Home Blog Page 5

টঙ্গীর ইজতেমার ময়দানসহ ১৪৪ ধারা জারি।

0

টঙ্গীর ইজতেমার ময়দানসহ ১৪৪ ধারা জারি।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ডা. নাজমুল করিম খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পত্রে উল্লেখ করা হয়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন ২০১৮ এর ৩০ ও ৩১ ধারায় পুলিশ কমিশনারকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের ৩ (তিন) কিলোমিটার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় নিম্নলিখিত আদেশ বলবৎ থাকবে।

বিশ্ব ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা মায়দানসহ আশপাশের ৩ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা বা জমায়েত এবং মিছিল সমাবেশ করতে পারবে না, কোনো প্রকার অস্ত্র-শস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বা এ জাতীয় কোনো পদার্থ বহনে নিষেধাজ্ঞা, কোনো প্রকার লাউডস্পিকার বা উচ্চস্বরে শব্দ করতে পারবে না বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ডা. নাজমুল করিম খান বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে শিল্পীদেরকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনঃ

0

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে শিল্পীদেরকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনঃ

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস ড্রিলশেডে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফদের সন্তানদের অংশগ্রহণে গ্রুপ ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পৃথক তিনটি গ্রুপে; যথা-প্লে হতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ, চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ এবং সপ্তম শ্রেণী হতে তদূর্ধ্ব পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১৫৬ জন প্রতিযোগী চিত্রাঙ্কনে অংশগ্রহণ করে।

কোমলমতি শিশু প্রতিযোগীদের নরম হাতের ছোঁয়ায় প্রকৃতি এবং স্মৃতিসৌধসহ নান্দনিক সব চিত্র অঙ্কিত হয়, যা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ ও অভিভূত করে।তথাপিও প্রতিযোগিতার অংশ হিসাবে কেএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমন্ডলী প্রতি গ্রুপ থেকে ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান নির্ধারণ করেন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার তাদেরকে পুরস্কৃত করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অভিনন্দন ও শুভ কামনা।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ক্ষুদে শিল্পীদের মেধা বিকাশে উৎসাহিত করার জন্য তাদের অঙ্কিত চিত্র বহুল প্রচারের জন্য প্রকাশ করছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং তাদের অঙ্কিত চিত্র।

কাঁচামাল পরিবহনকারী চালক ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের সময় এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-ওয়ারী।

0

কাঁচামাল পরিবহনকারী চালক ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের সময় এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-ওয়ারী।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ যাত্রাবাড়ী এলাকায় কাঁচামাল পরিবহনকারী চালক ও বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ মনির হোসেন (৩৫)।

বুধবার  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত আনুমানিক ০৩:২৫ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম। এ সময় তার হেফাজত থেকে চাঁদা আদায়ের ছোট রশিদ বই, উত্তোলনকৃত চাঁদা এক হাজার ৮০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ সূত্রে জানানো হয়, মঙ্গলবার ডিবির ওয়ারী জোনাল টিম ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে তথ্য পায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা নামক স্থানে কতিপয় ব্যক্তি কাঁচামাল পরিবহনকারী চালকদের নিকট থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওয়ারীর জোনাল টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর সময় মনির নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা চারজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মনিরসহ পলাতক চারজন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন পরস্পর যোগ-সাজসে যাত্রাবাড়ীর বড় কাঁচাবাজার ও মাছের আড়তসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচামাল পরিবহনকারী চালক ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে জোরপূর্বক চাঁদা উত্তোলন করে থাকে।

গ্রেফতারকৃত মনির ও পলাতক চারজনসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় চাঁদাবাজির একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দায়িত্ব পুলিশের, সহযোগিতা আপনাদের, এই দুইয়ের সমন্বয়ের ফলে মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সর্বোচ্চ উন্নতি সম্ভব :

0

দায়িত্ব পুলিশের, সহযোগিতা আপনাদের, এই দুইয়ের সমন্বয়ের ফলে মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সর্বোচ্চ উন্নতি সম্ভব :

