয় প্রশাসন ও বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

খুলনায় চোরাই ১টি গরু এবং বহনকারী ১টি পিকআপসহ ৩ জন আটক:

0

খুলনায় চোরাই ১টি গরু এবং বহনকারী ১টি পিকআপসহ ৩ জন আটক:

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ খুলনার লবণচরা থানা পুলিশ ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বপ্নপূরণ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১) মোঃ ইমদাদুল ফকির (৩৫), পিতা-ইউনুস ফকির, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাট; ২) মোঃ রাসেল হাওলাদার (২৪), পিতা-মোঃ আলম, সাং-চাকচিরি বাজার, থানা-রামপাল, জেলা-বাগেরহাট এবং ৩) মোঃ হযরত আলী রিপন (৩২), পিতা-মোঃ গোলজার মোড়ল, সাং-খাজুরা, থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাটদেরকে চোরাই ১টি গরু এবং বহনকারী ১টি পিকআপসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরির ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

৯৮৫ বোতল ফেনসিডিলসহ এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার।

0

৯৮৫ বোতল ফেনসিডিলসহ এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৯৮৫ বোতল ফেনসিডিলসহ এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি-ওয়ারী বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম মোছাঃ তাসলিমা (৪০)।

গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) রাত ১০:০৫ ঘটিকায় ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।

ডিবি-ওয়ারী বিভাগ সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ডেমরার সারুলিয়া রানীমহল বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় কতিপয় ব্যক্তি ফেনসিডিল বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবি টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তাসলিমাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা অন্য দুইজন পালিয়ে যায়। পরে বাসাটি তল্লাশি করে তাসলিমার শোবার ঘরের খাটের নিচ থেকে ৯৮৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের সর্বমোট ওজন ৯৮.৫ লিটার ও আনুমানিক মূল্য ১৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতসহ পলাতক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত তাসলিমা তার সহযোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডেমরাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকের ব্যবসা করে আসছে। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল তারা বিক্রয়ের জন্য নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল মর্মে স্বীকার করেছে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।