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, পিপিএম (বার) বলেছেন, সবাইকে আইন মেনে চলার প্রবণতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবাইকে সহনশীল হতে হবে। জুলাই-আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই ঢাকা মহানগরীকে যদি সন্ত্রাস, মাদক ও যানজটমুক্ত না করতে পারি তাহলে আর কখনোই সম্ভব না। দায়িত্ব পুলিশের, সহযোগিতা আপনাদের, এই দুইয়ের সমন্বয়ের ফলে মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সর্বোচ্চ উন্নতি সম্ভব।

গতকাল মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪  সকালে পল্লবী থানার সেতারা কনভেনশন হলে পল্লবী থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, পুলিশের মূলত কাজ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা। আর এলাকাবাসীর কাজ হচ্ছে পুলিশকে সহযোগিতা করা। আমরা সব সময় আপনাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে চাই এবং আমাদের দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করতে চাই।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, আপনারা সকলেই ট্রাফিক আইন মেনে চলুন এবং রাস্তার শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহযোগিতা করুন। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কোন সদস্য যদি অনিয়মে জড়িত হয়, তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে তারা যখন তাদের দায়িত্ব পালন করে তখন প্রতিনিয়ত যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে আপনারা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করুন। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই পুলিশের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব না। আর আইনশৃঙ্খলা যদি ঠিক না থাকে তাহলে কোন উন্নয়ন টেকসই হবে না।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এরপর গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলকে নিয়ে মোনাজাত করা হয়।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও শাহ আলী থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান, বিপিএম বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে এক নতুন বাংলাদেশ। এ নতুন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলাসহ পুলিশি কার্যক্রমে যেন পূর্ণমাত্রায় গতিশীলতা আসে তার জন্যই এই সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়েছে। আজকের মতবিনিময় সভার লক্ষ্য হলো অত্র থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নসহ সকলেই যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করা। তাই এজন্য প্রয়োজন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতা।

সভায় পল্লবী থানার নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব কামাল হোসাইন খান বলেন, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। অপরাধীকে যথাযথভাবে আইনের আওতায় নিয়ে এসে এই সমাজ তথা দেশকে অপরাধমুক্ত করতে হবে। পল্লবী থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অপরাধ নির্মুলে সম্প্রতি গঠিত নাগরিক কমিটিকে আরও সক্রিয় করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ) অতিরিক্ত দায়িত্বে, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগ) মোঃ রফিকুল ইসলামসহ মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান।

0

মামলায়  খালাস পেলেন তারেক রহমান।

জয়পুরহাটে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে লন্ডনে একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এনিয়ে একই বছরে ১৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা জয়পুরহাট সদর থানায় ২০১৫ সালের ২৮ মে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং মামলা খারিজ করে দেন।

জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শাহানুর রহমান শাহিন বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে যে মামলা করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা, তার কোনো ভিত্তি ছিল না। আদালতের উপর বিগত স্বৈরাচার সরকার হস্তক্ষেপের কারণে এ মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আমাদের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আজ আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে এবং যার উপর ভিত্তি করে মামলাটি করা হয়েছিল, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। এজন্য বিজ্ঞ আদালত মিথ্যা মামলা থেকে তাকে খালাস দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন বলেন, দেশনেতা তারেক রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই জয়পুরহাটে করা মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। আজ সত্যের বিজয় হয়েছে, আজ জয়পুরহাট কলঙ্কমুক্ত হলো।

রায় শেষে কোর্ট চত্বরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন।

জামায়াতে ইসলামীর সাথে নেজামে ইসলাম পার্টির মতবিনিময়।

0

জামায়াতে ইসলামীর সাথে নেজামে ইসলাম পার্টির মতবিনিময়।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য কামনা করছে। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খা পূরণের ব্যবস্থা যেন আল্লাহ করে দেন এ দোয়াই করি।

তিনি ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে নেজামে ইসলাম পার্টির মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা সারওয়ার কামাল আজিজী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল মাজেদ আতাহারী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী ও মাওলানা ডা. ইলিয়াস খান, সাংগঠনিক সচিব হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দফতর সচিব মুফতী দ্বীনে আলম হারুনী, অর্থ সচিব হাজী আনোয়ারুল কবীর, সহকারী সাংগঠনিক সচিব মাওলানা ইনআমুল হক কুতুবী, শিল্প ও বাণিজ্য সচিব আলহাজ্জ শাকিরুল হক খান, সদস্য সচিব বাংলাদেশ ইসলামী যুব সমাজ মুফতী আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজ বিএম আমির জিহাদী। জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

আমীরে জামায়াত আরও বলেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃবৃন্দ এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ দেশে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এখনো তারা ইসলামী আদর্শের উপর অটল ও অবিচল আছেন এবং সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টি সবসময়েই পরস্পরের কাছাকাছি থেকে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টি যার যার জায়গা থেকে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার যে আকাঙ্খা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা পূরণ করার জন্য আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। দেশের ছাত্র-জনতা বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে; আল্লাহ সে আশা-আকাঙ্খা পূরণ করার সুযোগ দান করুন। অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃবৃন্দ পরস্পরের সাথে মতবিনিময় করেন।

কেএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিতঃ

0

কেএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিতঃ

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ আজ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার সকাল ১০:০৫ ঘটিকায় বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স লাউঞ্জ-২ তে কেএমপি’র মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার  মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত  মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

সভায় নভেম্বর ২০২৪ মাসের মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার এবং চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা ইত্যাদি ধরনের অপরাধ সংক্রান্ত পর্যালোচনা করা হয়। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। নগরীতে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটন ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি প্রতিহত করতে তথ্য-প্রযুক্তির নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় নগরীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী চৌকস অফিসারদেরকে তাদের সাফল্যের জন্য নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

অপরাধ সভায় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স)  আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ-সহ বিভিন্ন পদমর্যদার পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিলেন মাইকেল চাকমা।

0

গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিলেন মাইকেল চাকমা।

বাংলাদেশ বর্তমান সময়ঃ শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনামলে গুমের শিকার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা দায়ীদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

আজ বুধবার ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আসেন। তার সঙ্গে আছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও শহিদুল আলমের স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ।

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। হাসিনা সরকারের পতনের পর দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস পর গত ৭ আগস্ট অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান মাইকেল চাকমা। ওইদিন ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুতন কুমার চাকমা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছরের অধিক বন্দি করে রাখে।

ভুটানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শুভেচ্ছা।

0

ভুটানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শুভেচ্ছা।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ ভুটানের ১৭-তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভুটানের বাংলাদেশস্থ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মি. রিনচেন কুয়েনসিল এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল আজ ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোটেল লা-মেরিডিয়ান-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে ভুটানের ১৭-তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি শুভেচ্ছা পত্র মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অপমৃত্যু মামলা তদন্তে বেরিয়ে এলো মা-মেয়ে হত্যার লোমহর্ষক কাহিনী, ঘাতককে গ্রেফতার।

0

অপমৃত্যু মামলা তদন্তে বেরিয়ে এলো মা-মেয়ে হত্যার লোমহর্ষক কাহিনী, ঘাতককে গ্রেফতার।

মোঃ ইমদাদুল হক মিলনঃ গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, সকাল ০৮:০০ ঘটিকার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ডিউটি অফিসার কোতোয়ালী থানায় ফোন করে জানান রাজধানীর সদরঘাট থেকে সালাউদ্দিন নামক এক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় এক নারী ও তার শিশু সন্তানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে চলে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অজ্ঞাতনামা নারীকে মৃত ঘোষণা করে এবং শিশু সন্তানটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায় এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে ঐ নারীর পরিচয় সনাক্ত করে। ঐ নারীর স্থায়ী ঠিকানা বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাটে যোগাযোগ করা হলে তার ভাই হাসপাতালে এসে মরদেহ সনাক্ত করে এবং জানা যায়, তার নাম মাধুরী বিশ্বাস (৩৬) ও চিকিৎসাধীন তার কন্যা শিশু শ্রেষ্ঠা (০৭)। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ভিকটিমের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং চিকিৎসাধীন শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করে। ঐ ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর ভিকটিমের বড় ভাই নারায়ন বিশ্বাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়।

অপমৃত্যু মামলা রুজু হওয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত আরম্ভ করে এবং জানতে পারে আট বছর পূর্বে খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পিংকু মজুমদারের সাথে মাধুরী বিশ্বাস বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং তাদের সাত বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়ে শ্রেষ্ঠাসহ মাধুরী বিশ্বাস গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. সকালে শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বাগেরহাট এর উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর মাধুরী ও তার শিশু কন্যার আর কোনো খোঁজ মেলেনি।

অপমৃত্যু মামলা রুজু হবার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ বিধান দাস নামক একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সন্ধান পায়। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে বিধান দাসকে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. মঙ্গলবার রাত ০৩:০০ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ার থ্রী এ্যাঙ্গেল ডক এলাকা হতে গ্রেফতার করে। এ সময় তার হেফাজত হতে দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত বিধান দাস পুলিশকে জানায়, তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা এলাকায়, সে একটি বাল্কহেড এর ইঞ্জিন শ্রমিক। ঘটনার ৪/৫ মাস আগে তার জাহাজের একজন কর্মচারীর নিকট সে মাধুরীর মোবাইল নম্বর পায় এবং তাকে কল করে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে এবং সম্পর্ক পরকীয়ায় রুপ নেয়। মাধুরী বিধানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় কিন্তু সে রাজি হয় না। বিধান জানায় সে ছুটিতে বরিশাল যাবে। তখন মাধুরীও বরিশাল যাবে বলে জানায়। ২৮ নভেম্বর মাধুরী বাবার বাড়ী বাগেরহাট যাওয়ার জন্য বের হয়ে মেয়ে শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে খুলনা থেকে বাসযোগে বরিশাল গমন করে এবং একইদিন বিধান ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। ঐদিন বিকেল ০৩:০০ ঘটিকায় বরিশালের নতুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে তাদের দেখা হয় এবং স্থানীয় এক আবাসিক হোটেলে কক্ষ ভাড়া করে অবস্থান করে। ২৯ নভেম্বর বিধান মাধুরীকে হোটেলে রেখে পটুয়াখালী যায়। ইতোমধ্যে বিধান তার পারিবারিক কাজ নিয়ে ব্যস্ততার কথা বলে পটুয়াখালী অবস্থান করে এবং মাধুরীকে জানায় সে যেন পটুয়াখালী চলে আসে। সেখান থেকে তারা একসাথে ঢাকা যাবে। এদিকে বিধান পরিকল্পনা সাজাতে থাকে কিভাবে মাধুরীকে তার জীবন থেকে সরানো যায়। ৪ ডিসেম্বর সকাল বেলা দশমিনা বাজারের নলখোলা বন্দরের একটি দোকান থেকে ঘাস মারার কীটনাশক ঔষধ ক্রয় করে। ৪ ডিসেম্বর বিকাল ০৩:৩০ ঘটিকার সময় বিধান, মাধুরী ও তার শিশু কন্যা শ্রেষ্ঠাসহ কালাইয়া লঞ্চঘাটে আসে এবং বিধান লঞ্চের একটি কেবিন ভাড়া করে। কেবিনে উঠার কিছু সময় পর মাধুরী শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে বাথরুমে গেলে বিধান পূর্ব-পরিকল্পনা মোতাবেক তার পকেটে থাকা বিষ একটি পানির বোতলে ভরে কেবিনের বক্সে রেখে দেয়। লঞ্চ ছাড়ার পর খাওয়া দাওয়া শেষে শ্রেষ্ঠা ঘুমিয়ে পড়লে বিধান ও মাধুরীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় এবং বিধান মাধুরীকে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ বলে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বিষ মেশানো পানি পান করতে দেয়।

মাধুরী জানায় শ্রেষ্ঠারও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাই ওকেও ঘুম থেকে ডেকে বিষ মেশানো পানি খাওয়ায়। ঔষধ খাওয়ার পর দুজনই দুইবার বমি করে। এতে মাধুরী ও শ্রেষ্ঠা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। পরদিন ৫ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ০৫:০০ ঘটিকায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছাতে বিধান, মাধুরী ও শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে টার্মিনালে আসে। তাদেরকে এক জায়গায় বসিয়ে খাবার আনার কথা বলে বিধান যাত্রবাড়ী তার জাহাজে চলে যায়।

পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ৪নং গেইটের সামনে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসার জন্য সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন এবংতার শিশু কন্যা শ্রেষ্ঠাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসার সুবিধার্তে শ্রেষ্ঠাকে তার আত্বীয়স্বজন গোপালগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে সে ১৪ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করে।

গ্রেফতারকৃত বিধানদাসকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ঘটনার দায় স্বীকার করে সে নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।